সচ্চরিত্র বা আখলাক সম্পর্কিত হাদীস

লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ২৫ জানুয়ারি, ২০২১, ০৪:৫১:০৬ রাত

#সৎচরিত্রের_ফযিলত:

(সচ্চরিত্র বলতে কথায় সততা ও বিনয়-নম্রতা, মানুষের সাথে উত্তম আচার আচরণ ও সর্বক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা ও উদারতা, সর্বোপরি রাসূলুল্লাহর আদর্শকে ধারণ করা। কেননা আল্লাহ বলেন- "তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য রাসূলের অনুসরণের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।"৩৩:২১)

আল্লাহ বলেন-

خُذِ الۡعَفۡوَ وَ اۡمُرۡ بِالۡعُرۡفِ وَ اَعۡرِضۡ عَنِ الۡجٰہِلِیۡنَ

ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন কর, সত্য-সঠিক কাজের আদেশ দাও আর জাহিলদেরকে এড়িয়ে চলো (সূরা আরাফ, ৭:১৯৯)

الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ فِی السَّرَّآءِ وَ الضَّرَّآءِ وَ الۡکٰظِمِیۡنَ الۡغَیۡظَ وَ الۡعَافِیۡنَ عَنِ النَّاسِ ؕ وَ اللّٰہُ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ

(মুত্তাকী তারা) যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল, আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন। (সূরা আলে ইমরান, ৩:১৩৪)

وَ لَا تَسۡتَوِی الۡحَسَنَۃُ وَ لَا السَّیِّئَۃُ ؕ اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ فَاِذَا الَّذِیۡ بَیۡنَکَ وَ بَیۡنَہٗ عَدَاوَۃٌ کَاَنَّہٗ وَلِیٌّ حَمِیۡمٌ

আর ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দকে প্রতিহত করো তা দ্বারা যা উৎকৃষ্টতর, ফলে তোমার ও যার মধ্যে শত্রুতা রয়েছে সে যেন হয়ে যাবে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু। (সূরা হা মীম সাজদাহ, ৪১:৩৪)

#হাদীস

১.

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ لَمْ يَكُنْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاحِشًا وَلَا مُتَفَحِّشًا وَكَانَ يَقُوْلُ إِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশ্লীল ভাষী ও অসদাচরণের অধিকারী ছিলেন না। তিনি বলতেন: "তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে চরিত্রের দিক থেকে সর্বোত্তম।" (বুখারী:৩৫৫৯, মুসলিম:২৩২১)

অপর বর্ণনায় এসেছে-

إِنَّ مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَيَّ أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا

তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই আমার সবচেয়ে প্রিয় যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। (বুখারী, ফাযায়েলে সাহাবীায় অধ্যায়, হা:৩৭৫৯,সহীহুল জামে':২২০০)

২.

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَكْمَلُ النَّاسِ إِيمَانًا وَأَفْضَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا , وَخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ "

আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষের মধ্যে ঈমানে পরিপূর্ণ ও ঈমানে সর্বশ্রেষ্ঠ মুমিন হচ্ছে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি। যেসব লোক নিজেদের নারীদের নিকট চরিত্রে উত্তম তারাই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। (মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ:২৪৭৩৪) ভিন্ন ভাষ্যে-

৩.

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا وَخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ خُلُقًا ‏"

বাংলা: আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে ঈমানে পরিপূর্ণ মুসলিম হচ্ছে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি। যেসব লোক নিজেদের নারীদের নিকট চরিত্রে উত্তম তারাই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। (তিরমিযী:১১৬২) হাদীসের প্রথমাংশ (أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا) বর্ণিত আছে, সুনানে আবু দাউদ: ৪৬৮২, ইবনে হিব্বান:৪৭৯, দারেমী:২৭৯২, সহীহ আল জামে':১২৩০, সহীহ আততারগীব: ২৬৪৬)

৪.

আইশা রা. সূত্রে-

(أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا وَأَلْطَفُهُمْ بِأَهْلِهِ) "ঈমানের দিক থেকে পরিপূর্ণ মু’মিন ব্যক্তি হল সেই ব্যক্তি যার চরিত্র সুন্দর এবং যে ব্যক্তি স্বীয় পরিবারের প্রতি অধিক দয়ার্দ্র (হাকেম:১৭৮, আহমাদ:২৬৬৭৭, মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ:২৪৭৩৫)

৫.

