নিজের কথা নিজের মত করে বলার অধিকার বনাম ব্যাবসায়ীদের মানব বন্ধন

লিখেছেন লিখেছেন হাসান ইমাম পারভেজ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৩:০৬:১৫ দুপুর

আজ ৮ই ফেব্রুয়ারী 2015, ব্যবসায়ীদের ”দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও - জান মালের নিরাপত্তা চাই” এই স্লোগান নিয়েঃ ১৫ মিনিটের মানব বন্ধন কর্মসূচি হয়ে গেল। নবাবপুর রোডের ব্যবসায়ীদের সাথে আমিও রাস্তায় ছিলাম।

আমাদের নিরপেক্ষভাবে ভেবে দেখা দরকার কেন আজ এই অবস্থা? স্বাধীন দেশে কেন আমাদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হয়, কেন জণগনের কথা, কেউ শুনছে না। মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে বিরোধি দলগুলি। আর জণগণ চাইছে শান্তি-নিরাপত্তা আর স্বাভাবিক জীবন যাত্রার অধিকার।

সরকার বলছে আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলছে কিন্তু বেরিয়ে আসছে অপ্রিয় কিছু সত্যি কথা যাতে আছে আওয়ামী লীগের নাম।

ছোট ছোট দল গুলি এবং নাগরিক সমাজ আজ সংলাপের পক্ষে অথচ সরকার হত্যাতেই সমাধান ভাবছে। দুর্বিত্তের দেয়া আগুনে পুড়ছে মানুষ, সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হচ্ছে মানুষ, ধংস হচ্ছে ঘর বাড়ি ফসলের ক্ষেত আর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।

মিডিয়া ব্যার্থ হয়েছে মানুষের প্রকৃত মতামত বা পূর্ণ সত্য তুলে ধরতে। জাতি আজ আওয়ামী বিভাজনের সফল কেম্পেইনের অনিবার্য ফলশ্রুতিতে বিভক্ত। সরকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলি, সন্ত্রাস দমনের নামে ক্রসফায়ারে প্রতিদিন হত্যা করছে মানুষ যার সাথে যুক্ত হয়েছে বিরোধীদল নির্মুলে গোষ্ঠী সহ শেষ করে দেয়ার আহ্ববান! জেলখানা গুলি আজ পূর্ণ বিরোধী দল আর ভিন্ন মতের মানুষ দিয়ে। অর্থনিতী আজ ধংসপ্রাপ্ত। নতুন শিল্পায়ণ নেই, নেই কর্ম সংস্থান। আছে শুধু চেতনার খুচরা বিক্রি।

এই মানুষগুলি যদি তাদের অধিকরা আদায়ে আগেই পদক্ষেপ নিত তাহলে তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হতনা আর কেউ এমন আইন বর্হিভূতভাবে সৈরাচারী একনায়ক হয়ে উঠত না। সমস্যার সমাধান সবদলকে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আর রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত ভাবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমূহকে শক্তিশালি করণ।

আর যারা মনে করছে বিরোধি দল মতের মানুষ গুলিকে শেষ করে দিলেই দেশে শান্তি আসবে তারা হয় নিজ স্বার্থে অন্ধ অথবা তাদেরকে ভুল বুঝানো হচ্ছে। এই অস্থির পরিস্থিতি থেকে আমরা সবাই মুক্তি চাই তবে সেই প্রক্রিয়া যদি হয় ক্ষেপে গিয়ে বিরোধি দল শেষ করে দাও এই হুজুগে কন্ঠ মিলিয়ে জাতির এক অংশের উপর জুলুম নির্মুল অভিযান উপভোগ করা তাহলে সেদিন আর বেশি দেরী নয় যখন মানুষ উত্তপ্ত কড়াই থেকে জলন্ত ঊনুনে গিয়ে পড়বে।

আজ রাস্তায় নেমেছি অধিকারের কথা জানান দিতে, এটা আরো আগেই নামা উচিৎ ছিল। তবে পূর্ণ মানবাধিকরের কথা আমরা যদি না বলতে পারি তাহলে পরিণতি খুব সুখকর হবেনা কারো জন্য।

আজ আমাদের প্রয়োজন নিজের কথা বলার অধিকার, আমরা বলতে চাইঃ আমরা আপনার চোখে হাতী দেখতে চাইনা। ভাষার মাসে আমাদের মুখের ভাষা ছিনতাই করে শোষকের পক্ষের চিত্রায়ন চাই না। জণগনের কথা ভাবুন। সব ধরণের শোষকের উপস্থাপিত উন্নতির চিত্রে জণগণের কোন ভাগ নেই আছে শুধু রক্ত ঘামের গন্ধ, স্বজন হারানোদের দীর্ঘশ্বাস আর হতাশার অন্ধকার।

বিষয়: বিবিধ

৯২৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

303573
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:২০
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার মত যারা গাল ভরা ভাষাদিয়ে ব্যানার লিখে মানব বন্ধন করছেন, তারা অতকিছু না লিখে ব্যানারে লিখুন, হাসিনার পদত্যাগই এক মাত্র সমাধান৷ আপনাের মানব বন্ধনে সরকার আরও উৎসাহিত হচ্ছে৷
305717
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
হাসান ইমাম পারভেজ লিখেছেন : ধন্যবাদ
310982
২৫ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৪৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে বিরোধি দলগুলি। আর জণগণ চাইছে শান্তি-নিরাপত্তা আর স্বাভাবিক জীবন যাত্রার অধিকার।


আপনার সাথে পূর্ন সহমত। এই সাধারণ মানুষগুলোই বড়ই খারাপ, শুধু সুবিধাই নিতে চায়!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File