ঔষধের বাজার সম্প্রসারণে কোন প্রতিবন্ধকতা নয়!

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:২২:০৩ দুপুর



রূপকল্প-২১ অনুযায়ী বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হলেও ওষুধশিল্পে মেধাস্বত্ব ছাড় সুবিধা বহাল থাকবে। এই সুবিধার ফলে ওষুধের রফতানি বাজার সম্প্রসারণে আর কোন বাধা থাকল না। একই সঙ্গে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর এবং অভ্যন্তরীণ মার্কেটেও ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা কেটে গেল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এই ঘোষণায়। শুধু তাই নয়, আগামী ১৭ বছর মেধাস্বত্ব ছাড়ের সুবিধা পাওয়ায় গার্মেন্টস শিল্পের পরই এ শিল্প খাতটি রফতানিতে জায়গা করে নিতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনাও। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) স্বল্পোন্নত বা এলডিসি দেশগুলোর জন্য আগামী ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্বে ছাড় দিয়েছে। এতে বাংলাদেশ আরও ১৭ বছর মেধাস্বত্বের জন্য কোন ব্যয় না করেই ওষুধ তৈরি ও কেনাবেচা করতে পারবে। গত ৬ নবেম্বর জেনেভায় ডব্লিউটিও ট্রিপস (ট্রেড রিলেটেড আসপেক্টস অব ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস) কাউন্সিলের বৈঠকে অন্তত ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওষুধপণ্যের মেধাস্বত্ব কার্যকরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ডব্লিউটিওতে এলডিসি দেশের হয়ে কাজ করে আসছিল। এখনও বাংলাদেশ এলডিসি দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই সুবিধা চাওয়ার ড্রাফটিও করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল। সুতরাং এলডিসি দেশগুলোর জন্য তো বটেই, বাংলাদেশের জন্যও এটা বড় ধরনের অর্জন। শুধু তাই নয়, এলডিসি দেশগুলোর অন্তত ৫০টি দেশে কোন ধরনের ওষুধ উৎপাদন হয় না। কিন্তু বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এখন ১০৭টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। তাই সব এলডিসি দেশের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও বাংলাদেশের জন্য বড় পাওয়া। এই ছাড়ের ফলে বাংলাদেশে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না। পাশাপাশি রফতানি বাজার বাড়বে। আর ওষুধশিল্পের স্বার্থরক্ষায় প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ শুধু ওষুধ বানাচ্ছেই না, বর্তমানে রফতানি শিল্পে সম্ভাবনাময় খাত। সরকার এ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ওষুধ রফতানি করছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন প্রতি বছরই ওষুধ রফতানি বাড়ছে।

বিষয়: বিবিধ

৮০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File