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:أَلَا أُنْبِئُكُمْ بِخِيَارِكُمْ؟ قَالُوا: بَلٰى. قَالَ:خِيَارُكُمْ أَطْوَلُكُمْ أَعْمَارًا وَأَحْسَنُكُمْ أَخْلَاقًا

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি বলে দেব না যে, তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি কে? সহাবায়ে কিরাম বললেনঃ জ্বী হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম, যার বয়স বেশি এবং যার চরিত্র ভালো। (আহমাদ:৯২৩৫, বাযযার:৮৫৫৯, ইবনে হিব্বান:৪৮৪)

৬.

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا

আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের মাঝে চরিত্রগুণে সর্বোত্তম ছিলেন। (মুসলিম:২১৫০)

আল্লাহ বলেন-

(وَإِنَّكَ لَعَلَىٰ خُلُقٍ عَظِيمٖ ) “তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।” (সূরা ক্বলম: ৪)

৭.

عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْبِرِّ وَالإِثْمِ فَقَالَ ‏ "‏ الْبِرُّ حُسْنُ الْخُلُقِ وَالإِثْمُ مَا حَاكَ فِي صَدْرِكَ وَكَرِهْتَ أَنْ يَطَّلِعَ عَلَيْهِ النَّاسُ

নাওয়্যাস ইবনু সাম'আন আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পূণ্য ও পাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তখন উত্তর দিলেন: "পূণ্য হচ্ছে সচ্চরিত্র, আর পাপ হচ্ছে যা তোমার (অন্তরে) খটকা সৃষ্টি করে এবং লোকে তা জানূক তা তুমি অপছন্দ করো। (মুসলিম:২৫৫৩, তিরমিযী:২৩৮৯)

৮.

عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ : كُنْت فِي مَجْلِسٍ فِيهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي سَمُرَةَ جَالِسٌ أَمَامِي ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إنَّ الْفُحْشَ وَالتَّفَحُّشَ لَيْسَا مِنْ الْإِسْلَامِ فِي شَيْءٍ ، وَإِنَّ أَحْسَنَ النَّاسِ إسْلَامًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا

জাবির ইবনে সামুরাহ (রা.) বলেন, আমি এক মজলিসে ছিলাম যেখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন এবং আবু সামুরাহ আমার সামনে বসা ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "নিশ্চয়ই অশ্লীলতা ও অশ্লীল কাজ ইসলামের অংশ নয়, এবং ইসলামে সর্বোত্তম লোক হলো যে আচরণের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম।" (মুসনাদে আহমাদ:২০৩৪৯, মুসনাদে আবী ই'য়ালা:৭৪৬৮, মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ:২৫৩১৬, (৫/২১০) জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ সূত্রে সহীহ আত তারগীব:২৬৫৩)

৯.

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ‏:‏ أُخْبِرُكُمْ بِأَحَبِّكُمْ إِلَيَّ، وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ‏؟‏ فَسَكَتَ الْقَوْمُ، فَأَعَادَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، قَالَ الْقَوْمُ‏:‏ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ‏:‏ أَحْسَنُكُمْ خُلُقًا‏.‏

আমর ইবনে শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ আমার নিকট প্রিয়তর এবং কিয়ামতের দিন আমার নিকটবর্তী আসনে উপবিষ্ট হবে তোমাদের মধ্যকার এমন ব্যক্তি সম্পর্কে আমি কি তোমাদের অবহিত করবো না? লোকজন চুপ থাকলো। তিনি দুই অথবা তিনবার কথাটি বললেন। লোকজন বললো, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যকার সর্বোত্তম স্বভাব-চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি। (মুসনাদ আহমাদ:৬৭৩৫, ইবনে হিব্বান:৪৮৫, আদাবুল মুফরাদ:২৭২)

১০.

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لأَهْلِي وَإِذَا مَاتَ صَاحِبُكُمْ فَدَعُوهُ ‏"‏ ‏

আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে সে-ই ভাল যে তার পরিবারের নিকট ভাল। আর আমি আমার পরিবারের নিকট তোমাদের চাইতে উত্তম। আর তোমাদের কোন সঙ্গী মৃত্যুবরণ করলে তার সমালোচনা পরিত্যাগ করো। (তিরমিযী:৩৮৯৫)

১১.

عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِنَّ مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَىَّ وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَحَاسِنَكُمْ أَخْلاَقًا وَإِنَّ أَبْغَضَكُمْ إِلَىَّ وَأَبْعَدَكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الثَّرْثَارُونَ وَالْمُتَشَدِّقُونَ وَالْمُتَفَيْهِقُونَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ عَلِمْنَا الثَّرْثَارُونَ وَالْمُتَشَدِّقُونَ فَمَا الْمُتَفَيْهِقُونَ قَالَ ‏"‏ الْمُتَكَبِّرُونَ ‏"‏ ‏

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সর্বোত্তম তোমাদের মধ্যে সে-ই আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় এবং কিয়ামত দিবসেও আমার খুবই নিকটে থাকবে। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার নিকট সবচেয়ে বেশি ঘৃণ্য সে ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে আমার নিকট হতে অনেক দূরে থাকবে তারা হলোঃ বাচাল, ধৃষ্ট-নির্লজ্জ এবং অহংকারে মত্ত ব্যক্তিরা। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। বাচাল ও ধৃষ্ট-দাম্ভিকদের তো আমরা জানি কিন্তু মুতাফাইহিকূন কারা? তিনি বললেনঃ অহংকারীরা। তিরমিযী:২০১৮, আবু সা'লাবা সূত্রে ইবনে আবী শাইবাহ:২৫৩২০) ইমাম তিরমিযী বলেন- ‘আস-সারসার যে লোক বেশি কথা বলে (বাচাল)। 'আল-মুতাশাদিক' হলো- , মানুষের সামনে যে লোক লম্বা লম্বা কথা বলে বেড়ায়, ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অশালীন উক্তি করে, নির্লজ্জ ও দাম্ভিকতাপূর্ণ কথা বলে।

সদাচার ও উত্তম চরিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক (রহঃ) বলেন, তা হলো হাস্যোজ্জ্বল চেহারা, উত্তম জিনিস দান করা এবং কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকা। (তিরমিযী:২০০৫)

ইবনু মাস‘ঊদ (রা.) বলেন, মানুষের সাথে এমনভাবে মেলামেশা করবে, যেন তাতে তোমার দ্বীনে আঘাত না লাগে। আর পরিবারের সঙ্গে হাসি তামাশা করো। (সনদহীন, বুখারী:৬১২৯)

১২.

عَنِ ابنِ عُمَرَو قَالَ قَالَ رسول الله ﷺ أفضلُ الْمُؤْمِنينَ إسْلاماً مَنْ سَلِمَ المُسْلِمُونَ مِنْ لِسانِهِ وَيَدِه وأفْضَلُ المُؤْمِنينَ إيمَاناً أحْسَنُهُمْ خُلُقاً وأفْضَلُ المُهاجِرِينَ مَنْ هَجَرَ ما نَهى اللهُ تعالى عَنْهُ وأفضلُ الجهادِ منْ جاهَدَ نَفْسَهُ في ذاتِ اللهِ عزّ وجَل

ইবনে আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘ইসলামের দিক হতে শ্রেষ্ঠ মু’মিন সেই ব্যক্তি, যার জিহবা ও হস্ত হতে মুসলিমরা নিরাপদে থাকে। ঈমানের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ মু’মিন সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র সবার চেয়ে সুন্দর। শ্রেষ্ঠ মুহাজির (হিজরতকারী বা আল্লাহর জন্য স্বদেশত্যাগী) সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তুসমূহকে ত্যাগ করে। আর শ্রেষ্ঠ জিহাদ সেই ব্যক্তির, যে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিতে নিজের মনের বিরুদ্ধে জিহাদ করে।(সহীহ আল জামে:১১২৯, সহীহাহ:১৪৯১, তাবারানী)

১৩.

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا مِنْ شَيْءٍ أَثْقَلُ فِي الْمِيزَانِ مِنْ حُسْنِ الْخُلُقِ

আবূ দারদা (রা.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মীযানের পাল্লায় সচ্চরিত্রের চেয়ে অধিক ভারী আর কিছুই নেই। (আবু দাউদ:৪৭৯৯) তিরমিযীর বর্ণনায় এসেছে- "‏ مَا شَيْءٌ أَثْقَلُ فِي مِيزَانِ الْمُؤْمِنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ خُلُقٍ حَسَنٍ وَإِنَّ اللَّهَ لَيَبْغَضُ الْفَاحِشَ الْبَذِيءَ ‏"‏

কিয়ামত দিবসে মুমিনের দাড়িপাল্লায় সচ্চরিত্র ও সদাচারের চেয়ে বেশি ওজনের আর কোন জিনিস হবে না। কেননা, আল্লাহ তা'আলা অশ্লীল ও কটুভাষীকে ঘৃণা করেন। (তিরমিযী:২০০২)

১৪.

