মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স ) এর মহানুভবতা

লিখেছেন লিখেছেন ইয়াহিয়া খান ০৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:৩৮:১২ রাত



আমাদের প্রানপ্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স ) যখন পৃথিবীতে আবির্ভূত হন , তখনকার সমাজে আরবরা নানামুখী ভয় ভীতি আতংকের মধ্য দিনানিপাত করত . তারা ভিত থাকত তাদের প্রতিবেশিকে নিয়ে, ভিত থাকত অন্য গোত্রের লোকদের নিয়ে, এমনকি তারা ভিত সন্ত্রস্ত থাকত তাদের উপাসনার জন্য তৈরী করা মুর্তিগুলোকে নিয়েও . তারা জীবন্ত সমাহিত করত তাদের সদ্যজাত কন্যাদের, ছোটখাটো কথা কাটাকাটি হলেই তলোয়ার খুলে কচুকাটা করত একে অপরকে, মায়ের সাথে, বোনের সাথে সহবাস করাকে গন্য করা হত পুরুষ আরবদের অধিকার হিসেবে ….............

অতপর মহান আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবানীতে তত্কালীন বর্বর, নিষ্ঠুর আরব সমাজে আবির্ভাব ঘটল শান্তির ধর্ম, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ভালবাসা, মহানুভবতার ধর্ম ইসলামের …..........

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স ) নিজেও ছিলেন একজন অত্যন্ত দয়ালু ও উদার ঋদয়ের ব্যক্তিত্ব , ছোট-বড়, গুনি-অগুনি, ধনী-দরিদ্র, কাফের- মুসলমান নির্বিশেষে ভালবাসতেন সবাইকে ......... ফলশ্রুতিতে নবিজি (স ) ও কাফের-মুসলমান নির্বিশেষে ভালবাসা পেয়েছিলেন সবার .........

নবিজি হজরত মুহাম্মদ (স ) যখন ইসলাম এর সুমহান বাণী প্রচার করা শুরু করলেন মহান আল্লাহ পাককে উপাসনার আহ্বান জানালেন, মূর্তি পূজা পরিহার করার দাওয়াত দিতে লাগলেন তখন তত্কালীন আরব সমাজের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলে নেত্রিবর্গরা হালকা বেকায়দায় পরে গেলেন . তারা দেখতে লাগলেন নবিজি (স ) এর সত্যবাদিতার সুনাম আর উদারতা, সুন্দর চারিত্রিক গুনাবলীর জন্য সাধারণ আরবরা নবিজি (স ) এর প্রতি গভীর ভালবাসায় নিমজ্জিত, ফলশ্রুতিতে সাধারণ আরবরা তাদের পূর্বপুরুষদের পালন করে আশা হাজার বছরে ধর্মীয় অনুশাসন ছেড়ে দিয়ে ইসলাম ধর্মে সমর্পিত হচ্ছে. ফলে তত্কালীন আরব ধর্মীয় গুরুরা ক্রোধের স্ফুলিঙ্গে জ্বলে পুরে খাক হয়ে যাচ্ছিল এবং যেকোন মূল্যে নবিজি (স ) এর ক্ষতি করার চেষ্টা করতে লাগলো.

নিচের গল্পটি হয়ত আমরা অনেকেই জেনে থাকব ::

ইসলাম প্রচারে কারণে তত্কালীন আরবের অনেক লোক জনই নবিজি (স ) কে অপছন্দ করত এবং ক্ষতি করার তালে থাকত . তেমনি একজন এক বুড়ি প্রতিদিন নবিজি (স ) এর মসজিদ গমনের সময় প্রতিদিন রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখত . নবিজি (স ) প্রতিদিন ময়লা আবর্জনাগুলো তুলে রাস্তা পরিষ্কার করে দিতেন , বুড়িটা কখনো কখনো নবিজি (স ) এর গায়েও ময়লা আবর্জনা ছুড়ে মারত . নবিজি (স ) চুপচাপ চলে যেতেন, কখনো রাগান্বিত কিংবা বিরক্ত হননি . এটা ছিল নিত্য দিনের রুটিন ….....

