নারীর সমার্থক

লিখেছেন লিখেছেন মহাকালের অসুখী ১৩ আগস্ট, ২০১৬, ১১:৪০:৫৮ রাত

নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার, নারী নির্যাতন ইত্যাদি নারী সংক্রান্ত কতো কিছু চোখে পড়ে প্রতিদিন। নারী আন্দোলন তো খুবই কমন একটা বিষয় এখন।

দু:খের বিষয়, কোন নারী বুদ্ধিজীবী, নারীনেত্রী কিংবা নারী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোন নারীকে আজ পর্যন্ত দেখলামনা বাংলা ডিকশনারিতে নারীর যে আপত্তিকর সমার্থকগুলি দেয়া আছে সে বিষয়ে কোন কথা বলতে। নারীর অবমূল্যায়ন, অমর্যাদা কিংবা অসম্মান সবকিছুইতো সমার্থগুলিতে বিদ্যমান। একটি শিশু হোক সে ছেলে বা মেয়ে, যখন জানে যে নারী মানে ললনা, অবলা, রমণি ইত্যাদি তখন সে কি ভাবে? শিশুকাল থেকেই তো সে শিখছে নারী মানেই অবলা, নারী মানে রমণি!

পাঠ্যপুস্তকের লেখাগুলো মানুষের মনে বেশী প্রভাব ফেলে। ছোটবেলায় একটি মেয়ে শিশু নারীর মানে যখন জানতে পারে তখন থেকেই শুরু হয় তার হীনমন্যতা আর ছেলে শিশু ধরে নেয় নারী মানেই তো ফেলনা। তাহলে কেন হবেনা নারীর অমর্যাদা? অমর্যাদা, অবমূল্যায়নের শিক্ষা তো পাঠ্যপুস্তকেই দেয়া। আসলেই কি সেই প্রাচীন কালের মতো নারীরা এখনো অবলা, নারী কি শুধুই রমণি? নারী কি মা, বোন, স্ত্রী নয়?

তাহলে কেন মহলে বসবাসকারী বলা হবে নারীদের, যেখানে চাঁদে পর্যন্ত নারীর পদচিহ্ন পৌঁছে গেছে! বাংলা একাডেমী বছর বছর নতুন বানান রীতি তৈরি করতে পারে আর নারীর সমার্থকগুলো চ্যাঞ্জ কিংবা মডিফাই করতে পারেনা? নারীদের সব আন্দোলন ভুলে গিয়ে আগে তাদের নামকরণের দিকে দৃষ্টিপাত করা উচিৎ, অবলা, রমণি মহিলা ইত্যাদি অপমানজনক শব্দ এবং অর্থের পরিবর্তন কিংবা সংযোজনের জন্য দাবি জানানো উচিৎ। আগামী প্রজন্ম যাতে শুরু থেকেই নারীকে ঘরের শোভাবর্ধনকারিণী, মহলে বাসকারী কিংবা সঙমের উপাদান হিসেবে না জানে সেজন্য কিছু করা উচিৎ।

নারী তুমি এত কিছু করতে পারো অধিকার আদায়ের জন্য, শুধু পারনা নিজেদের নামের লজ্জাজনক অর্থগুলো সরানোর জন্য কিছু করতে। কেন? কেন এই উদাসীনতা, কেন এই নির্বাক ভূমিকা? তাহলে কি নারীরাই তাদের ভীত শক্ত করার প্রধান অন্তরায়?

বিষয়: বিবিধ

৯৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File