বিদ্যুতের উপর চাপ কমাতে বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাতে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে চলছে সেচযন্ত্র

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৪ মার্চ, ২০১৫, ০৪:১৬:৩৪ বিকাল



ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বাসিন্দারা এখনও পায়নি বিদ্যুতের আলো। তাই বলে তারা অন্ধকারে আছে? মোটেই না। তারা ঠিকই আলোর দেখা পেয়েছে, তবে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে। প্রায় প্রতিটি ঘর আলোকিত এই সৌর বিদ্যুতের আলোয়। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাড়িতে বাড়িতে জ্বলছে বাতি, চলছে টেলিভিশন, ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখাও। শুধু তাই নয়, এ সোলার প্যানেলের বিদ্যুতে সেচও দিচ্ছেন কৃষক।

ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা একটু ভাল, তাদের বাড়ি সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। প্রযুক্তির সবকিছুই চলে এ বিদ্যুতের সাহায্যে। শুধু বৃষ্টিনির্ভর কৃষি অঞ্চল হিসেবে খ্যাত গোদাগাড়ীর চরাঞ্চলই নয়, সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে এখন বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাতেও সেচযন্ত্র চলছে। বিদ্যুত সুবিধা না থাকায় এক সময় পুরোপুরি কৃষিনির্ভর বরেন্দ্র ও চরাঞ্চলের কৃষক জমিতে সেচ দিতেন জ্বালানি তেল (ডিজেল) ব্যবহার করে শ্যালো ইঞ্জিনের সাহায্যে। এতে বাড়ত উৎপাদন ব্যয়, তেলের সঙ্কট দেখা দিলে মাঠেই ছারখার হতো কৃষকের স্বপ্ন। আজ তারা তেলের ওপর নির্ভরশীল নয়। বসেছে সোলার প্যানেল, সূর্যের আলো কাজে লাগিয়ে চলছে সেচকাজ। এই প্যানেলের মাধ্যমে সূর্যের আলো শক্তিতে পরিণত হয়ে পাম্পের সাহায্যে উঠছে ভূগর্ভস্থ পানি। সেই পানিতে সতেজ কৃষিজমি, কৃষকের মুখে হাসি। দারুণ ফলনে খুশি কৃষক, ফসল ঘরে উঠছে নির্বিঘ্নে। সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুত উৎপাদন একটি নতুন ধারণা। সোলার সেচ পাম্প ব্যবহারে যে বিদ্যুত উৎপাদন হয়, তা পরিবেশ দূষণমুক্ত এবং খরচও কম। এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে এখন অনেক সুবিধা পেতে শুরু করেছে কৃষক।

বিষয়: বিবিধ

৯০৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

307223
০৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৩
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : ভালো খবর
307236
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০৭
অষ্টপ্রহর লিখেছেন : ভাল লাগলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File