হটাত একদিন মসজিদে গমনের সময় নবিজি (স ) খেয়াল করলেন বুড়িটা রাস্তায় সেদিন কোন ময়লা আবর্জনা ফেলে নি ....... নবিজি (স ) সেখানে থামলেন এবং বুড়িটার প্রতিবেশী কাছে গিয়ে বুড়ির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোজ খবর নিলেন . প্রতিবেশীটি জানালেন বুড়ি মহিলাটা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী আছেন .নবিজি (স ) অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বুড়ি মহিলাটির সাথে সাক্ষাত করার অনুমতি চাইলেন .অনুমতি পাবার পর নবিজি (স ) ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বুড়িটাকে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় দেখতে পেলেন . নবিজি (স ) কে দেখার পর বুড়িটা বিচলিত হয়ে উঠেছিল এই ভেবে যে লোকটা তার উপর প্রতিশোধ নিতে এসেছে ......... কিন্তু নবিজি (স ) বুড়িটাকে নিশ্চিত করলেন যে তিনি কোন প্রতিশোধ নিতে আসেন নি বরং বুড়ির স্বাস্থের খোজ খবর নিতে এসেছেন, কারণ এবং মহান আল্লাহ পাক মুসলমানদের নির্দেশ দিয়েছেন যদি কেউ অসুস্থ হয় মুসলমানরা যেন তার খোজ খবর নেয় এবং সাহায্য করে .বুড়ি মহিলাটি নবিজি (স ) এর উদারতায় মুগ্ধ হলেন এবং বুঝতে পারলেন ইসলামী সত্যিকার ধর্ম; অতপর মহিলাটি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন ....

নিচের গল্পটি হয়টি অনেকেই জেনে থাকবেন না ::

একদা নবিজি (স ) দুপুর বেলা মরুভূমির মধ্য দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন . দুপুর হবার ফলে মরুভূমি ছিল অত্যন্ত গরম তপ্ত . এমন সময় নবিজি (স ) একজন বয়স্ক মহিলাকে খুব ভারী একটা বোঝা মাথায় নিয়ে টলতে টলতে যেতে দেখলেন . নবিজি (স ) মহিলাটির বোঝা নিজ কাধে তুলে নিলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন মহিলাটি কোথায় যাচ্ছে এবং কেন ? মহিলাটি বলল আমি শহর ছেড়ে যাচ্ছি কারণ আমি শুনেছি এই শহরে মুহাম্মদ (স ) নাম একজন জাদুকর এসেছে ..আমাদের নবিজি (স ) যথারীতিই ছিলেন শান্ত ও ধৈর্যশীল ব্যক্তি, তিনি (স ) কোন কথা না বলে চুপচাপ শুনতে লাগলেন ….. মহিলাটি গোটা সময়টা তার শহর ছাড়ার ব্যপারে নবিজি (স ) এর নাম বিভিন্ন রকমের অভিযোগ অনুযোগ করে গেলে গেলেন .যখন তারা তাদের গন্তব্যে পৌছালো, নবিজি (স ) বোঝাটি রাখলেন এবং যখন ফিরে যেতে উদ্যত হলেন তখন মহিলাটি দেকে উঠলেন "ও মহান লোক, অন্তত তোমার নামটা ত বলে যাও ! "

নবিজি(স ) উত্তর করলেন " আমিই সেই ব্যক্তি যার জন্য আপনি শহর ছেড়েছেন "

বৃদ্ধা মহিলাটি বিস্মিত হলেন এবং বুঝতে পারলেন ইসলাম ধর্মই প্রকৃত সত্য ধর্ম . তিনি ইসলাম ধর্ম কবুল করলেন .

প্রকৃত পক্ষে ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম . মহান আল্লাহ পাক বিভিন্ন আয়াতে মুসলমানদের কথা বলা চাল চলনে অত্যন্ত বিনয়ী হবার উদার হবার ক্ষমাশীল হবার, সাহায্যকারী হবার নির্দেশ দিয়েছেন : তেমনি কিছু আয়াত :

(60:8)

لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ أَنْ تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ

ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।

(60:9)

إِنَّمَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَىٰ إِخْرَاجِكُمْ أَنْ تَوَلَّوْهُمْ ۚ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ

আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।

সত্যবাদীতা

(33:70)

হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সহয,সত্য কথা বল।

(9:119)

হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।

(4:135)

হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ কর্ম সম্পর্কেই অবগত।

নিষ্ঠা

(39:2)

আমি আপনার প্রতি এ কিতাব যথার্থরূপে নাযিল করেছি। অতএব, আপনি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর এবাদত করুন।

(61:3)

তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।

(107:4)

অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,

5)যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;

6)যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে

দান/সদকা/সাহায্য-সহায়তা(অসহায়-বিপদগ্রস্তদের)

(3:92)

কস্মিণকালেও কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যদি তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে তোমরা ব্যয় (in charity) না কর। আর তোমরা যদি কিছু ব্যয় করবে আল্লাহ তা জানেন।

(76:8)

তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে।

9)

তারা বলেঃ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।

(74:6)

অধিক প্রতিদানের আশায় অন্যকে কিছু দিবেন না।

নম্রতা

(25:63)

وَعِبَادُ الرَّحْمَٰنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا

রহমান-এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মুর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম।

(31:18)

وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ

অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।

(53:32)

الَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الْإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ إِلَّا اللَّمَمَ ۚ إِنَّ رَبَّكَ وَاسِعُ الْمَغْفِرَةِ ۚ هُوَ أَعْلَمُ بِكُمْ إِذْ أَنْشَأَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ وَإِذْ أَنْتُمْ أَجِنَّةٌ فِي بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ ۖ فَلَا تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمْ ۖ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقَىٰ

যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা সুদূর বিস্তৃত। তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন, যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে কচি শিশু ছিলে। অতএব তোমরা আত্নপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে সংযমী।

ধৈর্য

(3:145)

وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُؤَجَّلًا ۗ وَمَنْ يُرِدْ ثَوَابَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِ مِنْهَا وَمَنْ يُرِدْ ثَوَابَ الْآخِرَةِ نُؤْتِهِ مِنْهَا ۚ وَسَنَجْزِي الشَّاكِرِينَ

আর আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ মরতে পারে না-সেজন্য একটা সময় নির্ধারিত রয়েছে। বস্তুতঃ যে লোক দুনিয়ায় বিনিময় কামনা করবে, আমি তাকে তা দুনিয়াতেই দান করব। পক্ষান্তরে-যে লোক আখেরাতে বিনিময় কামনা করবে, তা থেকে আমি তাকে তাই দেবো। আর যারা কৃতজ্ঞ তাদেরকে আমি প্রতিদান দেবো

(2:155)

وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ

এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।

156)

الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُمْ مُصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ

যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।

ক্ষমা

(24:22)

وَلَا يَأْتَلِ أُولُو الْفَضْلِ مِنْكُمْ وَالسَّعَةِ أَنْ يُؤْتُوا أُولِي الْقُرْبَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا ۗ أَلَا تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তোমাদের মধ্যে যারা উচ্চমর্যাদা ও আর্থিক প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন কসম না খায় যে, তারা আত্নীয়-স্বজনকে, অভাবগ্রস্তকে এবং আল্লাহর পথে হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না। তাদের ক্ষমা করা উচিত এবং দোষক্রটি উপেক্ষা করা উচিত। তোমরা কি কামনা কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।

(3:134)

الَّذِينَ يُنْفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ

যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।

(42:37)

وَالَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الْإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ وَإِذَا مَا غَضِبُوا هُمْ يَغْفِرُونَ

যারা বড় গোনাহ ও অশ্লীল কার্য থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাম্বিত হয়েও ক্ষমা করে,

(38)

وَالَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِرَبِّهِمْ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ

যারা তাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য করে, নামায কায়েম করে; পারস্পরিক পরামর্শক্রমে কাজ করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে,

(39)

وَالَّذِينَ إِذَا أَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنْتَصِرُونَ

যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।

(40)

وَجَزَاءُ سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِثْلُهَا ۖ فَمَنْ عَفَا وَأَصْلَحَ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الظَّالِمِينَ

আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।

(41)

وَلَمَنِ انْتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِ فَأُولَٰئِكَ مَا عَلَيْهِمْ مِنْ سَبِيلٍ

নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।

(42)

إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَظْلِمُونَ النَّاسَ وَيَبْغُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

(43)

وَلَمَنْ صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ

অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।

বিশুদ্ধতা এবং পরিচ্ছন্নতা:

(87:14)

قَدْ أَفْلَحَ مَنْ تَزَكَّىٰ

নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়

(15)

وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّىٰ

এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে।

(74:4)

وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ

আপন পোশাক পবিত্র করুন

(5)

وَالرُّجْزَ فَاهْجُرْ

এবং অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকুন।

সততা

(17:34)

وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ حَتَّىٰ يَبْلُغَ أَشُدَّهُ ۚ وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ ۖ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُولًا

আর, এতিমের মালের কাছেও যেয়ো না, একমাত্র তার কল্যাণ আকাংখা ছাড়া; সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যৌবনে পদার্পন করা পর্যন্ত এবং অঙ্গীকার পূর্ন কর। নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

(35)

وَأَوْفُوا الْكَيْلَ إِذَا كِلْتُمْ وَزِنُوا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ ۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا

মেপে দেয়ার সময় পূর্ণ মাপে দেবে এবং সঠিক দাঁড়িপালায় ওজন করবে। এটা উত্তম; এর পরিণাম শুভ।

(2:188)

وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ

তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।

উত্তম ও দয়ালু হওয়া

(16:90)

إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالْإِحْسَانِ وَإِيتَاءِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَيَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَالْبَغْيِ ۚ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্নীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।

(2:195)

وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ۛ وَأَحْسِنُوا ۛ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ

আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।

সম্মান ও বিবেচনাবোধ প্রদর্শন

(24:27)

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّىٰ تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَىٰ أَهْلِهَا ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।

(28)

فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فِيهَا أَحَدًا فَلَا تَدْخُلُوهَا حَتَّىٰ يُؤْذَنَ لَكُمْ ۖ وَإِنْ قِيلَ لَكُمُ ارْجِعُوا فَارْجِعُوا ۖ هُوَ أَزْكَىٰ لَكُمْ ۚ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ

যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও, তবে অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো না। যদি তোমাদেরকে বলা হয় ফিরে যাও, তবে ফিরে যাবে। এতে তোমাদের জন্যে অনেক পবিত্রতা আছে এবং তোমরা যা কর, আল্লাহ তা ভালোভাবে জানেন।

(49:12)

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ

মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।

(4:86)

وَإِذَا حُيِّيتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ حَسِيبًا

আর তোমাদেরকে যদি কেউ দোয়া করে, তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর; তারচেয়ে উত্তম দোয়া অথবা তারই মত ফিরিয়ে বল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব-নিকাশ গ্রহণকারী।

সাহস

(3:173)

الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ

যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে, তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য লোকেরা সমাবেশ করেছে বহু সাজ-সরঞ্জাম; তাদের ভয় কর। তখন তাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ়তর হয়ে যায় এবং তারা বলে, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট; কতই না চমৎকার কামিয়াবীদানকারী।

সংযম

(7:31)

يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ

হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না।

(17:29)

وَلَا تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُولَةً إِلَىٰ عُنُقِكَ وَلَا تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ مَلُومًا مَحْسُورًا

তুমি একেবারে ব্যয়-কুষ্ঠ হয়োনা এবং একেবারে মুক্ত হস্তও হয়ো না। তাহলে তুমি তিরস্কৃতি, নিঃস্ব হয়ে বসে থাকবে।

ভাব/প্রফুল্লতা

(33:35)

إِنَّ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَالْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْقَانِتِينَ وَالْقَانِتَاتِ وَالصَّادِقِينَ وَالصَّادِقَاتِ وَالصَّابِرِينَ وَالصَّابِرَاتِ وَالْخَاشِعِينَ وَالْخَاشِعَاتِ وَالْمُتَصَدِّقِينَ وَالْمُتَصَدِّقَاتِ وَالصَّائِمِينَ وَالصَّائِمَاتِ وَالْحَافِظِينَ فُرُوجَهُمْ وَالْحَافِظَاتِ وَالذَّاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتِ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا

নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার।

"সহকর্মদের সাথে প্রফুল্ল হাস্যোজ্জ্বল থাকা উত্তম সদকা" -আল-হাদিস( মিশকাত )

"সদা প্রফুল্ল থাকো" আল-হাদিস (বুখারি শরীফ)

আচরনবিধি-Code Of Conduct

পবিত্র কোরান ও নবিজী হযরত মুহাম্মদ (স: ) এর বিভিন্ন হাদিসে একজন ব্যাক্তির তার পরিবার-পরিজন,সমাজ,পাড়া প্রতিবেশী, সহকর্মী, স্বামি-স্ত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গরীব-দুঃখী,মুসলিম-অমুসলিম,পশু-পাখি সর্বোপরি সমগ্র প্রানী সম্প্র্রদায়ের প্রতি আচরনের প্র্রকৃতি কেমন হওয়া উচিত সে ব্যপারে অত্যন্ত স্পষ্ট ও সমৃদ্ধ গাইডেন্স উপস্থাপিত হয়েছে :

