সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত- ২২

লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ১২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০২:৩২ দুপুর

আল-হাদিসের আরশিতে ফিরকাবাজি

তারপর মাওঃ মোজাহিদ একটু দম নিয়ে বলল, যাই হউক এতক্ষণ আমরা ফিরকা সংক্রান্ত কোরানের কিছু আয়াত নিয়ে আলোচনা করলাম। এখন সংক্ষিপ্তাকারে কিছু হাদীস উল্লেখ করব। যেমন-

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ افْتَرَقَتْ عَلَى إِحْدَى وَسَبْعِينَ فِرْقَةً، وَإِنَّ أُمَّتِي سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً، كُلُّهَا فِي النَّارِ، إِلَّا وَاحِدَةً وَهِيَ: الْجَمَاعَةُ "

আনাস বিন মালেক (রা) থেকে বর্নিত, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, বনী ইসরাঈল তাদের ধর্মের ব্যাপারে মতভেদ সৃষ্টি করে ৭১ ফিরকায় বিভক্ত হয়ে গেছে। আর আমার উম্মত ৭২ ফিরকায় বিভক্ত হবে। অর্থাৎ সবাই প্রবৃত্তির বশীভুত হয়ে পড়বে। তাদের একটি দল ব্যতীত সবাই জাহান্নামী হবে। আর সেই দলটি হল জামাত।(অর্থাৎ যারা নিজেরা ঐক্যের উপর থাকবে এবং অন্যদেরও রাখার চেষ্টা করবে)। (আলবানী হাদিসটি সহীহ বলেছেন)।

ব্যাখ্যাঃ এ হাদীস সম্পর্কে আগে অনেক ব্যাখ্যা গত হয়েছে তবে একটি বিষয় পরিষ্কার করা জরুরি। ফেরকাবাজ আলেমরা এ হাদীস নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছে। যেমন কেউ বলে, প্রত্যেক ফেরকা একেকটা জামাত, কাজেই সবাই জামাতবদ্ধ আছে। আবার কেউ কেউ এ হাদীসের লক্ষ উদ্দেশ্য কী, তা পরিস্কার করছে না, অস্পষ্ট রাখছে। অথচ বিভিন্ন সনদে ও বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হাদীসের খণ্ডাংশ দ্বারা এর উদ্দেশ্য পরিস্কার হয়ে যায়। যেমন এক বর্ননায় এসেছে- قَالُوا: وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي – অর্থাৎ সাহাবাগন জিজ্ঞেস করলেন, সেই একটি দল কারা হে আল্লাহর রাসুল? তিনি উত্তর দিলেন ‘আমি এবং আমার সাহাবাগন যার উপর আছি- যারা এর উপর থাকবে। এখন প্রশ্ন হল মুসলমানরা তো নামায রোযা হজ্ব যাকাত ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে নবী ও তার সাহাবী গনের আদর্শের উপরই আছে, তাহলে কোন জিনিসটার উপর মুসলমানরা নাই? অন্য হাদিসে এর উত্তর রয়েছে- فقيل: يا رسول الله، وما هذه الواحدة؟ قال: فقبض يَدَه وقال: الجماعة، - অর্থাৎ রাসুলকে জিজ্ঞেস করা হল, সেই একটি দল কারা হে আল্লাহর রাসুল? তখন তিনি হাত মুষ্টিবদ্ধ করলেন, অর্থাৎ বুঝালেন যারা একত্রে থাকবে, এরপর আবার স্পষ্ট করে বললেন, ‘তারা হল জামাত বা ঐক্যবদ্ধ দল। কাজেই বুঝা গেল, যারা নিজেরা ঐক্যের উপর থাকবে এবং অন্যদেরও রাখার চেষ্টা করবে- একমাত্র তারাই নাজাত প্রাপ্ত দল, বাকি সকল ফেরকা জাহান্নামী।.

وعن بهز بن حكيم عن أبيه عن جده رضي الله عنه: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «يأتي على الناس زمان: علماؤها فتنة، وحكماؤها فتنة، تكثر المساجد والقراء، لا يجدون عالمًا إلا الرجل بعد الرجل» .

অর্থাৎ রাসূল (সা) ইরশাদ করেন, এমন যুগ আসবে যে সময়ের আলেমরা হবে ফেতনা, শাসকরা হবে ফেতনা, মসজিদের সংখ্যা বেড়ে যাবে, আলেম ও কারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে কিন্তু প্রকৃত আলেম পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ সবাই হবে ফেরকাবাজ ও ফেতনাবাজ। এরা কোরান হাদীসের বিধান মানবে না।

عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما؛ قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «سيأتي على الناس زمان لا يبقى من القرآن إلا رسمه، ولا من الإسلام إلا اسمه، يتسمون به وهم أبعد الناس منه، مساجدهم عامرة وهي خراب من الهدى، فقهاء ذلك الزمان شر فقهاء تحت ظل السماء، منهم خرجت الفتنة وإليهم تعود

رواه الحاكم في "تاريخ نيسابور»

রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, খুব শীঘ্রই আমার উম্মতের উপর এমন যমানা আসছে, তখন কোরআন বলতে শুধু অক্ষর থাকবে, ইসলামের শুধু নাম থাকবে-সেই নামে তারা নামকরণ করবে-পরিচিত হবে অথচ তারা ইসলাম থেকে বহুদূরে সরে যাবে। তাদের মসজিদসমূহ কারুকার্যমন্ডিত হবে বা লোকে লোকারণ্য হবে কিন্তু তা হবে হেদায়েতশুন্য। সে সময়ের আলেম-ফকীহরা হবে আকাশের ছায়ার নিচে নিকৃষ্টতম আলেম, তাদের থেকেই ফিতনার সূত্রপাত হবে আর এর পরিণতি তাদের দিকেই ফিরে আসবে।

ব্যাখ্যাঃ বর্তমানে মসজিদগুলি মানুষে ভর্তি, এরা শুধু নামায পড়ে কিন্তু আল্লাহ্‌র সার্বভৌমত্ব মানে না, ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা মানে না, এরা ইসলামকে শুধু একটা আচার অনুষ্ঠান সর্বস্ব ধর্ম মনে করে। এ জন্যই তারা হেদায়েত শূন্য। বর্তমানের আলেমরা হলো সর্ব নিকৃষ্ট প্রানী, তাদের ফেতনা তাদের দিকেই ফিরে আসবে। যেমন তারা বিভিন্ন বিদাত ও মতবাদ সৃষ্টি করে একক উম্মাহকে ভেঙ্গে বিভিন্ন ফিরকার জন্ম দিয়ে একেকটা ফিরকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সংখ্যালঘুতে পরিনত হয়েছে। ফলে হেফাযত, জামাত, ব্রাডারহুড, তালেবান ইত্যাদিরা বিভিন্ন সময় হত্যাযজ্ঞের শিকার হচ্ছে। আবার তারা সম্মিলিতভাবে খিলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন না করে একে অন্যের পিছু লেগে আছে। এই সুযোগে দাজ্জাল (ইহুদি খৃষ্টান) পৃথিবীর কর্তৃত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছে। আর ইসলামপন্থীদের মৌলবাদী জঙ্গি সন্ত্রাসী ইত্যাদি বলে হত্যা করছে, ধ্বংস করছে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে তাদেরকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। এভাবেই আলেমদের সৃষ্ট ফেরকাবাজীর ফেতনা তাদের দিকেই ফিরে এসেছে।

[وكذلك قال محمد رسول الله صلى الله عليه وأله وسلم عن المُسلمين اليوم وعُلماءهم:

يأتي على الناس زمان بطونهم آلهتهم ونساؤهم قبلتهم ، ودنانيرهم دينهم ، وشرفهم متاعهم ، لا يبقى من الايمان إلا اسمه ، ومن الاسلام إلا رسمه ، ولا من القرآن إلا درسه ، مساجدهم معمورة ، وقلوبهم خراب من الهدى ، علماؤهم أشر خلق الله على وجه الأرض . حينئذ ابتلاهم الله بأربع خصال : جور من السلطان ، وقحط من الزمان ، وظلم من الولاة والحكام ، فتعجب الصحابة وقالوا : يا رسول الله أيعبدون الأصنام ؟ قال : نعم ، كل درهم عندهم صنم] صدق مُحمد رسول الله صلى الله عليه واله وسلم.—

রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, মানুষের উপর এমন যুগ আসছে, তখন পেট হবে তাদের ইলাহ, নারীরা হবে তাদের কেবলা, অর্থ সম্পদ হবে তাদের ধর্ম, দাম্ভিকতা-অহংকার হবে তাদের পন্য। ঈমানের শুধু নামটাই থাকবে, ইসলামের শুধু রুসুম-রেওয়াজ থাকবে, কোরআনের শুধু পঠন-পাঠন থাকবে (অনুশাসন থাকবে না)। তাদের মসজিদ হবে কারুকার্যময়-লোকে লোকারণ্য কিন্তু অন্তর হবে হেদায়েত শুন্য। তাদের আলেমরা হবে ভূপৃষ্ঠে খোদার নিকৃষ্টতর প্রাণী। সে সময়ে আল্লাহ তা’লা চারটি বিষয়ে তাদেরকে শাস্তি দিবেন, শাসকের অত্যাচার, কালের কড়াল গ্রাস, নেতা-নেত্রি ও বিচারকদের জুলুম। তখন সাহাবায়ে কেরাম হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! তখন কী মানুষ মূর্তিপূজা করবে? উত্তরে রাসূল (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ প্রত্যেক দিরহাম হবে তাদের মূর্তি অর্থাৎ তারা ধন সম্পদের পূজা করবে।

وقال مُحمد رسول الله صلى الله عليه وأله وسلم عن أمة اليوم وعُلماءهم:

يأتي على الناس زمان وجوههم وجوه الآدميين ، وقلوبهم قلوب الشياطين ، كأمثال الذئاب الضواري ،سفّاكون للدماء ، لا يتناهون عن منكر فعلوه ، إن تابعتهم إرتابوك ، وإن حدثتهم كذّبوك ، وإِن تواريت عنهم اغتابوك ، السُّنة فيهم بدعة ، والبدعة فيهم سُنة ،والحليم بينهم غادر ، والغادر بينهم حليم ، والمؤمن فيما بينهم مستضعف ،والفاسق فيما بينهم مشرّف ، صبيانهم عارم ، ونساؤهم شاطر ، وشيخهم لا يأمربالمعروف ولا ينهى عن المنكر ، الالتجاء إليهم خزي ، والاعتزاز بهم ذل ،وطلب ما في أيديهم فقر ، فعند ذلك يحرمهم الله قطر السماء في أوانه ، وينزّله في غير أوانه ، يسلط عليهم شرارهم فيسومونهم سوء العذاب] صدق مُحمد رسول الله صلى الله عليه وأله وسلم. –

অর্থঃ রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, মানুষ এমন সময়কালে উপনিত হবে, তখন তাদের চেহারা হবে মানুষের কিন্তু অন্তর হবে শয়তানের, তারা ক্ষুধার্থ নেকড়ের ন্যায় রক্তপাত ঘটাবে। তারা সবাই খারাপ কাজ করবে কিন্তু পরস্পরকে বাধা দিবে না। তুমি তাদের অনুসরণ করলে সন্দেহ করবে, কথা বললে মিথ্যাবাদী গণ্য করবে, তুমি তাদের চোখের আড়াল হলে গীবত করবে। তাদের কাছে বিদাত সুন্নাত আর সুন্নাত বিদাত হিসাবে পালিত হবে। ভদ্র তাদের কাছে গাদ্দার বা প্রতারক আর গাদ্দার শিষ্টাচারি বা ভদ্র বলে গণ্য হবে। মুমীন তাদের কাছে দুর্বল আর ফাসিক সম্ভ্রান্ত বলে গণ্য হবে। তাদের সন্তানরা হবে রুঢ় সীমালঙ্ঘনকারী বা পিতা মাতাকে কষ্ট প্রদানকারী, নারীরা হবে ধুর্ত ছলনাময়ী। তাদের মুরুব্বীরা ভালকাজের আদেশ করবে না খারাপ কাজে বাধা দিবে না। বিনয় তাদের কাছে নীচতা আর সম্মান হেয়তা বলে গণ্য হবে। তাদের হস্তগত কিছু কামনা করা ভিক্ষা গণ্য করবে। সে সময় আল্লাহ তা’লা তাদের উপর আকাশের বৃষ্টি (রহমত) হারাম করে দিবেন, অসময়ে তা প্রেরন করবেন। তখন নিকৃষ্টরা তাদের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে এবং তাদেরকে কঠিন শাস্তি আস্বাদন করাবে। ব্যাখ্যাঃ এটাই বর্তমান যুগ।

37144 - أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: «مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَارَقَ الْإِسْلَامَ»

37154 - أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ حُذَيْفَةَ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ: «مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ»

হুযায়ফা (রাঃ) বলেছেন : যে জামাত (ঐক্য) থেকে এক বিঘত পরিমাণও সরে যাবে সে ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেল। তিনি আরো বলেন, যে জামাত (ঐক্য) থেকে এক বিঘত পরিমাণও সরে গেল সে তার গর্দান থেকে ইসলামের জাল খুলে ফেলল।

37155 - وَكِيعٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَرْثَدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمِّي أَبُو صَادِقٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: «الْأَئِمَّةُ مِنْ قُرَيْشٍ , وَمَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَقَدْ نَزَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ»

হযরত আলী (রা) বলেন, নেতৃত্ব কুরাইশদের জন্য, যে জামাত (ঐক্য) থেকে এক বিঘত পরিমাণও সরে গেল সে তার গর্দান থেকে ইসলামের জাল খুলে ফেলল।

37158 - غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَحْمَرَ أَوِ ابْنَ أَحْمَرَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَخْطُبُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ: «مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَمَاتَ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি জুমার খুৎবায় বলেন, যে জামাত থেকে এক বিঘত পরিমাণও সরে যাবে, তার মৃত্যু হবে জাহিলি যুগের মৃত্যুর ন্যায়।

37174 - غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: " وَيْحَكُمْ , أَوْ قَالَ: وَيْلَكُمْ , لَا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ "

ইবনে উমর (রাঃ) নবী করীম (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন- নবী (সাঃ) বিদায় হজ্বে বলেন, হায় ধ্বংস তোমাদের জন্য, আমার পরে তোমরা কুফুরীতে ফিরে যেয়ো না এভাবে যে, একে অন্যের গর্দান মারা শুরু করবে। ব্যাখ্যাঃ মুসলমানের পরস্পর ঝগড়া বিবাদ ও মারামারি কুফুরি।

37206 - أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا هِلَالُ بْنُ خَبَّابٍ أَبُو الْعَلَاءِ، قَالَ: سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ , قُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ , مَا عَلَامَةُ هَلَاكِ النَّاسِ؟ قَالَ: إِذَا هَلَكَ عُلَمَاؤُهُمْ "

