বন্যাদুর্গত ও নদী ভাঙ্গাদের পুনর্বাসনে অগ্রাধিকার দিন - ড. মোঃ নূরুল আমিন

লিখেছেন লিখেছেন আমি আল বদর বলছি ১৬ আগস্ট, ২০১৬, ০১:১২:১৮ দুপুর

গত সপ্তাহে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো সফরে ছিলাম।

সফরকৃত জেলাগুলোর মধ্যে ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর,

রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাঁকুরগাঁও, পঞ্চগড়,

বগুড়া এবং কুড়িগাম। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলা সংলগ্ন

ফুলবাড়ী উপজেলায় একটি ছিটমহলও সফর করেছি। এই সফরের প্রধান

লক্ষ্য ছিল বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন, নদী ভাঙ্গনের ফলে সহায়- সম্বল ছাড়া পরিবারসমূহের অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং তাদের মধ্যে কিছু

ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, সামগ্রিকভাবে জেলাসমূহের সামাজিক ও

অর্থনৈতিক অবকাঠামোসহ মানুষের জীবনযাত্রার অবস্থা জানা এবং

ছিটমহলবাসীদের বর্তমান জীবনযাত্রা প্রণালী অবলোকন ও

সমস্যাবলীর আলোকে চাহিদা নিরূপণ প্রভৃতি। সপ্তাহব্যাপী এই

সফরটি ছিল অত্যন্ত ব্যস্ততম। সফরকালে উত্তরবঙ্গের রাস্তাগুলোর যে অবস্থা দেখেছি তা ভয়াবহ। আমার পর্যবেক্ষণ

অনুযায়ী বাংলাদেশে যতগুলো স্থলবন্দর আছে তার মধ্যে আমদানি-

রফতানির দিক থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দরটি

অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। আবার আমের মওসুমে

চাঁপাইয়ের আম রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায়

পরিবহন করা হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে সোনা মসজিদ-রাজশাহী মহাসড়কটির গুরুত্ব ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে না। আবার বরেন্দ্র বহুমুখী

প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে

(অন্যান্য জেলা তো আছেই) ফসল চাষের নির্ভরতা বহুগুণ বৃদ্ধি

পেয়েছে এবং ধান, চালসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য প্রায় সারা বছর ঢাকা-

চট্টগ্রামের দিকে পরিবহন করা হচ্ছে। ভারতীয় গরু তো আছেই।

বর্ণিত মহাসড়কটি এর একমাত্র মাধ্যম।এই সড়কটির বর্তমান অবস্থাকে ভয়াবহ বললে ছোট করেই বলা হবে বলে আমার বিশ্বাস।

সড়কের সর্বত্র খানাখন্দ, গর্তে ভরে গেছে। রাজশাহী থেকে যে রাস্তা

অতিক্রম করতে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট লাগতো, তা এখন দেড়-দু’ঘণ্টায়

অতিক্রম করা যায় না। গাড়ির ঝাকরানিতে যাত্রীদের অবস্থা কাহিল

হয়ে পড়ে; গাড়ির কলকব্জার কথা নাই বা বললাম। একই অবস্থা দেখেছি

রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর জেলার অভ্যন্তরীণ রাস্তাসমূহেরও। আমরা রাজধানীসহ

বিভাগীয় শহরগুলোতে উড়াল সড়কসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প

বাস্তাবায়ন করছি। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছি। আকাশ

আমাদের টার্গেট, কিন্তু পাতালের প্রতি আমাদের লক্ষ্য নেই।

অবিলম্বে আন্তঃজেলা মহাসড়ক ও জেলা-উপজেলার অভ্যন্তরীণ

সড়কগুলোর সংস্কার, মেরামত ও সংরক্ষণের প্রতি সরকারের মনোযোগ দেয়া জরুরি বলে আমি মনে করি। বৃহত্তর রংপুরের পাঁচটি জেলাই (রংপুর, গাইবান্দা, কুড়িগ্রাম,

লালমনিরহাট, নীলমারী) এবার ব্যাপকভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই জেলাগুলোর প্রায় ৬০ শতাংশ এবং বগুড়া জেলার ৫০ শতাংশ

এবং জয়পুরহাটের অন্যূন ৪০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয়দের মতে তাদের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট প্রায় তিন সপ্তাহ পানির

নিচে ছিল। এর ফলে তারা ক্ষেতের ফসল, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, যেমন হারিয়েছেন তেমনি তাদের বাড়িঘরে মওজুদ ধানচাল ও অন্যান্য সম্পদও

ধ্বংস হয়েছে। অনেকেই জমিতে আমনের চারা রোপণ করেছিলেন।

কিন্তু দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় সেই চারা পচে গেছে। এখন

লাগানোর জন্য এলাকায় নতুন চারার অভাব প্রকট হয়ে পড়েছে। আবার

কেউ কেউ দূর-দূরান্ত থেকে বেশি দামে বেশি বয়সী ধানের চারা এনে

জমিতে লাগাচ্ছেন। এতে সম্ভাব্য ফলন ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। কেননা বেশি বয়সী চারার Tillering হয় না

অথবা কম হয়। ফলে গোছা বৃদ্ধি না পেলে ফসলেল পরিমাণও কমে যায়।

অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে কৃষি পুনর্বাসনের জন্য তাদের যে সহযোগিতা ও

পরামর্শের দরকার সরকারি, বেসরকারি, কোনো খাত থেকেই তারা

তা পাচ্ছেন না। উপদ্রুত এলাকায় বন্যার পানি হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে

স্বাভাবিকভাবে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপও দেখা দিচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ অথবা কোনও এনজিওকে

রোগ প্রতিরোধ অথবা প্রতিষেধকমূলক কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ

করতে দেখা যাচ্ছে না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমাত্র জামায়াতে ইসলামী ছাড়া আরো

কোনও ক্ষমতাসীন অথবা বিরোধী জোটের কোনও দলকে ত্রাণ

তৎপরতায় সক্রিয় কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। জামায়াতের

তরফ থেকে বন্যাদুর্গত ১০টি জেলা বিশেষ করে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম,

লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা,

ফরিদপুর প্রভৃতি জেলায় শুকনা খাবার ছাড়াও বন্যার্তদের মধ্যে চাল, ডাল, তেল, নুন, আলু প্রভৃতি বিতরণ করা হয়েছে। তারা বেশ কিছু

নলকূপ স্থাপন করে সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা করেছেন। তবে এলাকায়

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী জামায়াতের ত্রাণ তৎপরতায় ক্ষমতাসীন দলের

এবং তার অঙ্গ সংগঠনের কেউ কেউ বাধা দিচ্ছেন। ফলে অনেক

বন্যার্ত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এলাকা সফর করে আমার যে ধারণা হয়েছে তাতে কোনো কোনো এলাকায় বন্যার্তদের তুলনায় নদী ভাঙ্গাদের দুর্দশার পরিমাণ ও

ব্যাপ্তি অনেক বেশি বলে আমার মনে হয়েছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের মধ্য ত্রাণ বিতরণের

জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু উপজেলা পরিষদের একজন কর্মকর্তা যেখানে

আমাদের নিয়ে গেলেন সেখানে বন্যা দুর্গতদের কাউকে পেলাম না।

তিস্তা প্রকল্পের মেইন ক্যানেলের বাম পাড়ে বিশাল এলাকা জুড়ে

অবস্থিত একটি রিফিউজি ক্যাম্প। বাড়িঘর, সহায়-সম্পত্তি সব হারিয়ে

তারা এই ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। এক জায়গায় ১৭০০ পরিবার, তার পাশে ২৭০০। ভাঙ্গন শুরু হবার সময় তাড়াহুড়া করে যে যা উদ্ধার করতে

পেরেছেন, ঘরের চাল, বেড়া, বাঁশ বা কাঠের কাঠামো, হাঁড়িপাতিল,

কাঁথা-বালিশ- এলাকাবাসীর সহযোগিতার সব নিয়ে ক্যানেলের পাড়ে

খাঁড়া করে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। ধনী গরিব এখানে সবাই এক।

ঘরের ভিটি নেই, বালিই ভিট চৌকির পায়া বালির মধ্যে দেবে যায়।

রান্নার স্থান নেই। খোলা জায়গায় চুলা বসালেও লাকড়ি নেই, পেশাব- পায়খানার জায়গা নেই, মহিলারাই সবচেয়ে বেশি বিপদে। স্বনিয়োজিত

স্থানীয় কয়েকজন ভলেন্টিয়ার আছেন তারাই তাদের সহযোগিতা

করছেন। তাদেরও নাওয়া-খাওয়া নেই। দেখলাম মানুষ মানুষের জন্য কি

করতে পারে। তাদের কাছ থেকে শুনলাম তিস্তান নদীর ভারতীয় অংশে

গজল ডোবা নামক স্থানে ভারত বাঁধ কেটে পানি ছেড়ে দেয়ায় হু হু করে

বাংলাদেশের দিকে পানি ধেয়ে আসে। তিস্তার উজানে ভারত বিশাল ব্যারেজ তৈরি করায় দীর্ঘদিন বাংলাদেশ

পানি পায়নি, বিশেষ করে শুকনো মওসুমে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে

পানির প্রবাহ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ফলে পলি পড়ে

River bed উঁচু হয়ে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ভারতীয়

এলাকাকে বন্যামুক্ত রাখার জন্য গজলডোবায় পানি ছাড়ার ফলে ভাটি

এলাকায় নদী প্লাবিত হয়ে আশপাশ এলাকায় পানি ছড়িয়ে পড়ে বন্যার সৃষ্টি করে এবং তার প্রবল স্রোত নদীর Concave সাইডে আঘাত

করে বাড়িঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায় এবং মুহূর্তে হাজার হাজার পরিবার

পথের ভিখারিতে পরিণত হয়। এই হতভাগ্যরাই এখন খাল পাড়ের অসহায়

বস্তিবাসী। বস্তির একাধিক বাসিন্দা বললেন যে, তাদের বাড়িতে পাকা

বিল্ডিং ছিল, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি এবং তিন ফসলি দশ বিঘার

অধিক জমি ছিল। কিন্তু এখন সবই নদীর গর্ভে। এমনকি বাপ-দাদার কবরও। রিলিফ বা ত্রাণ প্রাপ্তির মধ্যে একজন বললেন, সরকারের পক্ষ থেকে

পরিবার প্রতি তারা ৫০০.০০ টাকা পেয়েছেন। ঘরের টিন-বেড়া তাদের

নিজস্ব। জামায়াতের তরফ থেকে প্রতি ২০টি পরিবারের জন্য একটি

করে টিউবওয়েল এবং ১০টি পরিবারের জন্য একটি করে ৫ রিং এর

স্ল্যাব ল্যাট্রিন করে দেয়া ছাড়াও সীমিত আকারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

করা হয়েছে। কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং ইসলামিক এইড নামক একটি মানবিক সাহায্য সংস্থার তরফ থেকে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত

যৎসামান্য অর্থ দিয়ে আমরা কিছু খাদ্য সামগ্রী ও পানি নিয়ে তাদের

মধ্যে বিতরণ করেছিলাম। তাদের অবস্থা দেখে বিব্রত হয়ে পড়লাম।

দুর্গতদের সংখ্যার তুলনায় তা ছিল অনেক কম। তথাপিও তারা সন্তুষ্ট

চিত্তে তা গ্রহণ করেছেন। খাবার পানির সংকট মেটানোর জন্য আমরা

মাম এর ৫ লিটার বোতল দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা তার পরিবর্তে খালি বোতল দেয়ার অনুরোধ করলেন। তাদের ৮ লিটারের খালি

বোতলই বাজার থেকে ২০ টাকা দরে কিনে দেয়া হয়েছে। এই বোতলে

টিউবওয়েলের পানি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা শ্রেয় বলে তারা

মনে করছেন। পর দিন লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ

করতে গিয়ে বিরাট সমস্যায় পড়লাম। সেখানে যাবার আগে স্থানীয়

গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে

অভাবীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে রাখতে বলেছিলাম। স্থানীয়

জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় তারা তা করেছিলেন। কিন্তু সেখানে

