আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৫:০৪:০৪ বিকাল



সশস্র বাহিনীকে যুগপোযোগী করার লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০ নামে মহাপরিকল্পনায় নৌবাহিনীকে এয়ার উইং ও সাবমেরিন সহকারে একটি ত্রিমাত্রিক ও যেকোনো ঝুকি মোকাবেলায় সক্ষম বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। নৌবাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নৌবহরে আরো যুদ্ধজাহাজ সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নৌবাহিনী ২ টি মিসাইল ফ্রিগেট, ৪টি মিসাইল করভেট ও ৫টি দেশে তৈরী অফশোর পেট্রোল ভেসেল নৌবহরে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সর্বাধুনিক জাহাজ বানৌজা বঙ্গবন্ধুতে হেলিকপ্টার এবং জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজিত হয়েছে। সম্প্রতি নৌবাহিনী চীনের তৈরী ২টি টাইপ ০৫৬ কর্ভেট অর্ডার করেছে। এই যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশ প্রযুক্তিসহ ক্রয় করেছে, যার ফলে এটি দেশেই ভবিষ্যৎ এ তৈরি করা হবে। এছাড়া নৌবাহিনী ২০২১ সালের মধ্যে মিসাইল বোট বহর প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরেকটি যুক্তরাস্ট্র কোস্ট গার্ডের জাহাজ বানৌজা সমুদ্র অভিযান ২০১৫ সালে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। আকাশে সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ চীন থেকে ৩টি হারবিন জেড-৯ হেলিকপ্টার অর্ডার করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০১৬ সালের মধ্যে সাবমেরিন বহর স্থাপনের কাজে অগ্রসরমান হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রথম সাবমেরিন বেস স্থাপিত হচ্ছে এবং সম্প্রতি পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরের নিকটে নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক ঘাঁটি বানৌজা শের ই বাঙ্গলা উদ্বোধন করা হয়েছে যাতে সাবমেরিন ও বিমানচালনা সুবিধা আছে। আধুনিকতায় ছোঁয়ার এখন বাংলাদেশ নৌ বাহিনী যা সত্যিই আজ গর্বের।



বিষয়: বিবিধ

১৩৭২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381881
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বিকাল ০৫:১৪
হতভাগা লিখেছেন : এই যে চীন থেকে জিনিস পত্র কিনতেছে এতে ভারত মাইন্ড করবে না ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File