রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে ২০টি পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ও ভতুর্কির সিদ্ধান্ত

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৩:০৫:৩৯ দুপুর



একটি দেশের উন্নয়নের পেছনে রপ্তানি বাণিজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। যেহেতু রপ্তানি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে ফলে এ খাতের গতিশীলতা বজায় রাখতে রাষ্ট্রের উচিত সর্বোচ্চ সচেষ্ট হওয়া। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাংলাদেশের পণ্যের মান ও মূল্য বিশ্ব বাজারের ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। এ ধারাকে আরো বেগবান এবং প্রসারিত করতে রপ্তানি খাতকে সহায়তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে সরকার ২০টি পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ও ভতুর্কির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ১২ পণ্যে ভর্তুকি ও ৮ পণ্যে নগদ সহায়তা করা হবে। গরু মহিষের নাড়ি, ভুঁড়ি, শিং ও রগ রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি ভর্তুকি দেওয়া হবে ১০ শতাংশ। শস্য ও শাক সবজির বীজ রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি ভর্তুকি দেওয়া হবে ২০ শতাংশ এবং পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি ভর্তুকি হবে ২০ শতাংশ। তিনটি পণ্যই এবার নতুন যোগ হয়েছে। আগের ১৭ পণ্যে পণ্যের ভর্তুকি ও নগদ সহায়তার হারে পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি খাতে ২০ শতাংশ ভর্তুকি, হাল্কা প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি ১৫ শতাংশ, ১০০% হালাল মাংস রপ্তানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ, জাহাজ রপ্তানিতে ভর্তুকি ১০ শতাংশ, পেট বোতল-ফ্লেক্স রপ্তানিতে ভর্তুকি ১০ শতাংশ, ফার্নিচার রপ্তানিতে ভর্তুকি ১৫ শতাংশ, প্লাস্টিক দ্রব্য রপ্তািনতে ভর্তুকি ১০ শতাংশ, পাটজাত দ্রব্যাদি রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকি ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ ও সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রপ্তানিতে ভর্তুকি দেয়া হবে ৫ শতাংশ। রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাক এর পরিবর্তে বিকল্প নগত সহায়তা দেয়া হবে ৪ শতাংশ, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা (প্রচলিত নিয়মের) ৪ শতাংশ, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তািনকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ২ শতাংশ, নতুন পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে ৩ শতাংশ সহায়তা, হোগলা খড় আখের ছোবড়া দিয়ে তৈরি পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দেয়া হবে ১৫ শতাংশ। এছাড়া হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দেয়া হবে প্রায় ৪৮ শতাংশ। চামড়া দ্রব্যাদি রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা দেয়া হবে ১৫ শতাংশ এবং আলু রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা দেয়া হবে ১০ শতাংশ।

বিষয়: বিবিধ

৭২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File