বাবা-মা ও প্রবীন ব্যক্তিদের প্রতি:

(17:23)

وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে উহ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।

(24)

وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।

"The Holy Prophet said, It is one of the greatest sins that a man should curse his parents. Someone said, How can a man curse his own parents? He said, If a man abuses the father of another, that person will abuse his parents (in return)." (Report in Bukhari.)

নিকটাত্মীয়

(4:36)

وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ۖ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنْبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَنْ كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا

আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে।

(17:26)

وَآتِ ذَا الْقُرْبَىٰ حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيرًا

আত্নীয়-স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না।

এতিম ও ছিন্নমুল:

(4:5)

وَلَا تُؤْتُوا السُّفَهَاءَ أَمْوَالَكُمُ الَّتِي جَعَلَ اللَّهُ لَكُمْ قِيَامًا وَارْزُقُوهُمْ فِيهَا وَاكْسُوهُمْ وَقُولُوا لَهُمْ قَوْلًا مَعْرُوفًا

আর যে সম্পদকে আল্লাহ তোমাদের জীবন-যাত্রার অবলম্বন করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে দিও না। বরং তা থেকে তাদেরকে খাওয়াও, পরাও এবং তাদেরকে সান্তনার বানী শোনাও।

"I and the man who brings up an orphan will be in paradise like this," said the Holy Prophet, putting together his forefinger and middle finger. (Report in Bukhari.)

দরিদ্র

(2:177)

لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا ۖ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ ۗ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ

সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।

(90:11)

فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ

অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি।

(12)

وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْعَقَبَةُ

আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি?

(13)

فَكُّ رَقَبَةٍ

তা হচ্ছে দাসমুক্তি

(14)

أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ

অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান।

(15)

يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ

এতীম আত্বীয়কে

(16)

أَوْ مِسْكِينًا ذَا مَتْرَبَةٍ

অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে

(107:1)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ

আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?

(2)

فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ

সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়

(3)

وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ

এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।

(70:24)

وَالَّذِينَ فِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ مَعْلُومٌ

এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে

(25)

لِلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ

যাঞ্ছাকারী ও বঞ্চিতের

"The person who manages things for the widow and the poor is like the one who strives hard in the way of Allah." (Holy Prophet in Bukhari.)

প্রতিবেশী

(4:36)

وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ۖ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنْبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَنْ كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا

আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে।

"He is not a believer who fills his stomach while his neighbour is hungry." (Holy Prophet in Hadith.)

"The angel Gabriel continued to enjoin upon me good treatment of the neighbour, so much so that I thought he would make him heir to one's property." (Holy Prophet in Bukhari.)

স্বামী/স্ত্রী

(2:187)

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَخْتَانُونَ أَنْفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنْكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে।

(30:21)

وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।

"The best of you are those who are kindest to their wives." (Holy Prophet in Tirmizi.)

"I asked Aishah (Holy Prophet's wife): What did the Prophet do when in his house? She said, `He served his wife', meaning that he did work for his wife." (Report in Bukhari.)

শত্রু

(41:34)

وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۚ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ

সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।

(5:13)

فَبِمَا نَقْضِهِمْ مِيثَاقَهُمْ لَعَنَّاهُمْ وَجَعَلْنَا قُلُوبَهُمْ قَاسِيَةً ۖ يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ عَنْ مَوَاضِعِهِ ۙ وَنَسُوا حَظًّا مِمَّا ذُكِّرُوا بِهِ ۚ وَلَا تَزَالُ تَطَّلِعُ عَلَىٰ خَائِنَةٍ مِنْهُمْ إِلَّا قَلِيلًا مِنْهُمْ ۖ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاصْفَحْ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ

অতএব, তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের দরুন আমি তাদের উপর অভিসম্পাত করেছি এবং তাদের অন্তরকে কঠোর করে দিয়েছি। তারা কালামকে তার স্থান থেকে বিচ্যুত করে দেয় এবং তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল, তারা তা থেকে উপকার লাভ করার বিষয়টি বিস্মৃত হয়েছে। আপনি সর্বদা তাদের কোন না কোন প্রতারণা সম্পর্কে অবগত হতে থাকেন, তাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া। অতএব, আপনি তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং মার্জনা করুন। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।

আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে পবিত্র কোরান উত্তমভাবে বোঝবার তৌফিক দান করুন .

