"প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ"
লিখেছেন লিখেছেন হক্বের আওয়াজ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:০১:৩৫ রাত
নাস্তিকদের অসার যুক্তি খন্ডন এবং দাতভাঙ্গা জবাবা নিয়ে বাজারে এসেছে "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ" নামক একটি বই।বাজারে এসেই বাজিমাত!
প্রসংশা কুড়িয়েছে সকল শ্রেনির আস্তিকদের আর অন্তর জ্বালা বাড়িয়ে দিয়েছে নাস্তিকদের।
ফেসবুক দুনিয়া আজ "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ" বন্দনায় মত্ত।
আরিফ আজাদ প্রসংসায় বুদ হয়ে আছে অনলাইনবাসী।কেনইবা হবেনা!আরিফ আজাদ নাস্তিকতার বিরুদ্ধে সাহিত্যের মাধ্যমে যে খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন তা এদেশের ইতিহাসে বিরল। আমরা তার কষ্টসাধ্য এই খেদমতকে শ্রদ্ধা জানাই।আমরা আরিফ আজাদ ভাইয়ের কাছে নাস্তিকদের অসার যুক্তির দাঁতভাঙ্গা জবাব সংকলিত আরো সংকলন কামনা করছি।
কিন্ত....
আমরা যেমন "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ" নিয়ে আনন্দিত তার তার সাথে সাথে কিছুটা চিন্তিতও ব*টে।
কেননা আলামত বলছে বইটি নাস্তিকদের প্রতি কিছুটা সহমর্মিতার কারণ হবে।ইতিমধ্যেই অতি উৎসাহিদের চিল্লা ফাল্লা শুরু হয়ে গেছে।তাদের ভাবটা এমন যে এক "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ" দিয়েই নাস্তিকদের মুসলমান বানিয়ে ফেলবে।কি দরকার কোপাকপি আর বেহুদা রক্তপাতের!আরিফ আজাদের "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ"ই যথেষ্ট ওদের হেদায়াতের!
বোকার দল হয়তো ভুলে গেছে,"ঘুমের ভান ধরা জাগ্রত ব্যক্তিকে কখনো জাগানো যায়না"।
যদি জাগাতে হয় তাহলে শক্তি প্রয়োগই একমাত্র মাধ্যম ঘুম তাড়ানোর।
শাতেম আর আর নাস্তিকরা যে বুঝেনা এমনটি নয়।তারা খুব বুঝে শুনেই ইসলাম বিদ্বেষী হয়েছে।ওদের একমাত্র ওষুধ হল চাপাতি।
এখন অনেই স্বপ্ন দেখছেন আরিফ আজাদ হওয়ার।কেউ কেউ নিজেক সাজিদ ভেবে পুলকিত হচ্ছেন অন্তরে অন্তরে।
কিন্তু আফসুস! জাতি ভুলে যাচ্ছে প্রকৃত আদর্শিক ব্যক্তিদের।যারা চূর্ণ করে দিয়েছেন নাস্তিকদের স্তম্বকে। "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ"পেয়ে অনেকেই ভুলে যাচ্ছে কুলাঙ্গার থাবা বাবার হত্যাকারীদের।ভুলে যাচ্ছে মুকুল রানা (রহঃ)কে।
ওদের কেউ হতে চাবেনা মুকুল রানা।ওয়াশিক কুত্তার হত্যাকারী আরিফ আর জিকরুল্লাহ হবেনা ওদের প্রবাদ পুরুষ।কারন তাঁরা নাস্তিকদের বিষদাঁত উপড়াতে চাপাতি চালিয়েছেন।ওরা চালাতে চায় কলম!
চাপাতি চালানোর চেয়ে কলম চালানো খুব সহজ।সহজেই যদি বিজয় এসে যায় তাহলে কি দরকার কঠিন পথ অবলম্বনের!কি দরকার চরমপন্থী হওয়ার। অসির চেয়ে মসির জোর নাকি বেশী!
কিন্তু বাস্তবতা কি বলে?
আরিফ আজাদের "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ" বইটি লেখার পর কয়টা নাস্তিক বা শাতেম তাদের কুকর্ম বন্ধ রেখেছে।কয়টা কুত্তা ভয়ে বা লজ্জায় দেশ ছেড়ে পালিয়েছে?এমন কোন নজির কি তারা দেখাতে পারবে?
আমি হলফ করে বলতে পারিঃ হাজারো "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ" নাস্তিকদের একটা লোম উপড়ানোরও ক্ষমতা রাখেনা!
বরং লেখালেখির মাধ্যমে নাস্তিকরা আরো সুযোগ পায়।এখন হয়তো হুমায়ুন আজাদের কোন শিষ্য প্যারাডক্সিক্যাল আসিফ নামে আরেকটি বই ছাপাবে নাস্তিকতার পক্ষে।
নাস্তিকদের (শাতেম,কুটুক্তিকারী )প্রতি আমাদের কোন সহমর্মিতা নেই ।ওদের ক্ষেত্রে আমরা নববী কৌশলই প্রয়োগ করবো ইনশাআল্লাহ।
তবে সমস্যা হল তাদের নিয়ে, যারা ভাবছে "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ" দিয়েই নাস্তিকদের কুপোকাত করা যাবে।কোপাকোপির দরকার নেই।
তাদের জানা থাকা উচিত চাপাতির একটি কোপ লক্ষটি "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ"থেকে বেশী উপকারী।
আমরা বইটি নিয়ে যতটুকু আশাবাদী তার চেয়ে বেশী চি*ন্তিত।কারণ হয়তো অনেক উৎসাহী যুবক চাপাতি ছেড়ে কলম ধরবে নাস্তিকদের বিষ দাত উপরাতে।আর এসুযোগে দম নিতে পারবে চাপাতিতান্কে আক্রান্ত নাস্তিকরা.....
বিষয়: বিবিধ
১০১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন