নূহ আলাইহিস সালাম এর ইতিহাস

লিখেছেন লিখেছেন ইসলাম কিংডম ২৮ মার্চ, ২০১৭, ০৯:৩৭:৪৯ রাত

নূহ আলাইহিস সালাম এর সম্প্রদায়ের লোকেরা ইতিপূর্বে ঈমানদার ছিলেন, এক আল্লাহর ইবাদত করত, পরকালে বিশ্বাসী ছিলেন, তারা ভাল কাজ করতেন, সে সব লোক মারা গেলেন। লোকজন তাদের সততা ও আখলাকের কারণে চিন্তিত হলেন। তারা সে সব লোকের মূর্তি বানালো, তারা তাদের নামকরণ করল: ওয়াদ, সুয়া’হ, ইয়াগুছ, ইয়াউক, নসর ইত্যাদি। লোকজন এ সব মূর্তির কথা ভুলে গেল, তারা এগুলোকে সে সব মৃত্যু সৎ লোকের চিহ্ন হিসেবে গণ্য করতে লাগল। শহরের লোকজন ঐ সব মৃত্যু ব্যক্তিদের সম্মানে এসব চিত্রগুলোকে সম্মান করতে লাগল। এভাবে যুগের পর যুগ চলতে লাগল, এক সময় পিতাদের মৃত্যু হলো ও সন্তানেরা বৃদ্ধ হলো, তারা এসব মূর্তিগুলোকে আরো সম্মান করে নিজেদের কাছে নিয়ে এলো, তাদের সামনে রাখল, এভাবে মূর্তিগুলো ঐ সম্প্রদায়ের নিকট অনেক সম্মানের পাত্রে পরিণত হল। এরপর পরবর্তী প্রজন্ম এলো, তারা এসবের ইবাদত করা শুরু করল, বলতে লাগল যে, এসব ইলাহদের সিজদা করতে হয়, তাদের সামনে নতজানু হতে হয়, ফলে তারা সে সবের ইবাদত করত। এভাবেই তাদের অনেকে পথভ্রষ্ট হলো।

এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা তাদের নিকট হযরত নূহ (আঃ) কে পাঠালেন, তিনি তাদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন, মূর্তির পূজাঁ করতে নিষেধ করলেন, তাদেরকে এক আল্লাহর দিকে আহবান করলেন, নূহ(আঃ) জাতির কাছে এসে বললেন: সে বলেছিলঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর বন্দেগী কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন মাবুদ নেই। (মু’মিনুন: ২৩)

লোকেরা তাঁকে মিথ্যারোপ করল, তিনি তাদেরকে আল্লাহর আযব থেকে সতর্ক করলেন, তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তি আশংকা করি। (শুয়ারা: ১৩৫)

যখন নূহ (আঃ) নিশ্চিত হলেন যে, তার জাতি যুক্তিসংগত দাওয়াত গ্রহণ করেবেনা, তারা হেদায়েতের পথে চলবেনা, তখন তিনি সীমালংঘনকারীদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করতে লাগলেন। নূহ বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় তো আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে। (শুয়ারা: ১১৭) অতএব, আমার ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সংগী মুমিনগণকে রক্ষা করুন। (শুয়ারা: ১১৮)

তখন আল্লাহ তায়া’লা তাকে কিস্তি তৈরি করতে বললেন। নূহ (আঃ) যখন ঈমানদার ও প্রত্যেক প্রাণী থেকে একজোড়া করে কিস্তিতে আরোহণ করলেন তখন আকাশ থেকে মুশল ধারে বৃষ্টি ঝড়তে শুরু করল, জমিন থেকে পানি নির্গত হতে লাগল। জমিন যখন পানিতে একেবারেই ডুবে গেল, তখন সব কাফির ধ্বংস হলো।

এরপরে জমিন তার পানি শুকিয়ে নিল, নূহ(আঃ) ও ঈমানদারেরা কিস্তি থেকে নামল, তারা শহর গড়ে তুলল, গাছপালা রোপণ করল, যেসব পশুপাখি তাদের সাথে ছিল সেগুলো ছেড়ে দিল, এভাবে জমিন আবাদ করা শুরু করল, লোকজন সন্তান সন্তুতি জন্ম দেয়া শুরু করল।

নূহ আলাইহিস সালাম বিস্তারিত পড়ার জন্য: ••► bn.islamkingdom.com/s2/47461

বিষয়: বিবিধ

৮৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File