আবুল আলা সায়িদ ইবনে যুবাইরকে প্রশ্ন করেন, এই মানব মন্ডলি মানে উম্মতে মুহাম্মদির ধ্বংসের আলামত কি? সায়িদ ইবনে যুবাইর বলেন, যখন তাদের আলেম সমাজ ধ্বংস হবে অর্থাৎ গুমরাহ হয়ে যাবে তখন উম্মতও ধ্বংস হয়ে যাবে।

37220 - يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا تَوَجَّهَ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَقَتَلَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ فَهُمَا فِي النَّارِ» , قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ , هَذَا الْقَاتِلُ , فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ؟ قَالَ: «إِنَّهُ أَرَادَ قَتْلَ صَاحِبِهِ»

রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, যখন দুই জন মুসলমান তলোয়ার নিয়ে একে অন্যের মুখোমুখি হয়ে একজন অপর জনকে হত্যা করে তখন তারা উভয়ই জাহান্নামী। সাহাবাগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, হত্যাকারী তো বুঝলাম কিন্তু নিহিত ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে কেন? উত্তরে রাসূল (সাঃ) বললেন, সেও তো তার প্রতিপক্ষকে হত্যার ইচ্ছা পোষণ করেছিল। অর্থাৎ কোন মুসলমানকে হত্যার ইচ্ছা করাও কুফুরী, জাহান্নামের কারণ।

মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা

[ص:338] عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ، لَا يَحِلُّ دَمُ رَجُلٍ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللهِ إِلَّا ثَلَاثَةُ نَفَرٍ: التَّارِكُ الْإِسْلَامَ الْمُفَارِقُ لِلْجَمَاعَةِ، أَوِ الْجَمَاعَةَ، وَالثَّيِّبُ الزَّانِي، وَالنَّفْسُ بِالنَّفْسِ " قَالَ الْأَعْمَشُ: فَحَدَّثْتُ بِهِ إِبْرَاهِيمَ فَحَدَّثَنِي عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، بِمِثْلِهِ رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي

আব্দুল্লাহ বলেন রাসূল (সাঃ) খুৎবা দিতে আমাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে বললেন, যিনি ব্যতিত কোন উপাস্য নাই সেই আল্লাহ্‌র শপৎ, যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র একত্ববাদ ও আমার রিসালাত সম্পর্কে সাক্ষ্য দিবে এমন ব্যক্তির রক্তপাত কখনোই জায়েয নয়। তবে তিন অবস্থায় জায়েয আছে, ১। ইসলাম পরিত্যাগ করে জামাত থেকে পৃথক হয়ে গেলে। ২। বিবাহিত যিনাকারী। ৩। হত্যার কিসাস বা প্রতিশোধ হিসাবে।

الصَّحِيحِ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ বায়হাকি

16821 - أَخْبَرَنَا أَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو، ثنا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثنا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، ثنا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، وَدَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، وَهِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، ح وَأَخْبَرَنَا أَبُو زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَا: ثنا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، أنبأ الرَّبِيعُ، أنبأ الشَّافِعِيُّ، أنبأ مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ غَيَّرَ دِينَهُ فَاضْرِبُوا عُنُقَهُ "

রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, যে স্বীয় দ্বীন পরিবর্তন করল তার গর্দান মেরে দাও। এখানে গায়্যারা-এর দু’টি অর্থ হতে পারে ১। ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যাওয়া, ২। দ্বীনের মধ্যে পরিবর্তন করে বিদাত সৃষ্টি করে বিভিন্ন ফেরকায় বিভক্ত হয়ে যাওয়া। যেমন বর্তমান ফেরকাগুলি।

7077 - حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي وَاقِدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ

রাসূল (সাঃ) বলেন, তোমরা আমার পরে একে অন্যের গর্দান মেরে পুনরায় কুফুরীতে ফিরে যেও না। অর্থাৎ মুসলমানদের পরস্পর ঝগড়া বিবাদ কুফুরী যা ফিরকাগুলি করছে।

মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা

20707 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ غَيْلَانَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ، وَخَرَجَ مِنَ الطَّاعَةِ فَمَاتَ فَمِيتَتُهُ جَاهِلِيَّةٌ، وَمَنْ خَرَجَ عَلَى أُمَّتِي بِسَيْفِهِ فَيَضْرِبُ بَرَّهَا وَفَاجِرَهَا لَا يَتَحَاشَى مُؤْمِنًا لِإِيمَانِهِ، وَلَا يَفِي لِذِي عَهْدٍ بِعَهْدِهِ، فَلَيْسَ مِنْ أُمَّتِي، وَمَنْ قُتِلَ تَحْتَ رَايَةٍ عِمِّيَّةٍ يَغْضَبُ لِلْعَصَبِيَّةِ، أَوْ يُقَاتِلُ لِلْعَصَبِيَّةِ، أَوْ يَدْعُو إِلَى الْعَصَبِيَّةِ، فَقِتْلَتُهُ جَاهِلِيَّةٌ»

