প্রদর্শনেচ্ছা কনসেপটি ইসলামের ক্ষমতায়নের পিছনে বাধা বলে মনে করা যায় কি?(প্রদর্শনেচ্ছা -১)

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২৬ মে, ২০১৩, ১২:৪০:২২ দুপুর

প্রদর্শনেচ্ছার ইসলামী প্রয়োজন নিয়ে ভাবছি । কমেন্ট করে ভাবনায় সাহায্য করুন প্লিজ...

ইসলামী কাজ করতে হলেও প্রদর্শনেচ্ছার জরুরী দরকার হয় অনেক সময়। কালেমার মধ্যে মুখে স্বীকৃতি ও কাজে বাস্তবায়নের মধ্যে ডেমোনেস্ট্রেশন আছে ।পানজেগানা সালাতের জামাতে , জুমা , ঈদ জামাতে ডেমোনেস্ট্রেশন আছে। রমজানের সাওম ও হজ্জে ডেমোনেস্ট্রেশন আছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে জাকাত আদায়ের সময়ও ডেমোনেস্ট্রেশন তথা প্রদর্শনেচ্ছা আছে। "ওয়া কোয়ালু ইন্নানি মিনাল মুসলিমীন " আয়াতটিতে ডেমোনেস্ট্রেশন বিষয়টি আছে।

প্রদর্শনেচ্ছা কনসেপটি ইসলামের ক্ষমতায়নের পিছনে বাধা বলে মনে করা যায় কি? ইসলামী কোন কাজের সহযোগিতা পেতে হলে ইসলামী ব্যাক্তিত্ব দরকার। আর ইসলামী ব্যাক্তিত্বকে না চিনলে কিভাবে সাধারন জনগন সহায়তা নিবে? এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাক্তিত্বের মার্কেটিং দরকার , এডভারটাইজমেন্ট দরকার। অবশ্যই এটা ব্যাক্তি প্রচার উদ্দেশ্য হবেনা হবে ব্যাক্তির দ্ধারা ইসলামী কাজের সুবিধার জন্যে।যাতে ব্যাক্তি বেশী ইসলামী কাজ (জনসেবা বা হাক্কুল ইবাদ) করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা চালাতে পারে।

প্রদর্শনেচ্ছা কনসেপট দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে সারাবছর ধরে নির্বাচনী কাজ বা জনসমর্থন কালেক্ট করার ক্ষেত্রে ইসলামী দায়িত্বশীলরা একে অপরকে পিছনের দিক থেকে টেনে ধরছেন প্রদর্শনেচ্ছার অজুহাতে। কিছু হলেই প্রদর্শনেচ্ছা আর পদের প্রতি লোভ শ্লোগান উঠে যাচ্ছে। অমনি জনপ্রিয় অনেকেই মানের জনশক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন আর অনেক জনশক্তির ঘৃনা তো আছেই।

টার্গেটকৃত দাওয়াত আর লোকগঠন শ্লোগান ইসলামী ব্যাক্তিত্বের সামাজিক কাজ করার ক্ষেত্রে অন্তরায়। জানি কথাটি বিতর্ক তৈরী করবে। ব্যাখ্যা করছি বিষয়টি। আপনি যদি প্রচুর মানুষের সাথে না মিশেন তবে সঠিক টার্গেটটি করতে পারবেননা। আর সঠিক টার্গেট না হলে সঠিক লোককে মানোন্নয়ন করতে পারবেননা। তাই বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলনকে সামাজিক কাজকে টপ প্রায়োরিটিতে রাখতে হবে। সামাজিক কাজের মধ্যে দিয়েই টার্গেটকৃত দাওয়াত আর লোকগঠন শ্লোগান বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রথমে টার্গেটকৃতভাইদের দাওয়াত দিবেন আর টার্গেটকৃতভাইদের গঠন করবেন আমার মনে হয় এই স্টেজ থেকে বাংলাদেশের অনেক স্থানে ইসলামী আন্দোলনের মান অনেক উচুঁ হয়েছে।কোন জায়গায় প্রথমে যখন ইসলামী আন্দোলনের কাজ শুরু হয় তখনকার জন্যে টার্গেটকৃত দাওয়াত আর লোকগঠন শ্লোগানকে প্রায়োরিটি দেয়া ঠিক আছে। ইসলামী আন্দোলনের ২য় স্টেজে সামাজিক কাজের মধ্যে দিয়েই টার্গেটকৃত দাওয়াত আর লোকগঠন শ্লোগান বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে যদি সামান্য প্রদর্শনেচ্ছা হয়ে যায় তাতে খুব ক্ষতি দেখিনা।

বায়তুলমালে এয়ানত তোলে বা বিশেষ কালেকশান করে গ্রামের রাস্তা ঠিক করার দরকার আছে । এতে জনসম্পৃক্ততা বাড়বে। বিশেষ কালেকশান করে বিশুদ্ধ পানির জন্যে গ্রামে টিউবওয়েল বসানোর দরকার আছে। প্রতি ইউনিয়নে ডাক্তারী সেবা কিভাবে ইসলামী ব্যাক্তিত্বরা নিশ্চিত করবেন তা নিয়ে ভাবতে হবে। প্রয়োজনে প্রতি ইউনিয়নে প্রচুর পল্লী চিকিৎসক বানাতে হবে। তারা না পারলে প্রতি থানা উপজেলায় ইসলামী আন্দোলনের এমবিবিএস ডাক্তার থাকবে তার কাছে পাঠাবে। জেলায় জেলায় ইসলামী ব্যাক্তিদের নিয়ন্ত্রনাধীন হাসপাতাল গড়তে হবে।

তথাকথিত মুলধারার সংস্কৃতিতে ভাগ বসাতে হবে। মিডিয়ার নিয়ন্ত্রন নিতে হবে।ইসলামী ও এন্টি সেকুলার বুদ্বিজীবীদের হাইলাইট করতে হবে। সব প্রঢেশনাল সংগঠন ও বিভাগকে মুল সংগঠনের লেজুর ভিত্তি থেকে মুক্তি দিয়ে মেরুদন্ডযুক্ত সংগঠনে রুপান্তরিত করতে হবে।সংগঠনের ফাইনাল সিদ্ধান্তকে মেনে নেয়ার মানসিকতা রেখে পদের প্রতি লোভী হতে হবে ইসলামী কাজের জন্য ।

তাই কিছুক্ষেত্রে প্রদর্শনেচ্ছার জরুরী দরকার মনে করি।

বিষয়: বিবিধ

২৩৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File