Rose Rose অসম্ভবঃ অসম্ভবঃ Rose Rose

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২৬ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:৫৫:৪৩ রাত

একজন মানুষের সবার প্রতি দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। আপনি সমাজ সংসার আত্মীয় সবার দায়িত্ব পালন করতে সচেষ্ট। আপনি সবাইকে কম বেশী কথায় শান্তনা দিতে চেষ্টা করেন, উপহার দিয়ে আনন্দিত করতে চান। অসুখে সেবা করতে না পারলেও অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেন। ঈদে খুব দামী না হলেও সাধ্যানুযায়ী দামে পোষাক দিয়ে সন্তুষ্ট করতে চান, করেন। আপনি প্রবাসে কষ্ট করেও চান পরিবারের প্রতিটা লোকের মুখে হাসি ফোটাতে কিন্তু সবাই কি আনন্দিত আপনার আচরণে? নাহঃ কখনোই সবাই আনন্দিত নয়। আপনি কখনোই সবাইকে সুখী ও আনন্দিত করতে পারবেন না। আপনার সর্বস্ব বিলিয়েও আপনি সবার মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন না। আপনি ফুটপাতের পাশে চলা মানুষকে একটি রুটি দিলেও তারা খুশি হবে। আল্লাহর কাছে আপনার জন্য দু'হাত তুলে দোয়া করবে। কিন্তু আপনার আপনজনদেরকে আপনি শূন্য হয়েও যদি উজার করে দিতে থাকেন তাদেরকে খুশি করা সম্ভব না। কারন মানুষ এমন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন প্রাণী তাদের অনেককে অনেক দিয়েও কখনোই খুশি, সুখী করা সম্ভব হয়না। আপনি তা কখনোই পারবেন না। এভাবে প্রতেকের জন্যই অসম্ভব ব্যপার সবাইকে সুখী করা।

বিষয়: বিবিধ

১২৫০ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

367215
২৬ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:০৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : ঠিক বলেছেন, তবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া আর কি। নিজের কিছু জিম্মাদারীও আছে। ধন্যবাদ
২৭ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:২৯
304770
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!‍ আপনার জিম্মাদারী আছে আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তা পালন করতে কিন্তু আপনি তা পালনে ঋনগ্রস্থ হচ্ছেন, টেনশনে পড়ছেন, প্রেসার হাই হয়ে যাচ্ছে ঋনদাতাদের কথার আঘাতে, আপনার অন্তর রক্তাক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত, এটা কি আপনার পরিবারের আপনজনদের বুঝার দরকার না? আল্লাহ তো প্রতিদান দিবেনই। কিন্তু সাময়িক ভাবে কতটা হেয় হয়ে পড়ছেন মানুষের কাছে। ঋনদাতারা এক সময় আর ঋন দিতে চাইবেনা কারন সময়মত পরিশোধ করতে না পারলে আপন ভাইও তখন অমানবিক আচরণ করে। জাযাকুমুল্লাহ।
367217
২৬ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৭ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৩১
304771
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!‍ সবুজ ভাইয়া আপনি সুস্থ হয়েছেন তো? কোন এক পোস্টে জেনেছিলাম আপনি অসুস্থ। তবে দোয়া করেছি আল্লাহ যেন সুস্থতা দান করেন। পড়ে মত প্রকাশের জন্য জাযাকুমুল্লাহ
২৮ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:০৫
304826
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমিন। এখন মোটামুটি সুস্থ তবে আমার অসুস্থতা দির্ঘমেয়াদি চিকিৎসা লাগবে।
৩০ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:১১
304967
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!‍ সবুজ ভাইয়া আপনার সুস্থতাই কাম্য। দোয়া করি আল্লাহ যেন অতি সত্বর সুস্থতা দান করেন।
367223
২৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:৩৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট বোন। কথাগুলো বেসুরা লাগলেও বাস্তবে তা অনেকাংশে সত্যি।

তবে অন্তর্যামী আমাদের অন্তরের সদিচ্ছাটুকুর প্রাপ্তি অবশ্যই দিবেন। কে খুশী হল আর অখুশী থাকলো সেটা ধর্তব্যের বিষয় নয়। আপন দায়িত্ব পালন করে যাওয়া। সব কষ্টকে দূরে রেখে।

কারণ স্বয়ং আল্লাহ পাক বলেছেন, বান্দারা আসলেই অকৃতজ্ঞ। অফুরন্ত নেয়ামতরাজি ভোগ করার পরও শুকরিয়া আদায় করতে জানে না।