যাবার পর সবাই পরামর্শ দিলেন যে আমরা যাতে প্রকাশ্যে কাউকে না বলি যে আমরা ত্রাণ দিতে এসেছি। কেননা সেখানে দারিদ্র্য এতো

প্রকট ও অভাবী লোকের সংখ্যা এতো বেশি যে সাহায্য প্রার্থীদের

জনস্রোত নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ

করে আমাদেরও তাই মনে হলো। স্থানীয় আরডিআরএস অফিসে

নির্বাচিত দুর্গত ব্যক্তিদের এনে আমাদের চাল, ডাল, তেল ও পানি

বিতরণের কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে এবং আমরা স্থান ত্যাগ করার পর ত্রাণের বস্তা নিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার

পরামর্শ দিতে হয়েছে। এই অনাকাঙ্খিত কাজটি করতে গিয়ে আমরা

অত্যন্ত বিব্রতবোধ করেছি। সর্বত্রই শুনেছি, শাসক দলের কিছু

নেতাকর্মী বিরোধী দলগুলোকে ত্রাণ কাজ করতে দিচ্ছে না। আবার

কোন কোন ক্ষেত্রে এনজিওগুলোকেও তাদের মাধ্যমে ছাড়া কাজ

করতে দেয়া হচ্ছে না, যদিও আমরা এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। দুর্গত এলাকা তো বন্যা উপদ্রুত হোক অথবা নদী ভাঙ্গন।

বর্তমানে সুবিধাবঞ্চিত এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সেখানে

যারা বসবাস করছেন তারা আমাদের মতোই মানুষ, আমাদের ভাই-

বোন, ছেলে-মেয়ে। তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের ব্যাপারে আমাদের দায়িত্ব অনেক। এখানে

বৈষম্যের যেমন অবকাশ নেই তেমনি এটি দলীয়করণেরও বিষয়বস্তু নয়।

অনেকে সরকারি ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন।

আমার কাছে তারা কোন প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। আমি নাগেশ্বরী

ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা

বলেছি। একসাথে এক গাড়িতে সফর করেছি। সমস্যা সমাধানে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি এবং চমৎকার Response পেয়েছি। একইভাবে

ফুলবাড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসারের সাথে প্রায় এক ঘণ্টা

আলোচনা করেছি। তার মধ্যে অনেক গঠনমূলক চেতনা দেখেছি। আমার

মনে হয় সন্দেহপ্রবণতা পরিহার করে পারস্পরিক সমঝোতা

সৌহার্দ্যরে মধ্যদিয়ে আমরা যদি জনগণের সেবায় এগিয়ে যাই তাহলে

একটি সুন্দর সমাজ গঠন করা অসম্ভব কিছু নয়। শেষ করার আগে একটি কথা বলা জরুরি বলে মনে হয়। নীলফামারী এবং

লালমনিরহাট সদরে কোন মসজিদে নামায পড়া আমাদের পক্ষে সম্ভব

হয়নি। কেননা সফরের কারণে নামাযের জামাতের সময় সেখানে হাজির

হওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। যখন হাজির হয়েছি তখন এক

জায়গায় বেলা আড়াইটা, আরেক জায়গায় বেলা ৩টা। মসজিদে গিয়ে দেখি

মসজিদে তালা, বারান্দাও খোলা নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেল যে, সরকারি সিদ্ধান্তে বিশেষ করে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে

ফরজ জামায়াতের পর মসজিদ তালাবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। বিষয়টি

অত্যন্ত বাড়াবাড়ি বলে আমার মনে হয়। মসজিদ আল্লাহর ঘর।

আল্লাহর ঘর নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ফলাফল শুভ হয় না। স্থানীয় ও

কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য আমি

অনুরোধ করছি। বন্যা ও উপদ্রুত এলাকায় ভারতীয় একটি বন্যহাতি উদ্ধারের জন্য আমরা যদি স্বর্গমর্ত সর্বত্র দৌড়াদৌড়ি করতে

পারি তাহলে বাংলাদেশের দুর্গত মানুষদের উদ্ধারের জন্য আমাদের

খোঁজ পাওয়া যাবে না কেন?

বিষয়: বিবিধ

৯৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File