আবূ হুরাইরা (রাঃ) নবী করীম (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, যে আমীরের আনুগত্য ত্যাগ করবে এবং মুসলিম জামাত (ঐক্য) থেকে পৃথক হয়ে যাবে, তার মৃত্যু হবে জাহেলিয়্যাতের মৃত্যু। যে ব্যক্তি আমার উম্মতের বিরুদ্ধে বেরিয়ে ভাল মন্দ সবাইকে মারতে থাকে, মুমিনের অনিষ্ট থেকে দূরে থাকে না, অঙ্গিকার রক্ষা করে না, সে আমার উম্মত নয় মানে আমার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই, তার সাথেও আমার কোন সম্পর্ক নেই। যে ব্যক্তি মুসলিম জাতীয় পতাকার ছায়া থেকে বেরিয়ে যাবে স্বজাতির প্রতি বিদ্বেষ বশতঃ অথবা স্ব গোত্রকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে বা গোত্রবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য। এ অবস্থায় মারা গেলে তার মৃত্যু হবে জাহেলিয়্যাতের মরণ।

قَالَ يَحْيَى: فَأَخْبَرَنِي الْحَارِثُ الْأَشْعَرِيُّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «وَأَنَا آمُرُكُمْ بِخَمْسٍ: بِالسَّمْعِ، وَالطَّاعَةِ، وَالْجَمَاعَةِ، وَالْهِجْرَةِ، وَالْجِهَادِ [ص:341] فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَمَنَ خَرَجَ مِنَ الْجَمَاعَةِ قِيدَ شِبْرٍ فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ رَأْسِهِ حَتَّى يُرَاجِعَ، وَمَنْ دَعَا دَعْوَةَ جَاهِلِيَّةٍ فَإِنَّهُ مِنْ جُثَا جَهَنَّمَ» ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنْ صَلَّى وَصَامَ؟ قَالَ: «نَعَمْ، وَإِنْ صَلَّى وَصَامَ، وَلَكِنْ تَسَمُّوا بِاسْمِ اللَّهِ الَّذِي سَمَّاكُمْ عِبَادَ اللَّهِ الْمُسْلِمِينَ الْمُؤْمِنِينَ»

নবী করীম (সাঃ) বলেন, আমি তোমাদের পাঁচটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি, ইমামের কথা মানবে, আনুগত্য করবে, জামাত বদ্ধ বা ঐক্যবদ্ধ থাকবে, প্রয়োজনে হিজরত করবে, জেহাদ করবে আল্লাহ্‌র রাস্তায়। যে জামাত থেকে এক বিঘত পরিমান সরে গেল সে তার গর্দান থেকে ইসলামের জাল খোলে ফেলল, যতক্ষন পর্যন্ত না সে ফিরে আসে। যে জাহেলি যুগের কোন কিছু প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে সে যেন জাহান্নামে হাটু গেড়ে বসল। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল, যদি সে নামায রোযা করে তাহলেও? রাসুল (সা) বললেন, হাঁ যদিও সে নামায রোযা করে। তবে তোমরা তাদেরকে মুসলিম নাম ধরেই ডাকবে।

20714 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ عَرْفَجَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ خَرَجَ عَلَى أُمَّتِي وَهُمْ مُجْتَمِعُونَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمْ فَاقْتُلُوهُ كَائِنًا مَنْ كَانَ»

নবী করীম (সাঃ) বলেন, ঐক্যবদ্ধ আমার উম্মতের বিরুদ্ধে যদি কেউ বের হয় এবং তাদের মধ্যে বিভক্তি আনয়নের চেষ্টা করে তাহলে তোমরা তাকে হত্যা কর। সে যত বড় কেউ হউক না কেন?

20728 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا تَوَجَّهُ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَقَتَلَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ» ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ؟ قَالَ: «إِنَّهُ كَانَ يُرِيدُ قَتْلَ أَخِيهِ»

রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, যখন দুই জন মুসলমান তলোয়ার নিয়ে একে অন্যের মুখোমুখি হয় এবং একজন অপর জনকে হত্যা করে তখন তারা উভয়ই জাহান্নামী। সাহাবাগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, হত্যাকারী তো বুঝলাম কিন্তু নিহিত ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে কেন? উত্তরে রাসূল (সাঃ) বললেন, সেও তো তার প্রতিপক্ষ ভাইকে হত্যার ইচ্ছা পোষণ করেছিল। অর্থাৎ কোন মুসলমানকে হত্যার ইচ্ছা করাও কুফুরী, জাহান্নামের কারণ।

20744 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَبَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَخَافُ عَلَيْكُمُ الْهَرْجَ» ، قَالُوا: وَمَا الْهَرْجُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «الْقَتْلُ» ، قَالُوا: وَأَكْثَرُ مِمَّا نَقْتُلُ الْيَوْمَ، إِنَّا لَنَقْتُلُ فِي الْيَوْمِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ كَذَا وَكَذَا؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ قَتْلَ الْمُشْرِكِينَ، وَلَكِنْ قَتْلَ بَعْضِكُمْ بَعْضًا» ، قَالُوا: وَفِينَا كِتَابُ اللَّهِ؟ قَالَ: «وَفِيكُمْ كِتَابُ اللَّهِ» ، قَالُوا: وَمَعَنَا عُقُولُنَا؟ قَالَ: «إِنَّهُ تُنْتَزَعُ عُقُولُ عَامَّةِ ذَاكُمُ الزَّمَانِ، وَيُخْلَفُ لَهَا هَبَاءٌ مِنَ النَّاسِ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ عَلَى شَيْءٍ وَلَيْسُوا عَلَى شَيْءٍ»

