তুমি যখন অসহায় আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করেন

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১২ মে, ২০১৩, ০৩:৪৭:১০ রাত

জানুয়ারী মাস।

বেশ শীতের আমেজ ঢাকা 'ঢাকা' শহর।এই শহরটি আমাকে নতুন পৃথিবীর সাথে পরিচয় করে দিয়েছে।আমি আমার রংপুরকে প্রতিটি মুহুর্ত্বে খুব আবেগের সাথে অনুভব করে।

যাইহোক জানুয়ারীর কোন এক শুক্রবার

সকালে উঠে চলে যাই ফার্মগেট।ইসলামী ব্যাংকের চাকুরীর পরীক্ষা দিতে ঢুকে যায় পরীক্ষার কেন্দ্রে আপুনি আমি বাইরে অপেক্ষারত।

তিন ঘন্টার পরীক্ষা এখন শুধুই অপেক্ষা।

ভাবলাম কতই আর বসে থাকি একটু হাটাহাটি করি।

একধার দিয়েই হাটছি এত ছোট্ট একটা রাস্তা একটা "গাড়ি"ঢুকলে আর মানুষ হাটার অবস্থা থাকে না।এর মধ্য দিয়ে হাটছি

হঠাত্‍ একটা মানুষকে রাস্তা ছেড়ে দিতে পাশ কাটতেই

করল্লা গাড়ির সামনের চাকা পায়ের পাতাকে স্পর্শ করে দিয়ে যাই।

অদ্ভুত

পায়ের সু টি ছিড়ে দুরে ছিটকে গেল।

অবাক এক পা বকের মত দাড়িয়ে আছি।

কিছুটা জটলা বাড়তে শুরু করেছে।

ঠিক এ সময় হাতের ব্যাগটি একজন দিয়ে ছেঁড়া সু টি খোড়াতে খোড়াতে আনতে গেলাম কিন্তু একজন এগিয়ে দিল

ঠিক মনে আছে সেদিন কথা বলেনি

ঐ ব্যক্তিকে তাই কৃতঞ্জা জানাতে পারিনি।

আমি চাচ্ছিলাম না জটলাটি বড় হোক তাই দ্রুত ওখান থেকে খোড়াতে খোড়াতে সামনে চলে আসলাম।

আলহামদুলিল্লাহ

কিছুটা সামনে একটা বেঞ্চ পেয়ে গেলাম

বসে পড়লাম।এক কাপ পানি চা ওয়ালার দোকান থেকে দিয়ে বললেন পানি দিন পায়ে।

কথা না বলে পানি টুকু ঢাললাম।

আপনার ঐ উপকার টুকুর জন্য শুকরিয়া।

মাত্র ৩০মিনিট গেছে এখন ১.৩০মিনিট অপেক্ষার পালা।

ডাক্তার ভাবিকে ফোন করলাম

রেনিডিটি এবং রোলাক ট্যাবলেট কিনে খেতে বললেন।

সত্যি এই রূপ একজন ভাবি খুব দরকার।

ধন্যবাদ ভাবি।

এক পাও হাটতে পারছিনা বসেই রিকসা নিলাম দশ কদম পথের জন্য।একটা ফার্মেসীতে দাড়িয়ে ঔষুধ কিনে খেলাম।

স্বভাবত এই পেইন কিলার ফলে ব্যাথা হাওয়া।

ফার্মগেটের অভার ব্রিজ পার হয়ে খোড়াতে খোড়াতে বাসায় আসলাম চার তলা সিড়ি বেয়ে বাসা ঢুকলাম।

আপু বলে এক্সে কর আমি বলি দেখ কিছুই হয়নি যদি ফ্রাকচার বা ভেঙ্গে যেত অনেক ব্যাথা হত এত হাটতে পারতাম না।

মজাটা বুজলাম রাতে।

সারাটা দিন এক ফোঁটা চোখের পানি পড়েনি কিন্তু সারাটা রাতেই পড়ল

একটা মুখের কথা খুব মনে পড়ছিল তা হচ্ছে আম্মুর।

পরের দিন ডাক্তার ভাইয়া শত ব্যস্ততার মধ্যে এত দক্ষতার সাথে আমার পা প্লাস্টার করে দিলেন খুবি অল্প সময়ের মধ্যে

যদিও ভাইয়াকে কোন কারণ ছাড়াই ভয় পাই কিন্তু ভাইয়া খুব ভাল একজন ডাক্তার।

সত্যি এক মাস ফুপু,আপুরা,

ঐ বাসার সবাই যে সেবা করেছেন আমি কোন যুগেও তা ভুলতে পারব না।হয়ত ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না তবে ক্ষুদ্র জীবনে স্বরণে রাখতে পারব।

ঐ ছোট্ট পাঁচ বছরের কচি বাবুটি আমাকে পানি ঔষুধ এনে দেয় আর বলে

"তুমি উঠিও না।আমার কাছে চাবা আমি এনে দিব"

আয়েশা অনেক সাহায্য করেছে।

অসুস্থ অবস্থায় আল্লাহকে মনে পড়ে বার বার।

আম্মুর কথা ঐ সময়টা এত সাহায্যকারী থাকার পরও খুব মনে পড়েছিল।

এটায় হচ্ছে 'মায়ের প্রতি টান'।

যেহেতু এক দিনের দিবসে মাকে বন্দি করতে আমি নারাজ।সুতরাং বলব মাকে রোজ ভাল রাখুন।

নতুন মস

রাতঃ৩:৩৩

১২/৫/১৩

(মা হচ্ছে মা)

তাকে দিবসে ডুকানোর এই জঘন্য প্রথা কবে বন্ধ হবে কে জানে।

বিষয়: বিবিধ

১০৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File