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا، وَبِبَيْتٍ فِي وَسَطِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًا وَبِبَيْتٍ فِي أَعْلَى الْجَنَّةِ لِمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ

আবূ উমামা বাহেলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের যিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের যিম্মাদার আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের যিম্মাদার। (আবু দাউদ:৪৮০০, বাইহাকী:২১৭০৮,সহীহ আত তারগীব:২৬৪৮)

১৫.

عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ ‏"

আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ তুমি যেখানেই থাক আল্লাহ্ তা'আলাকে ভয় কর, মন্দ কাজের পরপরই ভাল কাজ কর, তাতে মন্দ দূরীভূত হয়ে যাবে এবং মানুষের সাথে উত্তম আচরণ কর। (তিরমিযী:১৯৮৭, দারেমী:২৭৯১, সহীহ আত তারগীব:২৬৫৫)

১৬.

عَنْ عَائِشَةَ رَحِمَهَا اللَّهُ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ الْمُؤْمِنَ لَيُدْرِكُ بِحُسْنِ خُلُقِهِ دَرَجَةَ الصَّائِمِ الْقَائِمِ

আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই মু‘মিন ব্যক্তি তার ভালো চরিত্রের মাধ্যমে (দিনের) সওম পালনকারী ও (রাতের) তাহাজ্জুদ গুজারীর সমান মর্যাদা লাভ করতে পারে। (আবু দাউদ:৪৭৯৮, সহীহুল জামে':১৯৩২, সহীহ ইবনে হিব্বান:৪৮০)

১৭.

عَنْ أُساَمَةَ بْنِ شَرِيْكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺأَحَبُّ عِبَادِ اللهِ إِلَى اللهِ أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا

উসামাহ বিন শারীক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়তম বান্দা হল সেই, যার চরিত্র সুন্দর। (সহীহ আল জামে':১৭৯)

১৮.

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَكْثَرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ الْجَنَّةَ فَقَالَ ‏"‏ تَقْوَى اللَّهِ وَحُسْنُ الْخُلُقِ ‏"‏ ‏.‏ وَسُئِلَ عَنْ أَكْثَرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ النَّارَ فَقَالَ ‏"‏ الْفَمُ وَالْفَرْجُ ‏"

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হলো, কোন কর্মটি সবচাইতে বেশি পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। তিনি বললেনঃ আল্লাহভীতি, সদাচার ও উত্তম চরিত্র। আবার তাকে প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজটি সবচাইতে বেশি পরিমাণ মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। তিনি বললেনঃ মুখ ও লজ্জাস্থান। (তিরমিযী:২০০৪)

১৯.

عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيَّ، يَقُولُ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ خُلُقِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لَمْ يَكُنْ فَاحِشًا وَلاَ مُتَفَحِّشًا وَلاَ صَخَّابًا فِي الأَسْوَاقِ وَلاَ يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَصْفَحُ

আবূ আবদুল্লাহ আল-জাদালী (রহঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চরিত্র-মাধুর্য সম্বন্ধে আইশা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো অশ্লীল ও কটুভাষী ছিলেন না, অশ্লীল ব্যবহারও করেননি। তিনি কখনো বাজারে গিয়ে হউগোল করতেন না এবং অন্যায়ের দ্বারা অন্যায়ের প্রতিশোধ নেননি। বরং তিনি উদার মন নিয়ে ক্ষমা করে দিতেন। (তিরমিযী:২০১৬, মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ:২৫৩৩০)

২০.

عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ قَالَ : قَالَ رَجُلٌ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، مَا خَيْرُ مَا أُعْطِيَ الْعَبْدُ ؟ قَالَ : خُلُقٌ حَسَنٌ

উসামা ইবনু শারীক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক লোক বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! বান্দাকে যা কিছু দেয়া হয় তার মধ্যে উত্তম জিনিস কী? তিনি বলেনঃ সচ্চরিত্র। (মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ:২৫৩০৫, ইবনে মাজাহ:৩৪৩৬)

অপর বর্ণনায়-

يَا رَسُولَ اللهِ مَا خَيْرُ مَا أُعْطِىَ الْإِنْسَانُ؟ قَالَ:الْخُلُقُ الْحَسَنُ

হে আল্লাহর রসূল! উত্তম কোন্ জিনিসটি যা মানব জাতিকে দেয়া হয়েছে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ‘‘উত্তম স্বভাব’’। (ইমাম বায়হাক্বীর শু‘আবুল ঈমান: ১৫২৯, সহীহ আত্ তারগীব: ১৬০৬, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক: ২০১৫১)

২১.