আবূ মুসা আশয়ারি (রাঃ) থেকে বর্নিত রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের উপর হরজ-এর আশংকা করি। সাহাবা গণ প্রশ্ন করলেন, হরয জিনিসটা কী? রাসূল (সাঃ) বললেন, ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ। সাহাবাগন আরজ করলেন, বর্তমানের চেয়েও কি ভয়ঙ্কর হত্যাযজ্ঞ হবে? বর্তমানে তো আমরা অমুক অমুক মুশরেকদের সাথে লড়ছি। রাসূল (সাঃ) বললেন, ঐ যুদ্ধ মুশরেকদের সাথে হবে না বরং তোমরা একে অন্যকে হত্যা করবে। সাহাবাগণ অবাক হয়ে বললেন এটা কিভাবে সম্ভব, আমাদের মাঝে আল্লাহ্‌র কিতাব থাকবে না? রাসূল বললেন হাঁ থাকবে। সাহাবাগণ বললেন, আমাদের কি জ্ঞান বুদ্ধি থাকবে না? রাসূল (সাঃ) বললেন, ঐ সময়কালে (এক বিংশ শতাব্দিতে) তোমাদের আকল ছিনিয়ে নেয়া হবে, লোকেরা মনে করবে একমাত্র তারা নিজেরাই ভিত্তিশীল অর্থাৎ হকপন্থী আর অন্যরা ভিত্তিহীন অর্থাৎ গুমরাহ।

দৃষ্টব্যঃ অত্র হাদীসটি রাসূলের (সা) মোজেজা। হাদীসটি এই একুশ শতকের ফিরকাগুলি এবং আল কায়েদা, তালেবান, আইসিস ইত্যাদি সমস্ত গ্রুপগুলোর জন্য প্রযোজ্য।

20764 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَتَتَّبِعُنَّ سُنَنَ بَنِي إِسْرَائِيلَ شِبْرًا بِشِبْرٍ، وَذِرَاعًا بِذِرَاعٍ حَتَّى لَوْ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ جُحْرَ ضَبٍّ لَتَبِعْتُمُوهُ»

রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, তোমরা ইঞ্চি ইঞ্চি গজ ফুট মেপে মেপে বনী ইসরাইলের সুন্নত তথা রীতি নীতি পদ্ধতির অনুসরণ করবে। এমনকি বনী ইসরাইলের কোন লোক গুই সাপের গর্তে ঢুকলে তোমরাও তার অনুসরণ করবে।

বাস্তব প্রয়োগঃ অত্র হাদীসের দু’টি প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। ১। ইহুদি আলেমরা যেভাবে ফিরকা ও বিকৃতির মাধ্যমে তাদের ধর্ম ধ্বংস করেছে, ইসলামের আলেমরাও হুবহু একই পদ্ধতিতে ইসলাম ও উম্মাহ ধ্বংস করছে। ২। মুসলমানরা ইহুদিদের যন্ত্র সভ্যতা ও কাজে কর্মে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ করছে।

20765 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «لَتَرْكَبُنَّ سُنَنَ بَنِي إِسْرَائِيلَ حَذْوَ الْقُذَّةِ بِالْقُذَّةِ، وَحَذْوَ الشِّرَاكِ بِالشِّرَاكِ، حَتَّى لَوْ فَعَلَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَذَا وَكَذَا، فَعَلَهُ رَجُلٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ» ، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: قَدْ كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ قِرَدَةٌ وَخَنَازِيرُ، قَالَ: «وَهَذِهِ الْأُمَّةُ سَيَكُونُ فِيهَا قِرَدَةٌ وَخَنَازِيرَ»

قَالَ: وَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «سَيَخْرُجُ أُنَاسٌ مِنْ أُمَّتِي مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، كُلَّمَا خَرَجَ مِنْهَا قَرْنٌ قُطِعَ، كُلَّمَا خَرَجَ مِنْهَا قَرْنٌ قُطِعَ، حَتَّى عَدَدَهَا زِيَادَةً عَلَى عَشْرِ مَرَّاتٍ، كُلَّمَا خَرَجَ مِنْهَا قَرْنٌ قُطِعَ، حَتَّى يَخْرُجَ الدَّجَّالُ فِي بَقِيَّتِهِمْ»

হুযাইফা (রাঃ) বলেন, তোমরা বনী ইসরাইলের রীতি নীতি পদ্ধতির সাথে এমনভাবে মিশে যাবে যেমন তলোয়ার তার খাপের সাথে হুবহু লেগে যায়। জুতার ফিতা ফিতার মত হয় তদ্রুপ। এমনকি ইহুদিদের কেউ পাদবায়ু ছাড়লে এ উম্মতের ব্যক্তিরাও তা করার চেষ্টা করবে। এক ব্যক্তি বলল, বনী ইসরাইলের মধ্যে তো বানর শুকর ছিল? হুযায়ফা বললেন এ উম্মতের মধ্যেও বানর শুকর হবে। তারপর তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ)কে বলতে শুনেছি প্রাচ্য তথা ভারত বর্ষের দিক থেকে আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু মানুষ বা দলের আবির্ভাব ঘটবে যারা কোরআন পড়বে কিন্তু উহা তাদের কণ্ঠ নালী অতিক্রম করবে না।