অনেক ভালো থাকো। পরিবারের সকলকেই নিয়ে। দোয়া রইলো।

বোনের জন্য দোয়ার আবেদন রইলো।
২৭ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৪০
304772
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!‍ আমাদের অন্তর্যামী তো অবশ্যই দেবেন কাউকে খুশি করা মূখ্য বিষয় না। কিন্তু কেউ যখন আপনার অনেক কষ্টোর্জিত উপহার হাতে পেয়ে ধন্যবাদ না দিক নূন্যতম সুন্দর বলে গ্রহণ না করে যদি উপহাসের নজরে দেখে, উপহাস করে, হাসা-হাসি করে তখন সবার ক্ষেত্রে না হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে সে বিষয়টা খুবই বেদনাদায়ক এবং হৃদয়ে রক্তক্ষরনের কারনও বটে। আর প্রতেকেরই বিবেগ খাটানো উচিৎ যে, তারা যে আমাদেরকে দিলো তারা কি তাদের জন্য রেখেছে? আসলে মানুষকে দিয়ে কখনোই খুশি করা যায়না। পক্ষান্তরে এই পরিমান সময় যদি আল্লাহকে দেয়া যায় তবে আল্লাহ তা'য়ালা খুশি হয়ে যাবে।
আপুনি আপনার জন্য ও আপনার পরিবারের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে সমস্ত কল্যাণের দোয়া।
367234
২৭ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৬:৪০
শেখের পোলা লিখেছেন : অধিকাংশ প্রবাসীর মনের কথাটাই বলে ফেলেছেন৷ ধন্যবাদ
২৭ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৬
304775
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!‍ আমরা প্রবাসে থাকি বলে অনেকেই মনে করেন যেন বাদশাহী হালতে চলছি। বুঝতে চায়না প্রবাসেও মানুষ অনাহারে থাকে, প্রবাসেও মানুষের অবহেলা পেতে হয়। প্রবাসেও মানুষের ঈদে এমনও যায় যে, সেমাই, চিনি তো দুরের কথা ঈদের দিনেও পান্তা খেয়ে ঈদের নামাজে যায়। আমি বাস্তবত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। অনেক পরিবারের অবস্থা এমন যে, ঐবোনকে এটা দিতে হবে, নাতীকে ওটা দিতে হবে, জামাইকে স্যুট দিতে হবে, পরিশেষে এমন অবস্থা দাড়ায় যে দিচ্ছে সে নিজের জন্য তো কিছুই রাখছে না। এমন কি কোলের বাচ্চার জন্যেও না। কারন একজনকে দিলে আরেক জনের মনে কষ্ট। এই কষ্ট দুর করতেই শূন্যতা মেনে নিয়ে সবাইকে পূর্ণ করে। সবার বেলায় না ও হতে পারে।
367241
২৭ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৯:০৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কি হে বুবু, আমাকে একেবারে কিছু না দিয়েই এইসব কথা! দিলে তাহলে কেমন কথা বলতেন.
আপনার কাজ দিয়ে যাওয়া, যতটুকু সামর্থে কুলায়. আজ হয়তো তার স্বীকৃতি পাচ্ছেন না, অদূর ভবিষ্যতে পাবেন না, এমনটা নিশ্চিত করে বলা যায়না.
নিজের মান বজায়ে রাখার জন্য সামর্থের বাইরে স্বজনদের জন্য কিছু করা মোটেও কাম্য নয়.
২৭ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৯
304776
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!‍ আরে ভাই এই যে ব্লগে বসে বড়দের লেখা পড়ে পড়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন সেটাও কম? স্বীকৃতি দেয়া দরকার নেই অন্তত খুশি তো থাক, সেটাও না। বরং কমদাম বেশী দামের ঝামেলা। ঝামেলা কি আর একদিকের ঝামেলা তো বহুমুখী। অর্জন করে রাখুন সময়মত কাজে লাগবে।
367243
২৭ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৯:১৮
শাহাদাত হুসাইন নবীনগর লিখেছেন : সবাইকে খুশ করা বা খুশী রাখা আসলেই অসম্ভব । কারন একজনের একটি চাহিদা পুরন করার পর তার আরো একটি চাহিদা এসে সামনে হাজির হয়। সেই চাহিদা পুরনে যদি আপনী ব্যার্থ হন তাহলেই তার চোখে আপনী খারাপ। অথচ সে একথাটি একবারের জন্যও ভাবেনা যে কিছুদিন আগেও তার একটি প্রয়োজন পুরন করেছেন। আল্লাহপাক হেফাজত করুন, আমীন।
২৭ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৮
304777
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!‍ শাহাদাত ভাইয়া অত্যন্ত সত্যি কথা বলেছেন। এমনও পরিবার আছে পাঁচ/ছয় ভাইয়ের জন্য লেখা পড়ার খরচ, তাদেরকে লাইন ধরিয়ে দেয়া কমর্জীবনে। বোনদের লেখা-পড়া ও বিয়ের খরচ, ভাতিজা-ভাতিজির জন্য গয়না, ভাগিনা-ভাগিনির জন্য গয়না, বোনাইদের জন্য ঈদের মার্কেট, সবার সবকিছু করতে করতে বিয়ে করে বিয়ের বয়ষ পাড় করে, যাকে বিয়ে করে আনে তাকেও না পারে পাঁচ জিনিস পুরোপুরি দিতে, পরিশেষে নিজের বাচ্চা পালন করতেই হিমশিম অবস্থা। তখন আর লাইন ধরিয়ে দেয়া ভাইয়েরা সেই স্বার্থহীন ভাইটির কথা মনেও রাখেনা। বছরের পর বছর চলে যায়, কখনো মনেও করেনা যে, আমাদের ভাইটি তার সর্বস্ব শেষ করেছিলো, আমরা তার প্রয়োজন গুলো পূরন করি। তবে তো কিছুটা লাঘব হবে ভাইয়ের পরিবারের কষ্টের। না সেটা ভাববার কারো সময় নেই।
367298
২৭ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:০৫
আফরা লিখেছেন : মানুষকে খুশী করা আসলেই কঠিন । ধন্যবাদ আপু ।
২৭ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০০
304781
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!‍ কেমন আছো ছোট্ট বোন? বোনটি কি এখনো একা? নাকি দোখলা হয়েছে? জানা হলোনা তো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File