খেঁটে খাওয়া মানুষের আদর্শ ও প্রান প্রিয় নেতা শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

লিখেছেন লিখেছেন নৈশ শিকারী ২৬ আগস্ট, ২০১৫, ১১:৫৯:১৩ সকাল

বাংলাদেশীরা নিজেদের গৌরবের খবর রাখেনা। এত বড় গৌরব কোন জাতির ইতিহাসে ঘটলে সোনার অক্ষরে লিখিত থাকত। ১৯৭৯ সালের ২০ নভেম্বর প্রতিশ্রুত ইমাম মাহাদী হবার দাবী নিয়ে জুহাইমান আল ওতাইবি নামের এক ভণ্ড ও তার দলবল মসজিদুল হারাম ও কাবা শরীফ দখল করে

নেয়। হাজারো হাজীকে তারা জিম্মি করে। সৌদি সেনাবাহিনীর সাথে মসজিদুল হারামের দখল নিয়ে

সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ চলতে থাকে।

-

এমন অবস্থা কয়েকদিন যাবত চলতে থাকে। কিন্তু পবিত্র কোরআনে মক্কা নগরীতে কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সংঘাত ও

রক্তপাতকে নিষিদ্ধ করায় সৌদি সামরিক বাহিনী ও তাদের সাথে যুক্ত হওয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এসএসজি কমান্ডো ফৌজ কোন শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারছিল না। এমতাবস্থায় প্রখ্যাত আলেম আবদুল আজিজ ইবনে বাআযের নেতৃত্বে সৌদি উলেমাগণ অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে সৌদি ও পাকিস্তানী বাহিনীকে বলপ্রয়োগ ও রক্তপাতের মাধ্যমে

বায়তুল্লাহ মুক্ত করার অনুমতি দিয়ে ফতোয়া জারি করে।

-

প্রচন্ড যুদ্ধ সংগঠিত হয় এক পর্যায়ে জুহাইমান এর অনুসারীরা দলবল নিয়ে অবস্থান নেয় হারাম শরীফের ভু গর্ভস্থ অংশে। একটি মাত্র দরজা থাকায় আর ভেতরে অবস্থান করার কারনে জুহাইমান ভালো অবস্থান নেয় কোন সৈন্য ভেতরে ঢুকতে পারে না। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়। সেই পরামর্শের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার পরামর্শ(এ ব্যাপারটা মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে ব্যাক্তি নাম প্রকাশ যেন না হয় তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে তার নাম প্রকাশ করা হয় নি) হারাম শরীফের ভু-গর্ভস্ত অংশের অভ্যন্তর ভাগ পানি দিয়ে অর্ধপূর্ণ করে দেয়। অতঃপর পানিতে বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে জুহাইমান বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে।

-

পানির মধ্যে অবস্থান করায় এং পানিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হওয়ায় জুহাইমান বাহিনী তাদের স্বাভাবিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বৈদ্যুতিক শকে জীবিত সকলের দেহ কালো বর্ণ ধারন করে যা তাদের ছবিতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। ক্ষনস্থায়ী যুদ্ধে পরাজয় হয় জুহাইমান এবং তার বাহিনীর। মৃত্যু হয় কথিত ইমাম মাহদী মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল কহতনীসহ জুহাইমান আল ওতাইবির অসংখ্য সহযোগীর। আহতবস্থায় আটক করা হয় হারাম শরীফ জিম্মি ঘটনার

খলনায়ক বিপদগামী যুবক জুহাইমান আল ওতাইবি এবং তার প্রায় সত্তরজন সহযোগীকে। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে কেটে যায় দুই সপ্তাহ। কষ্ট হলেও মেনে নিতে হচ্ছে এই সময়ে পবিত্র হারাম শরীফে কোন মুসল্লী প্রবেশ করতে পারে নি, আযানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসেনি ক্বাবা শরীফের সুউচ্চ মিনার থেকে, দুই সপ্তাহ ক্বাবা শরীফে কোন নামাজ হয়নি, হয়নি কোন তাওয়াফ। এই ঘটনা সেসময় মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক

প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। পরের বছর কাবা

ঘর পরিস্কারের সময় প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বায়তুল্লাহতে হাজির হন। কাবার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব তারা সকলে ভাগ

করে নেন।

-

জিয়াউর রহমানের ভাগে পড়ে কাবার পবিত্র মেঝের একাংশের পরিস্কারের

দায়িত্ব। তিনি নিজের রুমাল জমজমের পানিতে ভিজিয়ে কাবার মেঝে মোছেন। এতো মর্যাদাবান সম্মান পেয়ে জিয়া দেশে ফিরেই আরাফাতের ময়দানে বনায়ন করতে ২০০০০ নিমগাছের চারা পাঠিয়ে দেন সৌদি আরবে। শুধু তাই নয়, সৌদি সরকার নিমগাছের উৎপাদন জারি রাখতে সেদেশে অনেক নার্সারি স্থাপন

করেছে। জিয়াউর রহমান তৎকালীন সৌদি বাদশাহ খালেদ ইবনে আবদুল আজিজকে আনুষ্ঠানিক পত্র মারফত অনুরোধ করেছিলেন যেন আরাফাতের নিমগাছের পরিচর্যার ভার সৌদি প্রশাসন

প্রবাসী বাংলাদেশীদের হাতেই অর্পণ করে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এসব নিমগাছের রক্ষণাবেক্ষণে আরব প্রবাসী বাঙালিরাই

নিয়োজিত আছে। সৌদি সরকার কতৃক

স্থাপিত নার্সারি সমূহতেও বাঙালিরাই কর্মরত। সবচেয়ে অসাধারণ তথ্য হচ্ছে এই গাছ সেখানে কেবল

নিমগাছ নামে পরিচিত নয়, এগুলোকে 'জিয়া দরখৎ' বা জিয়া গাছ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। যেখানে আমাদের সকলের হাশর হবে সেই ময়দানকে ছায়াদার করতে বাংলাদেশ উদ্যোগী হয়েছে। এর বরকতে হলেও আল্লাহ এদেশকে রক্ষা করুন, এদেশের সম্পদে প্রাচুর্য দান করুন, এদেশের মুসলিম নামধারীদের অনুগত বান্দা হবার তৌফিক দান করুন...। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

১৯৯৮ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337914
২৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০৩:১৩
আবু জান্নাত লিখেছেন :
শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে কেটে যায় দুই সপ্তাহ।
কথিত ইমাম মাহদী মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল কহতনীসহ জুহাইমান আল ওতাইবি এই দু সপ্তাহ কি খেয়ে বেচে ছিল? খানা কোথায় পেল?
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪০
279501
নৈশ শিকারী লিখেছেন : একটা সরকার বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদি দলের কাছে সামান্য রসদ পত্র থাকাটা কি খুব অস্বাভাবিক? এটাতো সাধারণ জ্ঞান। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
337915
২৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০৩:১৫
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ভালো লাগল অনেক ধন্যবাদ
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪১
279506
নৈশ শিকারী লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
337926
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৮
নাবিক লিখেছেন : অনেক কিছু জানলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৪
279507
নৈশ শিকারী লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।, শুভ কামনা রইলো।
337932
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:০৫
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। ভালো লিখেছেনঃ ধন্যবাদ।
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৭
279508
নৈশ শিকারী লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো ভাই।
337943
২৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
শেখের পোলা লিখেছেন : নীম গাছের কথা জানতাম তবে পিছনের ঘটনা জানা ছিলনা৷ ধন্যবাদ৷
২৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১২
279511
নৈশ শিকারী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
338072
২৭ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:১৪
হতভাগা লিখেছেন : ঐ বছর কি হজ পালন হয় নি ?

(এ ব্যাপারটা মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে ব্যাক্তি নাম প্রকাশ যেন না হয় তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে তার নাম প্রকাশ করা হয় নি)


০ কিভাবে লিক হল যে ঐ ব্যক্তি জিয়া ছিলেন ?
২৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
279865
নৈশ শিকারী লিখেছেন : ব্যাপারটায় সম্ভবত ওমরাহ্‌ পালন কৃত হাজীদের জিম্মি করা হয়, যেহেতু প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজিরা ওমারাহ পালনের জন্য মক্কায় যেত সেহেতু তাদেরকে সম্ভবত জিম্মি করে বিদ্রোহীরা, আর বাৎসরিক হজের সময় বিদ্রোহীদের কার্যক্রম সফল হতোনা কারন এতো লোকের সমাগমের মধ্যে সেটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। আর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ হয়নাই মানে একেবারে প্রকাশ হয়নাই এটা ভাবা সম্পূর্ণ ভুল কেননা এত বড় বীরত্ব গাথা স্মৃতি প্রকাশের জন্য কেউ না কেউ অবশ্যই ছিলেন।
২৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:১৩
279866
হতভাগা লিখেছেন : প্রকাশ হতেই পারে । তবে সেটা জিয়া না হয়ে অন্য কেউ তো হতে পারে।
২৯ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
279925
নৈশ শিকারী লিখেছেন : যেহেতু নিমের চারা দান করার ব্যাপারটা নিশ্চয় কোন উপলক্ষ ছাড়া হয়নাই সেহেতু এখানে জিয়াউর রহমান ছাড়া অন্য কেউ আমার চিন্তার মধ্যে আসছেনা, তাছাড়া জিয়াউর রহমান সাহেবের অনেক শোভাকাঙ্খি ছিলেন তারাই হয়তো ব্যাপারটা পরবর্তীতে প্রকাশ করেছিলেন।
৩০ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:৫৪
280011
হতভাগা লিখেছেন : নিম উপকারী গাছ , নির্মল ছায়াও দেয় ।

কোন কিছু দান করার জন্য উপলক্ষ লাগে নাকি ?

হতে পারে বাংলাদেশীদের জন্য কাজের একটা স্কোপ এনে দেবার জন্যই নিম গাছ লাগানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ।
৩০ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:০৪
280063
নৈশ শিকারী লিখেছেন : সৌদিতে প্রবাসি বাংলাদেশিদের কর্ম ক্ষেত্রের অভাব নাই যে শুধু নিমের চারা রোপন করে তাদের কর্ম ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে! আপনি চারা রোপনের পিছনে এই অনুমানিক তত্বটা বিশ্বাস করলে আমার পোষ্টের কাহিনীটা বিশ্বাস করতে সমাস্যা কোথায়? আর আপনার এটা বোঝা উচিত যে একটা দেশের রাষ্ট্র প্রধানের অনেক সফর সঙ্গী থাকে, হয়তো তাদের মধ্যেই কেউ আমার উল্লেখিত কৃতিত্বের ঘটনাটা প্রকাশ করেছে। তাছাড়া এই ব্যাপারটা নিয়ে অহেতুক আর্গুমেন্টেরও কিছু দেখছিনা।
৩০ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০৩:১৫
280073
হতভাগা লিখেছেন : ও , তাহলে উইকিলিকস্‌ এর মত কিছু লিকস্‌ আগে থেকেই ছিল !

নিজের লোকেরা তো পক্ষে কথা বলবেই । মিডল-ইস্টের অন্য কোন দেশের বাহবা সূচক কোন খবর কি ছিল ?
৩০ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:০০
280099
নৈশ শিকারী লিখেছেন : প্রথমত আমার বর্ণনাটায় ই বলা হয়েছে যে এটা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচার হয়নাই, তাহলে এই ব্যাপারে কোন নিউজ আপনি কিভাবে আশা করেন? তারপর কোন বিবেক বান মুসলিম ব্যাক্তি পবিত্র বাইতুল্লাহ রক্ষার মতো বিষয় নিয়ে মিথ্যাচার করার সাহস পাবে? আপনি যদি থাকতেন আপনি পারতেন? এটা এমন একটা স্পর্শকাতর বিষয় যেটা নিয়ে মিথ্যাচর করাতো দূরের কথা কোন মুসলিম কল্পনাও করতে পারে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আর সৌদিতে এখনও জিয়া পরিবারের কতটুকু সম্মান সেটা একটু খোঁজ্‌ নিলেই জানতে পারবেন। আর সেই সম্মান শুধু কিছু নিমের চারা দানের ফলেই আসে নাই মহান কোন দায়িত্ব পালনের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আসছে; আর এটা বলা লাগেনা বিবেক দিয়ে চিন্তা করলেই বোঝা যায়। আর যদি আপনার জিয়াউর রহমানের নামের উপরই এলার্জি থাকে তাহলে তার সমস্ত কীর্তিতেই খুঁত্ পাবেন সেটাই স্বাভাবিক।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File