বাস্তব প্রয়োগঃ এই গুমরাহ দলগুলি সম্ভবত ভারত বর্ষের দেওবন্দী, তাবলীগি ও জামাতী। কারণ, এরা কোরআন শরীফ পড়ে অথচ ফিরকা, অর্থ, বিচার, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, বিজ্ঞান ইত্যাদি সংক্রান্ত কোরানের আয়াত এদের অন্তরে ঢোকে না। এরা ইসলাম বিকৃত কারী ফিরকাবাজ।

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنِ الْجَعْدِ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ كَرِهَ مِنْ أَمِيرِهِ شَيْئًا فَلْيَصْبِرْ، فَإِنَّهُ مَنْ خَرَجَ مِنَ السُّلْطَانِ شِبْرًا مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً ‏"‏‏.‏

সহিহ বুখারী :: খন্ড ৯ :: অধ্যায় ৮৮ :: হাদিস ১৭৬

মুসাদ্দাদ (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন : কেউ যদি আমীরের কোন কিছু অপছন্দ করে, তাহলে সে যেন ধৈর্য ধারণ করে। কেননা, যে ব্যক্তি সুলতানের আনুগত্য থেকে এক বিঘত পরিমাণও সরে যাবে, তার মৃত্যু হবে জাহিলি যুগের মৃত্যুর ন্যায়।

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا شَقِيقٌ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ ‏"‏‏.‏

সহিহ বুখারী :: খন্ড ৯ :: অধ্যায় ৮৮ :: হাদিস ১৯৭

উমর ইবন হাফস (র)............ আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) ইরশাদ করেছেন : কোন মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসিকী ( জঘন্য পাপ) আর কোন মুসলমানকে হত্যা করা কুফরী।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي بُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْحَضْرَمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، أَنَّهُ سَمِعَ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ، يَقُولُ كَانَ النَّاسُ يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَيْرِ، وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ، مَخَافَةَ أَنْ يُدْرِكَنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَشَرٍّ فَجَاءَنَا اللَّهُ بِهَذَا الْخَيْرِ، فَهَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ وَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ خَيْرٍ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ، وَفِيهِ دَخَنٌ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ وَمَا دَخَنُهُ قَالَ ‏"‏ قَوْمٌ يَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْىٍ، تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ فَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ، دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ جَهَنَّمَ، مَنْ أَجَابَهُمْ إِلَيْهَا قَذَفُوهُ فِيهَا ‏"‏‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ صِفْهُمْ لَنَا‏.‏ قَالَ ‏"‏ هُمْ مِنْ جِلْدَتِنَا، وَيَتَكَلَّمُونَ بِأَلْسِنَتِنَا ‏"‏‏.‏ قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ قَالَ ‏"‏ تَلْزَمُ جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ وَإِمَامَهُمْ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ قَالَ ‏"‏ فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا، وَلَوْ أَنْ تَعَضَّ بِأَصْلِ شَجَرَةٍ، حَتَّى يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ، وَأَنْتَ عَلَى ذَلِكَ ‏"‏‏.‏

সহিহ বুখারী :: খন্ড ৯ :: অধ্যায় ৮৮ :: হাদিস ২০৬

মুহাম্মদ ইব্ন মুসান্না (র)....... হুযায়ফা ইব্ন ইয়ামান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ্(সা) কে কল্যানের বিষয়াদি জিজ্ঞাসা করত। কিন্তু আমি তাঁকে অকল্যানের বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম এ ভয়ে যে, অকণ্যাণ আমাকে পেয়ে না বসে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা তো জাহিলিয়্যত ও অকল্যাণের মাঝে ছিলাম। এরপর আল্লাহ্ তা’লা আমাদের কে এ কল্যাণের মধ্যে নিয়ে আসলেন। এ কল্যাণের পর আবারও কি অকল্যান আসবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে এর মধ্যে কিছুটা ধূমাচ্ছন্নতা থাকবে। আমি প্রশ্ন করলাম এই ধূমাচ্ছন্নতাটা কিরূপ? তিনি বললেনঃ এক জামাআত আমার তরীকা ছেড়ে অন্য পথ অবলম্বন করবে। তাদের থেকে ভাল কাজও দেখবে এবং মন্দ কাজও দেখবে।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সেই কল্যাণের পর আবারও কি অকল্যান আসবে? রাসুল বললেন, হাঁ জাহান্নামের দরজার দিকে আহ্বানকারী এক দলের আবির্ভাব ঘটবে। যে ব্যক্তি তাদের আহ্বানে সাড়া দেবে, তাকে তারা জাহান্নামে নিক্ষেপ করে ছাড়বে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাদের কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা আমাদের বর্ণনা করুন। তিনি বললেনঃ তারা আমাদের লোকই এবং আমাদের ভাষায়ই কথা বলবে। আমি বললাম, যদি এরূপ পরিস্থিতি আমাকে পেয়ে বসে, তাহলে কি করতে নির্দেশ দেন? তিনি বললেনঃ মুসলিমদের জামাআত ও ইমামকে আঁকড়ে থাকবে। আমি বললাম, তখন যদি মুসলমাদের কোন (সংঘবদ্ধ) জামাআত ও ইমাম না থাকে? তিনি বললেনঃ তখন সকল ফিরকা পরিত্যাগ করবে, সম্ভব হলে কোন গাছের শিকড় কামড়িয়ে ধরে পড়ে থাকবে, যতক্ষণ না সে অবস্থায় তোমার মৃত্যু উপস্থিত হয়।