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ إِنَّمَا بُعِثْتُ لِأُتَمِّمَ صَالِحَ الأَخْلاقِ

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা দান করার জন্যই আমি প্রেরিত হয়েছি (আদাবুল মুফরাদ:২৭৩, আহমাদ:৮৯৩৯, হাকিম:৪২২১)

২২.

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْمُؤْمِنُ غِرٌّ كَرِيمٌ وَالْفَاجِرُ خِبٌّ لَئِيمٌ ‏"‏ ‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু'মিন ব্যক্তি সরল ও ভদ্র হয়ে থাকে। আর পাপিষ্ঠ ব্যক্তি প্রতারক, ধোকাবাজ, কৃপণ, নীচ ও অসভ্য হয়ে থাকে।(তিরমিযী:১৯৬৪)

২৩.

عَنْ حَارِثَةَ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ الْجَوَّاظُ وَلَا الْجَعْظَرِيُّ قَالَ: وَالْجَوَّاظُ: الْغَلِيظُ الْفَظُّ

হারিসা ইবনু ওয়াহব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাওয়ায ও জা'যারি (দুশ্চরিত্র, মন্দ স্বভাব ও কঠোর ভাষা ব্যবহারকারী) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তিনি (রাবী) বলেন, জাওয়ায অর্থ অসভ্য, মন্দ স্বভাব। (আবু দাউদ:৪৮০১, সহীহুল জামি‘: ৭৬৬৯, সহীহ আত্ তারগীব ২৯০২, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্: ২৫৩২২)

চরিত্র সুন্দর করার দু'আ:

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ:اَللّٰهُمَّ حَسَّنْتَ خَلْقِىْ فَأَحْسِنْ خُلُقِىْ

আয়িশাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই বলতেন : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছ এবং আমার চরিত্রকেও তুমি উত্তম করো। (মিশকাত:৫০২৬)

আরো কিছু দুআ-'

"‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ ‏"

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে গৰ্হিত চরিত্র, গৰ্হিত কাজ ও কু-প্রবৃত্তি হতে আশ্রয় চাই”।(তিরমিযী:৩৫৯১)

"‏ اللَّهُمَّ أَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِنَا وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِنَا وَاهْدِنَا سُبُلَ السَّلَامِ وَنَجِّنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَجَنِّبْنَا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَبَارِكْ لَنَا فِي أَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُلُوبِنَا وَأَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ وَاجْعَلْنَا شَاكِرِينَ لِنِعْمَتِكَ مُثْنِينَ بِهَا قَابِلِيهَا وَأَتِمَّهَا عَلَيْنَا ‏"‏ ‏.‏

হে আল্লাহ! তুমি আমাদের অন্তরে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দাও ও আমাদের পরস্পরের মাঝে সংশোধন করে দাও, অন্ধকার থেকে আলোর পথে মুক্তি করে দাও, প্রকাশ অপ্রকাশ্য ফাহেশা কাজ থেকে বিরত রাখো, আমাদের শ্রবণ দেখা ও অন্তরের ওপর বরকাত দাও, আমাদের স্ত্রী সংসার বংশের ওপর বরকাত দাও, আমাদের তাওবা কবুল করে নাও কেননা আপনিই তাওবা কবুলকারী দয়াবান প্রভু। তোমার নিয়ামতের গ্রহণ ও বারবার শোকরগুজারিদের অন্তর্ভুক্ত করো এবং তোমার নিয়ামত আমাদের উপর পূর্ণ করে দাও। (ইবনে হিব্বান:৯৯৬)

"‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَالْهَرَمِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ اللَّهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلاَهَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ وَمِنْ دَعْوَةٍ لاَ يُسْتَجَابُ لَهَا ‏"

"হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পানাহ চাই অপারগতা, অলসতা, ভীরুতা, বখিলতা, বার্ধক্যতা এবং কবরের শাস্তি থেকে। হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে পরহেযগারিতা দান করুন এবং একে সংশোধন করে দিন। আপনি একমাত্র সর্বোত্তম সংশোধনকারী এবং আপনিই একমাত্র তার মালিক ও আশ্রয়স্থল। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পানাহ চাই এমন ইলম হতে যা কোন উপকারে আসবে না ও এমন অন্তঃকরণ থেকে যা আল্লাহর ভয়ে ভীত হয় না; এমন আত্মা থেকে যা কক্ষনও তৃপ্ত হয় না। আর এমন দু’আ থেকে যা কবুল হয় না।" (মুসলিম:২৭২২)

#সামসুল_আলম

#হাদীস_সমারোহ #দরসে_হাদীস

বিষয়: বিবিধ

৬৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File