ফারহান আরিফের মনোবিজ্ঞান থিমস!

লিখেছেন লিখেছেন ফারহান আরিফ ০২ জুন, ২০১৭, ০৮:৪১:৫৩ রাত



Questions are the answers "

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত লেখক এলান পীজ এর জনপ্রিয় বই এটি। পৃথিবীর বহু ভাষায় বইটা অনুবাদ হয়েছে,আজো হচ্ছে। পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই বইটি পাঠ করেছেন। সাইকোলজি সাইন্স দিয়ে মনোবিজ্ঞান এর মাধ্যমে বডি লেংগুয়েজ এর উপর এই বইটা খুব চমৎকার সহায়ক। আমি এই বইটা বহুবার পড়েছি। আরও পড়তে ইচ্ছা আছে।

আমার ব্যাক্তিগত লাইব্রেরীতে এই বইটা রয়েছে। মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ভাষা জানার জন্য তিনি মানুষের দেহের উপর দীর্ঘ ২৩ বৎসর যাবৎ গবেষণা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোবিজ্ঞানী বিখ্যাত বইটা লিখেছেন।পৃথিবীতে শত শত ভাষাভাষীর মানুষ রয়েছে, তাদের ভাষা ভিন্ন,সংস্কৃতি ভিন্ন,সব কিছুই আলাধা।

এক দেশের মানুষ অন্য দেশের মানুষের মনের ভাব বা ভাষা বুঝেনা।একে অন্যের কাছে মনের ভাব আদানপ্রদান করতে পারেনা। কিন্তু সাড়ে ছয়শত কোটি মানুষের মধ্যে এমন এক ভাষা রয়েছে-যে ভাষা সবাই বুঝে ও বুঝতে পারে যে কেউর।

এটা সৃষ্টিকর্তার অমূল্য উপহার মানব জাতির উপর।এই পৃথিবীতে হাজার হাজার সৃষ্টি রয়েছে।পশুপাখি, জিব জন্তু

কীটপতঙ্গ ইত্যাদি। কিন্তু এই নিয়ামতটা অন্য প্রজাতিকে দান করেন নি সৃষ্টিকর্তা ।

এটা শুধু মানুষকে দান করেছেন।আর সেই জিনিষ টা হল হাসি।এটার ভাষা সবাই বুঝে। হাসির রহস্য ছোট বড় সবাই বুঝতে পারে।পুরো লেখাটা পড়লে অনেক কিছু জানা হবে।তাই ধর্যসহকারে পড়বেন প্লিজ। আমি জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্র হলেও ইদানীং দর্শন ও মনোবিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি করতেছি দুহাতে।এধরনের লেখা আমার জন্য মানায়না,কারন এটা আমার সাব্জেক্ট না। তার পরেও যা জানি তা জানানোর চেষ্টা করি।

মনোবিজ্ঞানের ভাষায় হাসি কে বলা হয় শক্তি ও মহৌষধ।

যে সুন্দর হাসতে পারে থাকে সবাই ভালবাসে,আদর করে,তার কাছাকাছি আসতে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় চেষ্টা করে,তার সাথে মিশতে মন চায়।

প্রাচীন কালে কয়েকটা যুদ্ধ হাসির মাধ্যমে সমাধা হয়েছে,সেনাপতি দুজন একে অন্যকে দেখে মৃদু হাসি দিলে যুদ্ধের দামামা বন্ধ হয়ে যায়।এমনও কিছু কিছু তথ্য রয়েছে প্রাচীন ইতিহাসে।আপনি

পৃথিবীর যে কোন দেশে যান, আপনার হাসির ভাষা অন্যজন বুঝে নিবে।আপনি কেন হাসছেন তাও বুঝে পেলবে সে।

আপনার কিছু বুঝুক আর নাই বুঝুক অন্তত হাসির ভাষাটা বুঝে নিতে সমস্যা হবেনা তার।

মানুষ সবচাইতে খুশি হয় তখন,যখন আপনি অন্যের ভাল কাজের অথবা তার উপর খুশি হয়ে হাসবেন তখন সে সবচাইতে খুশি হয়।আপনার চমৎকার হাসিটা তার জন্য শ্রেষ্ট উপহার হয় ।

আধুনিক বিজ্ঞান থেকে ডাক্টার আলমাসুর রাহমান বলেছিলেন।যে প্রাণ খুলে সবসময় হাসতে পারে তার ধারে কাছে কোন রোগ আশ্রয় নিতে পারেনা।যখন কেউ অসুস্থ হয় সে যদি কমপক্ষে ধেড় মিনিট মন খুলে হাসতে পারে তার রোগ চলে যাবে।আধুনিক বিজ্ঞান বলছে- কেউ যদি সতেরো সেকেন্ড হাসতে পারে তার সতেরো দিনের আয়ূ বাড়বে।

কথাটার ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যতা না পাওয়া গেলেও সুস্থ আয়ু বাড়বে এটা আমি বলতে পারি।যার মুখে সবসময় হাসি থাকে সে সবার মায়ার পাত্র হতে পারে।

মানুষের কাছে সবচাইতে প্রিয় জিনিষ হচ্ছে হাসি,অন্য জনের হাসি দেখলে সবারই ভাল লাগে।আধুনিক বিজ্ঞানে হাসিকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, আমেরিকায় মোনালিসার হাসিকে নিয়ে গবেষণা চলতেছে।মানুষের ভালবাসা পেতে সবসময় হাসুন,মন ভাল রাখতে মৃদু হাসির চাপ মুখে রাখুন।অসুস্থ হলে সবসময় হাসুন,দেখবেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।আরেকটি কথা জানিয়ে রাখি।প্রাণী জগতে একমাত্র হনুমান হাসতে জানে।কিন্তু সে হাসলেও প্রকৃত হাসি বুঝা যায়না তার।

দেখলে মনে করবেন যে, সে ব্যঙ্গ (বিজলাচ্ছে)করছে আপনাকে নিয়ে।প্রাণী বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে,প্রাণীদের মধ্যে একমাত্র হনুমানই হাসতে পারে অন্য কিছু হাসতে পারেনা।

দুঃখের বিষয় হল হনুমান দাঁত বেড় করে হাসলেও এটাকে প্রকৃত হাসি মনে করা হয়না।একমাত্র মানুষ জাতিই দাঁত বের করে হাসতে পারে।কারো ভাল কাজ দেখলে মুখ দিয়ে প্রশংসা না করতে পারলেও অন্তত হাসিটা গিফট দিয়েন, সে খুশি হবে আপনার উপর সিমাহীন।

আপনার হাসির কারনে তার কাজে মোটিভেশন বাড়বে আথবা সে আগ্রহ পাবে।প্রাণ খুলে হাসুন শরির ঠিক রাখুন।

আবার বলছি মানুষের ভালবাসা পেতে হাসির বিকল্প নাই।পারলে এখনি একটা হাসি দিন গ্লাসের সামনে গিয়ে।নিজেই নিজেকে আগে হাসিটা উপহার দেন।প্লিজ ট্রাই করেন।করেন।করেন।প্লিজ করেন।(অসমাপ্ত থিমস)

--------------------------------

লেখকঃ ফারহান আরিফ

এমসি, কলেজ সিলেট।

বিষয়: বিবিধ

৭১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File