খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পরে এবার নিরাপদ খাদ্যের অন্বেষা

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৭ অক্টোবর, ২০১৬, ০৩:৩৭:১৯ দুপুর



বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ এবং ক্রমহ্রাসমান কৃষিজমির চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এ সাফল্য এসেছে। এই সাফল্যকে টেকসই করতে সরকার এবার মনোযোগী হয়েছে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার বিষয়ে। কেননা নিরাপদ খাদ্য জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি জন নিরাপত্তা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাবারে ভেজালের মাত্রা বৃদ্ধিতে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে রপ্তানিকৃত খাদ্য চালান ফেরত এসেছে নিরাপত্তার অজুহাতে। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ খাদ্য পণ্যে ভেজাল পেয়েছে। শাক-সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস, ফলমূল এমনকি শিশু খাদ্যেও পাওয়া যাচ্ছে স্বাস্থ্যহানিকর নানা রাসায়নিকের উপস্থিতি। খাদ্য নিরাপত্তাকে পাশ কাটিয়ে এখন আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে নিরাপদ খাদ্য। ভেজালের দাপটে খাদ্য উৎপাদনের বিপুল সাফল্যই ম্লান হতে বসেছে। ঠিক এমনই এক ক্রান্তিকালে বর্তমান গণমুখি সরকার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের আওতায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন সহায়ক কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এই সরকার ২০১৩ সালেই খাদ্য নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট আইনগুলোকে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ নামে একটা আইনের অধীনে নিয়ে আসে। তবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এ বিষয়ে ইতিবাচক জন সচেতনতা বৃদ্ধি ও জনমত তৈরির সফলতার উপর, সরকার সে চেষ্টাও শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে, শিগগিরই তারা প্রত্যাশিত জনবল পাবে। এরই মধ্যে সংস্থাটির জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বিষয়: বিবিধ

৮৪০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

378773
১৭ অক্টোবর ২০১৬ বিকাল ০৫:০৭
স্বপন২ লিখেছেন :
১৭ অক্টোবর ২০১৬ রাত ০৮:৫৫
313735
হতভাগা লিখেছেন : লেবু কচলিয়ে একেবারে তিতা করে ফেলছেন ভাই

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File