449 - حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، قَالَا: حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ نَاسًا مِنْ أُمَّتِي سِيمَاهُمُ التَّحْلِيقُ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ حُلُوقَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ أَوْ مِنَ الْإِسْلَامِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ هُمْ شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ»

হযরত আবু যর (রা) নবী করীম (সা) থেকে বর্ননা করেন, আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক বা দল বের হবে, তাদের নিদর্শন হল এরা মাথা মুন্ডিয়ে রাখবে। এরা কোরআন তিলাওয়াত করবে কিন্তু কোরআন তাদের কণ্ঠনালি অতিক্রম করবে না। এরা দ্বীন বা ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়। এরাই হল সৃষ্টি আর সৃষ্ট জীবের মধ্যে নিকৃষ্টতর প্রাণী।

ব্যাখ্যাঃ সম্ভবত রাসুল (সা) এখানে ভারতবর্ষের ফিরকাগুলির কথা বুঝিয়েছেন। কারণ এরা সবাই কোরআন পড়ে বটে কিন্তু কোরানে বর্নিত ফিরকাবাজির নিষেধাজ্ঞা, ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, রাষ্ট্র ব্যবস্থা ইত্যাদির অর্থ তাদের পেটে ও মগজে ঢুকে না, এগুলি তারা বুঝে না। আবার দেওবন্দি ও তাবলিগিরা মাথা মুণ্ডন করে এবং অন্যদের তুলনায় কোরআন হাদিস বেশি পড়ে তবে বুঝে না।

- حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو [ص:361] عِمْرَانَ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ: لَمَّا قَدِمَ أَبُو ذَرٍّ عَلَى عُثْمَانَ مِنَ الشَّامِ قَالَ: «يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَتَحْسَبُ أَنِّي مِنْ قَوْمٍ وَاللَّهِ مَا أَنَا مِنْهُمْ وَلَا أُدْرِكُهُمْ، يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الْإِسْلَامِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ لَا يَرْجِعُونَ إِلَيْهِ حَتَّى يَرْجِعَ السَّهْمُ عَلَى فُوقِهِ، سِيمَاهُمُ التَّحْلِيقُ وَاللَّهِ لَوْ أَمَرْتَنِي أَنْ أَقُومَ مَا قَعَدْتُ مَا مَلَكَتْنِي رِجْلَايَ وَلَوْ وَثَّقْتَنِي بِعُرْقُوَتَيْ قَتَبٍ مَا حَلَلْتُهُ حَتَّى تَكُونَ أَنْتَ الَّذِي تَحُلُّنِي»

হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্নিত, (আমীর মোয়াবিয়ার সাথে গন্ডগোলের পর) তিনি শাম থেকে ফিরে এসে হযরত উসমানকে (রা) বললেন, হে আমিরুল মু’মিনীন, আপনি কি আমাকে সেই দলভুক্ত মনে করেন- আল্লাহর কসম আমি তাদের অন্তর্ভুক্তও নই আর তাদেরকে এখনো দেখিও নি, যারা কোরআন তিলাওয়াত করবে কিন্তু কোরআন তাদের কণ্ঠনালি অতিক্রম করবে না। এরা দ্বীন বা ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়। তীর যেমন ধনুকে ফিরে আসে না তদ্রুপ এরাও আর ইসলামে ফিরবে না। তাদের নিদর্শন হল এরা মাথা মুন্ডিয়ে রাখবে। এরাই হল সৃষ্টি আর সৃষ্ট জীবের মধ্যে নিকৃষ্টতর প্রাণী।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ مَالَجَ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيُّ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَتْلُ مُؤْمِنٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ زَوَالِ الدُّنْيَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُهَاجِرِ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ ‏.‏

অধ্যায় ৩৭ :: হাদিস ৩৯৯১

মুহাম্মদ ইবন মুআবিয়া (র)......আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ ঐ সত্তার শপথ ! যার হাতে আমার প্রাণ, কোন মুসলমানকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা আল্লাহর কাছে পৃথিবী ধ্বংস হওয়া অপেক্ষা কঠোর পাপ ।

نَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَأَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ الزُّبَيْرِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي مُوسَى حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবূ কুরায়ব ও আবূ সাইব (র).....আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে, নবী বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের উপর অস্ত্র উত্তোলন করবে (মুসলমানদের পরস্পর যুদ্ধ) সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

বিষয়: রাজনীতি

৯২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File