বিষয়: বিবিধ

১৫৭৭ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

312935
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৪৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। দারুণ লাগলো পড়ে। হাদিসগুলো অসাধারণ।
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৪৫
253915
ইয়াহিয়া খান লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু । আমাদের নবিজি (স ) সত্যিই দারুন ছিলেন Happy

পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই ।
312938
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৫১
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : অনেক বড় লেখা ভাই, এত বড় লেখা লোকজন পড়তে চায়না। বিশেষ করে কোরআন হাদীসের লেখা হলে তো পড়তেই চায়না। এজন্য ছোট করে আরো আকর্ষনীয় করে লিখলে ভালো হতো। যাতে লোকজন পড়তে বাধ্য হয়। জাজাকাল্লাহ। ছোটমুখে বড় কথা বললাম
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৪৮
253922
ইয়াহিয়া খান লিখেছেন : লেখাটা পোস্ট করে দেবার পর আমার কাছেও মাত্রাতিরিক্ত বড় লাগছিল, এত দীর্ঘ লেখাই মনোযোগ ধরে রাখা সত্যিই দুস্কর Happy দেখি এটাকে একটু সিস্টেম করা যায় কিনা Happy

পরামর্শের জন্য অসংখ ধন্যবাদ ভাই ........... আপনিও চাইলে এটাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে নিজের মত গুছিয়ে পোস্ট করতে পারেন ।
312939
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৫৩
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : লিখাটি সময় করে পড়তে হবে।
ভাইয়া মনে কিছু নেবেন না আপনার এই লিখার গুরুত্ব অন্যান্য পোস্টার চেয়ে অধিক গুরুত্বের তবে দুই বা একাদিক পর্বে দিলে পড়ার ক্ষেত্রে সুবিদা হয়।
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৪৯
253923
ইয়াহিয়া খান লিখেছেন : ঠিকাছে ভাই, দেখছি কি করা যায়, পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ Happy
312941
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:০৪
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! দারুণ লাগলো পড়ে। হাদিসগুলো অসাধারণ লাগলো! নিয়মিত লিখুন আর চেষ্টা করুন কয়েক পর্বে লিখতে তবে পাঠকগণ মনের আনন্দে পড়বে।
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৫১
253924
ইয়াহিয়া খান লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু । অনেক ধন্যবাদ ভাই, পরামর্শ মাথায় রাখলাম Happy
312948
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৩৫
মনসুর লিখেছেন : মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৫৩
253925
ইয়াহিয়া খান লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই মনসুর Happy
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।

আমীন ।

312954
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:০৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জাযাকাল্লাহ খাইর, অনেক ভালো বিষয়ে লিখেছেন।
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:১০
253929
ইয়াহিয়া খান লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। ধন্যবাদ ভাই Happy
312964
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৯
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : অর্ধেক পড়ে আর পারলাম না, আল্লাহ্‌ মাপ করুন। খুব ভালো লিখেছেন কিন্তু লিখাটি দুইটা পর্বে দিলে আমাদের মত অধৈর্য পাঠক দের পড়তে সুবিধা হতো।

জাযাকাল্লাহু খাইর।
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩১
254098
ইয়াহিয়া খান লিখেছেন : হাহাহাহা ........... কষ্ট করে পড়েছেন এজন্য ধন্যবাদ ভাই গাজী সালাউদ্দিন, আর অতিরিক্ত বড় হয়ে যাবার জন্য আন্তরিকভাবে দু:ক্ষিত,লেখাটি দুটি পর্বে ভাগ করে পোস্ট করব ইনশাল্লাহ, প্রথম পর্বটি এখানে পাবেন:
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স ) এর মহানুভবতা :: পর্ব-১(টুডে ব্লগের ভাই বোনদের সৌজন্যে)

ভালো থাকুন ভাই।
312993
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:১১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ।

শেয়ার করার জন্য শুকরিয়া!জাযাকাল্লাহু খাইর। Good Luck
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৩
254099
ইয়াহিয়া খান লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বোন, পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ বোন। Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File