গরুর গোশত খাওয়া কি এবাদত?

লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল মান্নান ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:৪১:২৪ দুপুর

যখন কোন মুসলমান ইসলামের প্রতি অবজ্ঞা করে ধর্মীয় বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে তখন তাকে হেয় করার জন্য বলা হয়ে থাকে গরু খাওয়া মুসলমান। অর্থাৎ কেউ যথাযথভাবে এবাদত-বন্দেগী না করলে গরুর গোশত খাওয়ার সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি করা হয়। আমরা বাংলাদেশী মুসলমানেরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে বেশী পরিচিত। গরু হলো হিন্দুদের দেবতা তুল্য। সঙ্গত কারণেই তারা গরুর গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকে। অপর দিকে গরুর গোশত মুসলমানদের জন্য একটি বৈধ খাবার। কাজেই মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করার সহজ উপায় হলো গরুর গোশত খাওয়া বা না খাওয়া।

কোন ঈমানদারের সামনে ভক্ষন করার জন্য গরুর ও শুকরের মাংস ছাড়া অন্য কিছু না থাকলে ঈমানের দাবি অনুযায়ী তিনি গরুর গোশতই খাবেন। কারণ শুকরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ তাই তা বর্জন করা ফরয। বলা হতে পারে বিশেষ একটা অবস্থায় হয়তো গরুর গোশত খাওয়া এবাদত হতে পারে। কিন্তু সর্বাবস্থায়তো আর তা খাওয়া এবাদত নয়। খেয়াল রাখা দরকার এখানে গরুর গোশত মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য হলো বৈধতা। আল্লাহ্ আমার জন্য হালাল করেছেন বিধায় আমি কোন কাজ সম্পাদন করছি নিয়তটি যদি এরূপ হয় তাহলে তা এবাদত বৈ অন্য কিছু নয়।

বিষয়: বিবিধ

১২৬৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

362521
১৫ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০২:৩০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগলো লেখাটি মানুষ ধর্মীয় বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে তখনই তাকে হেয় করার জন্য বলা হয়ে থাকে গরু খাওয়া মুসলমান।আর গরু খাওয়া মুসলমানেরা শুধূ গরু খায় কিন্তু ইসলামের বিধান মানেনা। ধন্যবাদ আপনাকে
362550
১৫ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

“গরুর গোশত মুসলমানদের জন্য একটি বৈধ খাবার। কাজেই মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করার সহজ উপায় হলো গরুর গোশত খাওয়া বা না খাওয়া” ।

সুন্দর যুক্তি মাশাআল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File