বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্ভাব্য অগ্রযাত্রা
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৩:৫৫:৩২ দুপুর
অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আগামী ৩৪ বছরে কতটা শক্তিশালী হবে, তা নিয়ে গবেষণা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস (পিডব্লিউসি)। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালি অর্থনীতির দেশ হবে যে ৩২টি দেশ সে সম্পর্কে একটি পূর্বানুমানমূলক তালিকাও প্রকাশ করেছে তারা। তালিকা অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে বিশ্বে ২৮তম। প্রতিষ্ঠানটির ‘সুদূর প্রসারী: ২০৫০ সাল নাগাদ কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে’ শীর্ষক বৈশ্বিক গবেষণায় বাংলাদেশ নিয়ে এমনই এক আশাবাদের তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় জিডিপির দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ৩২টি দেশের অর্থনীতিকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সে হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ৩২টি অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩১ এ। এই ৩২টি দেশের অর্থনীতি বিশ্বের মোট জিডিপির ৮৫ শতাংশের জোগান দেয়। পিডব্লিউসির গবেষণায় বলা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে। দ্রুত বর্ধনশীল কর্মক্ষম জনসংখ্যা, দেশীয় চাহিদা ও উৎপাদনে চাঙ্গাভাব থাকায় ২০১৬-২০৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি থাকবে ৫ শতাংশের মধ্যে। তবে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে অধিক বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিরও প্রয়োজন হবে। দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নজর দিতে হবে অর্থনৈতিক সংস্কার, সামষ্টিক অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ ও শিক্ষার প্রসারের দিকে। গবেষণা মোতাবেক ২০৩০ সালে বাংলাদেশের অনুমিত জিডিপির আকার হবে ১ হাজার ৩২৪ বিলিয়ন ডলার। ২০৫০ সালে গিয়ে যা দাঁড়াবে ৩ হাজার ৬৪ বিলিয়ন ডলারে। উল্লেখ্য, একটি দেশের অর্থনীতি কতটা বড় ও শক্তিশালী, সেটি নির্ধারণে সর্বস্বীকৃত দুটি উপায় আছে। একটি হলো ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে জিডিপির আকার, অন্যটি হলো বাজার বিনিময় হারের (এমইআর) ভিত্তিতে জিডিপির আকার। পিপিপির ভিত্তিতে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীনের অবস্থান বহাল থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে সরিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসবে ভারত। দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মেক্সিকো ও ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের চেয়ে এগিয়ে যাবে। পাকিস্তান ও মিসর পেছনে ফেলবে ইতালি ও কানাডাকে। ২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার অর্থনীতির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে ইউরোপ। বিশ্ব জিডিপিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৯ শতাংশ হবে। ২০৪২ সাল নাগাদই বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানের দ্বিগুণ হবে। ২০১৬-২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বের মোট জিডিপির ৫০ শতাংশের দখল থাকবে ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া ও তুরস্কের।
বিষয়: বিবিধ
৭৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন