মক্কার ইতিহাস

লিখেছেন লিখেছেন ইসলাম কিংডম ১৮ জুলাই, ২০১৭, ১১:১৮:৫৬ রাত

মক্কার ইতিহাস ও অবস্থান

মক্কা সেমিটিক ভাষা বাক্কা থেকে উৎকলিত, যার অর্থ উপত্যকা।

পবিত্র কুরআনের এক জায়গায় মক্কার নাম ‘বাক্কা’ বলে উল্লিখিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন: (নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা বাক্কায় (মক্কায়)। যা বরকতময় ও হিদায়েত বিশ্ববাসীর জন্য।) [সূরা আলে ইমরান:৯৬]

খৃষ্টপূর্ব ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইবরাহীম ও ঈসমাঈল আলাইহিমাস সালাম এর যুগ থেকে মক্কার ইতিহাস শুরু হয়; কেননা তাঁরাই ছিলেন মক্কার প্রথম বসবাসকারী। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের বক্তব্য এভাবে উল্লেখ করেন: (হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমি আমার কিছু বংশধরদেরকে ফসলহীন উপত্যকায় আপনার পবিত্র ঘরের নিকট বসতি স্থাপন করালাম, হে আমাদের রব, যাতে তারা সালাত কায়েম করে। সুতরাং কিছু মানুষের হৃদয় আপনি তাদের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন এবং তাদেরকে রিয্ক প্রদান করুন ফল-ফলাদি থেকে, আশা করা যায় তারা শুকরিয়া আদায় করবে।)[সূরা ইবরাহীম: ৩৭]

ইবরাহীম আলাইহিস সালামের দুআর ফজিলতেই ইসমাঈল আলাইহিস সালামের পায়ের নীচ থেকে যমযমের পানি বিস্ফারিত হয় যখন তার মায়ের কাছে-থাকা খাদ্য ও পানীয় শেষ হয়ে যায়। সে সময় থেকে বিভিন্ন গোত্র এ কূপের কাছে আসতে থাকে এবং মক্কা নগরীতে শুরু হয় জীবনচাঞ্চল্য।

বিভিন্ন গোত্র, নানা জায়গা থেকে মক্কায় আসতে থাকে, আর আধিক্য পেতে থাকে তারা সংখ্যায়। কুরাইশ গোত্রের কাছে অর্পিত হয় মক্কার নেতৃত্ব তথা শাসনভার। কুরাইশরা তাদের এ দায়িত্বে বহাল থাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাব মক্কা ও সমগ্র পৃথিবীর জীবনধারায় সাধিত করে বিশাল পরিবর্তন ।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কায় প্রেরিত হলেন, আর কাবা পরিণত হলো মুসলমানদের কিবলায় এবং ইসলামী দাওয়াতের সূতিকাগারে। তবে মক্কাবাসীরা ছিল ইসলামি দাওয়াতের বিরুদ্ধে অত্যাধিক কঠোর, মুসলমানদেরকে সবথেকে বেশি নির্যাতনকারী। এমনকি একসময় মুসলমানরা নিজ ভূমি ছেড়ে হিজরত করে চলে যেতে বাধ্য হন মদীনায়। এবং সেখানেই প্রতিষ্ঠা লাভ করে সর্বপ্রথম ইসলামি রাষ্ট্র। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিজয়ী বেশে ফিরে আসেন মক্কায়। সে সময় থেকে মক্কা একটি বড় ইসলামি অঞ্চলে পরিণত হয়, যা অদ্যাবধি বহাল রয়েছে।

মক্কা মুকাররামা ও মক্কার পবিত্র-অঞ্চল মুসলিম শাসক ও খলীফাদের সমধিক গুরুত্বের স্থান ছিল, যা তারা নানা পর্যায়ে উন্নত ও সম্প্রসারিত করেছেন এবং তাকে একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছেন, যা থেকে ইসলামের আলো সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।

বিস্তারিত জানার জন্য ••►



বিষয়: বিবিধ

৯০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File