ঐতিহ্যবাহী বিয়ে.... আমার বড় ভাইয়ার

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২২ জুলাই, ২০১৪, ০৬:২৮:২৯ সন্ধ্যা

বিয়ে ব্যাপারটাই বেশ উত্‍সব মূখর ব্যাপার স্যাপার দ্বায়িত্বও বটে।মাঝে মাঝে যখন চিন্তা করি মুসলমানদের উত্‍সব ত দুটো দুই ঈদ কিন্তু বিয়েকে ঘিরে যে উত্‍সবের প্রচলন আছে তা সম্ভবত ঈদের চেয়ে বেশিই বহিঃপ্রকাশ ঘটে।কেউ হয়ত এই ব্যাপারটাকে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখছে না ।না দেখাটি স্বাভাবিক আমার কাছে একটু অস্বাভাবিক বাড়াবাড়ি মনে হয় ।আর কি অতিরিক্ত যদি হয়?বিয়ে সকল পারিবারের সদস্যদের জন্যই আনন্দের ।একটা সুন্নাত ইবাদাত যা চরিত্রকে পবিত্র রাখতে সাহায্য করে বাস এতটুকুই মৌলিক কথা।সুখ ,শান্তি,প্রশান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশা নিয়েই মহা ধুমধামের সঙ্গে আমরা বিয়ের আয়োজনে শরীক হই।যাইহোক যা লিখব ভাবছি সেই পয়েন্টা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি ।আমি আসলে আমাদের পারিবারিক বিয়ের ঐতিহ্যের কথা লিখতে বসেছি।

কেমন কেমন করে যেন পর্যায়ক্রমিকভাবে একই ধারায় বিয়ে সম্পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে বেশ রহস্যজনক কিঞ্চিত্‍ ভীতি আছে।দাদা আব্বুর পর গতকাল যখন বড় ভাইয়ার বিয়েটা যখন একই সুত্রে গেথে গেল তখনই চিন্তা করেছি ব্যাপারটা লিখে ফেলি অজান্তে ঐতিহ্য বহন করছে।

দাদার মুখে গল্প শুনতাম সন্ধ্যার পর পর যখন শীতকালে ক্যাঙ্গারুর মত লেপের নিচে মাথা উঁকি দিয়ে থাকতাম তখন।কিভাবে দাদা দাদীর

বিয়ে হয়েছিল।মজার ছিল ব্যাপারটা ।বাবারা গম্ভীর থাকেন তবে নাতি পুতি হলে বাচ্চা একটা স্বভাব চলে আসে স্বভাবে ।বেশ চমত্‍কার পুরো ব্যাপারটা ।

দাদার ত জন্মের পূর্বেই বাবা ইন্তেকাল করেছিলেন কারমাইকেল কলেজ হোস্টেল থেকে মামাদের সঙ্গে মেয়ে দেখতে যান ।মায়ের অনুপস্থিতিতে টুপ করে বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন ।আব্বু বিয়ের ইতিহাস আরও জটিল ।স্কুল জীবন থেকে প্রশ্নে জর্জরিত নানার বাড়ি কই শিক্ষকরা এই প্রশ্ন করলে যখনই উত্তর দিতাম বরিশাল তখন আরো এক ঝাঁক প্রশ্ন ।দাদার বাড়ি কই ?রংপুর।কিভাবে হল তারাই সম্ভব হলে মহাজ্ঞানীর মত উত্তর খুজে বের করে বলত প্রেম করে ।আর এই শব্দ শুনার সঙ্গে ব্রেন তাড়াহুড়া শুরু করত উত্তর দিতে ।আব্বু শিবির নামক এক সংগঠন সাথে জড়িত ছিলেন।ফুপুর যখন বিয়ে বরিশালে আব্বু দিলেন তখন ত সংগঠনের কাছে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ছুটাছুটি চলত।ফুপাজির মারফতে অতঃপর দাদা দাদী সম্পূর্ণ অনুপস্থিতিতে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল আব্বুর।অতঃপর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যখন আম্মুসহ আমরা ঢাকায় তখন আম্মুর অনুপস্থিতিতে কালকে মেয়ে দেখতে গিয়ে টুক করে মসজিদে বড় ভাইয়ার বিয়ে আলহামদুলিল্লাহ হয়েই গেল।তবে আব্বু ছিলেন ।যদিও ভাইয়ার বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারিনি বেশ খুশি মোট কথা বিয়ের এই

পদ্ধতিটি বেশ পছন্দ আমার।একটা সুরায় একটা উপমা পড়েছিলাম একটা বড় নৌকা তারপর ঐ নৌকা থেকে ছোট্ট ছোট্ট নৌকা জীবন নামক সমুদ্র নেমে পড়ছে পাল তুলে।কিছু রং বেরঙ্গের আর কিছু পাল নৌকা একদম ফ্যাকাসে মন খারাপ রং ধারণ করে।

আর একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত ভোগ করতে থাকবে সবাই।

আপনারা সবাই আমাদের

এই নতুন পাল তোলা নব দম্পত্তির জন্য পবিত্র মাহে রমজান মাসে প্রাণ ভরে দোয়া করবেন।

সবাইকে সালাম।#নতুনমস

ড়িতে চলে আসেন ।

বিষয়: বিবিধ

১৯৫৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

247264
২২ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২২
রঙের মানুষ লিখেছেন : দোয়া করি মন থেকে তারা যেন ভাল থাকে।
247342
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:৪২
শেখের পোলা লিখেছেন : বিয়েটি কি সমাপ্ত হয়েছে না অনুষ্ঠান পরে হবে? বিয়ের অনুষ্ঠানটিই প্রধান, তবে বাহুল্য বা বাড়াবাড়ি মোটেও নয়৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File