বন্ধুত্বের জয় হোক

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৫ এপ্রিল, ২০১৭, ০৩:৫৫:৫৯ দুপুর

প্রধানমন্ত্রীর বহুল প্রতীক্ষিত ভারত সফরে বোঝা গেলো শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন কতটা গুরুত্ব দেয়। দিল্লির সঙ্গে সামরিক সমঝোতা করে বৈশ্বিক নিরাপত্তা সংকটে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।আমার মনে হয় শুধুমাত্র পাগলরাই এই সফরের সমালোচনা করবেন। কিন্তু শেখ হাসিনার এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। কারণ সমালোচনাকারীরা পাকিস্তানের সঙ্গেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বাকিরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার সম্মান ও ক্ষমতা দেখে চুপ হয়ে গেছে।তিনি জাদুকরী দক্ষতায় কূটনৈতিকভাবে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন। পাকিস্তান এখানে কোনও বিষয়ই না।সৌদি আরব থেকে ইমামদের ঢাকা সফরে আসা এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌদি বাদশার সম্পর্ক এটাই প্রমাণ করে যে তিনি আরব নেতাদের হৃদয় জয় করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারণে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে আগে ভুল বোঝা হয়েছিল।ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাতে ছুটে যান। তার সম্মানে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভোজের আয়োজন করেন দেশটি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। নরেন্দ্র মোদি এই বন্ধুত্বকে সোনালি সময়ের বলে উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনাও বলেন, ভারতকে বাংলাদেশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করে। এমন বন্ধুত্ব গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে সরকারকে সহায়তা করে।মোদি সামরিক সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করেন, চুক্তি নিয়ে নয়। তিনি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের প্রয়োজন ও গুরুত্ব অনুযায়ী ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক ‍সমঝোতা করা হবে।সারাবিশ্বেই অনেক সামরিক চুক্তি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এটা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। ‘ক্ষমতার ভারসাম্য’ এর একটি দারুণ উদাহরণ এই সমঝোতা।প্রথমত শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের দৃঢ় অঙ্গীকারের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যরকম কিছু করবে না তারা। এছাড়া শেখ হাসিনা শুধু দক্ষিণ এশিয়াতেই নয় বরং বিশ্ব অঙ্গনেও একজন পরিচিত নেতা। পরাশক্তিদের সঙ্গে বিশেষ করে চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুবই ভালো।আমরা চীন রাশিয়া, যু্ক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন থেকে অস্ত্র কিনছি। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার বক্তব্যে প্রত্যেকটি তথ্য দেওয়া হয়েছে। শুধু স্ক্রিপ্ট দেখে পড়ার রীতি থেকে বের হয়ে আসার দৃশ্যও দেখা গেছে এবার। বড় কোনও বৈঠকে তার দক্ষতার বিষয়টিও প্রকাশ পেয়েছে।কিছু রাজনীতিবিদরা তার এই সফরের বিরোধিতা করছেন। তারা এটা করছেন কারণ তারা হেরে গেছেন, পর্দার আড়াল থেকে তারা জনগণের মাঝে ভারত-বিরোধী মনোভাব তৈরি করতে চেয়েছিলেন।কিন্তু নিজের সততা এবং দেশপ্রেম শেখ হাসিনাকে সাহসী করে তুলেছে। আর এই বিষয়টি পাকিস্তানপন্থী ক্ষমতালোভীদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে যার কখনই বাংলাদেশের ভালো চায়নি।বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের জয় হোক।

বিষয়: বিবিধ

৭২১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382700
১৫ এপ্রিল ২০১৭ বিকাল ০৪:১৭
হতভাগা লিখেছেন : এমনই এক বন্ধুত্ব যেখানে ভারত শুধু চেয়েই যাবে আর বাংলাদেশ উদারহস্তে দিয়েই যাবে । ভারতের কাছে কিছু চাইতে গেলে বেয়াদপি হবে।

এমন বন্ধুত্বের জয় হোক

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File