নাশকতাকারীদের সহিংসতায় আহত আমাদের অর্থনীতি (পর্ব-২)

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৮ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৪৮:০৯ বিকাল

নিঃসন্দেহে তা অবিবেচক স্বার্থান্ধ সত্তায় এবং অপরাজনীতিতে। সন্ত্রাস অনেকটা বিষাক্ত সাপের মতোই। যে সাপ সমাজদেহে দংশন করলে তার বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে সর্বশরীরে। সন্ত্রাসের পথ রচনার নানা কৌশল আছে। হরতাল ও অবরোধ- এ দুটি মহাশক্তিমান পথ। রাজনৈতিক কর্মসূচী হিসেবে আখ্যা দেয়া হলেও তা আসলে আহ্বান করে হরেক রকম সন্ত্রাসকে। আগামী দিনগুলোতে আহত এই অর্থনীতিকে সুস্থতার ধারায় ফিরিয়ে এনে চাঙ্গা করে তুলতে হবে। এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, আছে অনেক বাধা আছে বিপুল বিঘ্নতা, তবু এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আছে শত্রুতা, আছে উল্টো পথের গাড়ি চালক- কিন্তু সঠিক পথে অগ্রসরমান আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ কিংবা ‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নের পরীক্ষাগার’- এ জাতীয় শ্লেষ ও বিদ্রুপ গায়ে না মেখে মানুষ আত্মশক্তি অর্জনের পথে এগিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে মর্যাদার আসনে স্বদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সম্প্রতি প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের ক্রমোন্নতি বিষয়টির স্বীকৃতি মিলেছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে ১৮ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশের কাছে বাংলাদেশ এখন অনুকরণীয়। শুধু অর্থনীতি ও মানব উন্নয়ন নয়; বাংলাদেশ এশিয়ার কোন কোন দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে আইনের শাসন, জবাবদিহিতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও। ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সব ধরনের সহিংসতাকে প্রতিরোধ করতে হবে যে কোন মূল্যে। পাশাপাশি নারীর ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। চলমান সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তাই স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী অপশক্তিকে রুখতে হবে জাতীয় স্বার্থেই।

বিষয়: বিবিধ

৬৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File