ইয়া'জুজ-মা'জুজ কি পাশ্চাত্য সভ্যতার নাম? একটা সংক্ষিপ্ত আলোচনা

লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ০১ মার্চ, ২০১৮, ০৩:৩৩:৫২ রাত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

ইয়া'জুজ-মা'জুজ কি পাশ্চাত্য সভ্যতার নাম? একটা সংক্ষিপ্ত আলোচনা:



ইয়াজুজ-মা’জুজের দল বের হওয়া কিয়ামতের একটি অন্যতম বড় আলামত। এরা কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে (ঈসা আ.এর অবতরণের পর) বের হয়ে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও মহা ফিতনার সৃষ্টি করবে। এরা বর্তমানে যুল-কারনাইন বাদশা কতৃক নির্মিত প্রাচীরের ভিতরে অবস্থান করছে।

ইয়া'জুজ-মা'জুজ সম্পর্কে আলোচনা আল কুরআনে এসেছে। আল্লাহ বলেন-

حَتَّىٰ إِذَا بَلَغَ بَيْنَ السَّدَّيْنِ وَجَدَ مِنْ دُونِهِمَا قَوْمًا لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ قَوْلًا

১৮:৯৩: "(চলতে চলতে) সে যখন দুই পর্বত-প্রাচীরের মধ্যবর্তী স্থলে পৌঁছল, তখন সেখানে সে এক সম্প্রদায়কে পেল, যারা তার কথা প্রায় বুঝতেই পারছিল না।"

قَالُوا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِنَّ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ فَهَلْ نَجْعَلُ لَكَ خَرْجًا عَلَىٰ أَنْ تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ سَدًّا

১৮:৯৪: তারা বলল, ‘হে যুলকারনাইন! ইয়া’জূজ ও মা’জূজ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করছে; আমরা কি আপনাকে কর দেব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মাঝে এক প্রাচীর গড়ে দেবেন?

১৮:৯৫: قَالَ مَا مَكَّنِّي فِيهِ رَبِّي خَيْرٌ فَأَعِينُونِي بِقُوَّةٍ أَجْعَلْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ رَدْمًا

সে বলল, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন তাই উৎকৃষ্ট; সুতরাং তোমরা আমাকে শ্রম দ্বারা সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও তাদের মাঝে এক সুদৃঢ় প্রাচীর গড়ে দেব।

آتُونِي زُبَرَ الْحَدِيدِ ۖ حَتَّىٰ إِذَا سَاوَىٰ بَيْنَ الصَّدَفَيْنِ قَالَ انْفُخُوا ۖ حَتَّىٰ إِذَا جَعَلَهُ نَارًا قَالَ آتُونِي أُفْرِغْ عَلَيْهِ قِطْرًا

১৮:৯৬: তোমরা আমার নিকট লৌহপিন্ডসমূহ আনয়ন কর।’ অতঃপর মধ্যবর্তী শূন্যস্থান পূর্ণ হয়ে যখন লৌহস্তূপ দুই পর্বতের সমান হল, তখন সে বলল, ‘তোমরা হাপরে দম দিতে থাকো।’ পরিশেষে যখন ওটা অগ্নিবৎ উত্তপ্ত করল, তখন সে বলল, ‘তোমরা গলিত তামা আনয়ন কর, আমি ওটা ওর উপর ঢেলে দিই।’

فَمَا اسْطَاعُوا أَنْ يَظْهَرُوهُ وَمَا اسْتَطَاعُوا لَهُ نَقْبًا

১৮:৯৭: এরপর ইয়া’জূজ ও মা’জূজ তা অতিক্রম করতে পারল না এবং ছেদ করতেও পারল না।

قَالَ هَٰذَا رَحْمَةٌ مِنْ رَبِّي ۖ فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ رَبِّي جَعَلَهُ دَكَّاءَ ۖ وَكَانَ وَعْدُ رَبِّي حَقًّا

১৮: ৯৮: সে বলল, ‘এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ; অতঃপর যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি এসে পড়বে তখন তিনি ওটাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবেন। আর আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।’ (সূরা ১৮ কাহাফঃ ৯৩-৯৮)

কুরআনের আয়াত দ্বারা সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, ইয়া'জুজ-মা'জুজ একটা অত্যাচারি শক্তিশালী জাতি যারা বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়াতো এবং যুলকারনাইন তাদের প্রাচীর দ্বারা ঘেরাও করে রেখেছেন। কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে তারা আল্লাহর ইচ্ছায় প্রাচীর ভাঙ্গতে সক্ষম হবে এবং দলে দলে বের হয়ে এসে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। যেমন কুরআনে এসেছে-

حَتَّىٰ إِذَا فُتِحَتْ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَهُمْ مِنْ كُلِّ حَدَبٍ يَنْسِلُونَ

২১:৯৬: এমন কি যখন ইয়্যাজূজ ও মা’জূজকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উঁচু ভূমি হতে ছুটে আসবে। (সূরা ২১ আম্বীয়াঃ ৯৬)

হাদীসে বলা হয়েছে, তারা প্রতিদিন সেই প্রাচীর ভাঙ্গার চেষ্টা করে আর বাকী অংশ কাল ভাঙ্গব বলে ফেলে রাখে। অতঃপর যখন আল্লাহর ইচ্ছায় তাদের বের হবার সময় হবে তখন তারা বলবে, ইনশাআল্লাহ বাকী অংশ আগামী কাল ভেঙ্গে ফেলব। সুতরাং তার পরের দিন তারা বের হতে সক্ষম হবে এবং পৃথিবীতে ধ্বংসলীলা চালাবে এমনকি ভয়ে মানুষ দুর্গে গিয়ে আশ্রয় নেবে। এরপর তারা আকাশে তীর ছুঁড়তে শুরু করবে যা রক্ত মাখা অবস্থায় তাদের কাছে ফিরে আসবে। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তাদের ঘাড়ে এক প্রকার কীট (পোকা) সৃষ্টি করবেন, যার ফলে তারা সকলেই প্রাণ হারাবে। (আহমাদ ১২/৫১১, তিরমিযী ৩১৫৩নং)

হাদীস: ইয়া'জুজ-মা'জুজ দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করা হবে:



عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَا آدَمُ‏.‏ يَقُولُ لَبَّيْكَ رَبَّنَا وَسَعْدَيْكَ، فَيُنَادَى بِصَوْتٍ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تُخْرِجَ مِنْ ذُرِّيَّتِكَ بَعْثًا إِلَى النَّارِ‏.‏ قَالَ يَا رَبِّ وَمَا بَعْثُ النَّارِ قَالَ مِنْ كُلِّ أَلْفٍ ـ أُرَاهُ قَالَ ـ تِسْعَمِائَةٍ وَتِسْعَةً وَتِسْعِينَ فَحِينَئِذٍ تَضَعُ الْحَامِلُ حَمْلَهَا وَيَشِيبُ الْوَلِيدُ ‏{‏وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ‏}‏ ‏"‏‏.‏ فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ حَتَّى تَغَيَّرَتْ وُجُوهُهُمْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مِنْ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ تِسْعَمِائَةٍ وَتِسْعَةً وَتِسْعِينَ، وَمِنْكُمْ وَاحِدٌ، ثُمَّ أَنْتُمْ فِي النَّاسِ كَالشَّعْرَةِ السَّوْدَاءِ فِي جَنْبِ الثَّوْرِ الأَبْيَضِ، أَوْ كَالشَّعْرَةِ الْبَيْضَاءِ فِي جَنْبِ الثَّوْرِ الأَسْوَدِ، وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏‏.‏ فَكَبَّرْنَا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏‏.‏ فَكَبَّرْنَا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ شَطْرَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏‏.‏ فَكَبَّرْنَا‏

আবূ সাইদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, হে আদম! তিনি বলবেন, হে রব! আমার সৌভাগ্য, আমি হাজির। তারপর তাকে উচ্চস্বরে ডেকে বলা হবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তোমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমার বংশধর থেকে একদলকে বের করে জাহান্নামের দিকে নিয়ে আস। আদম (আলাইহিস সালাম) বলবেন, হে রব! জাহান্নামের দলের পরিমান কি? বলবে, প্রতি হাজার থেকে আমার ধারনা যে, বললেন, নয়শত নিরানব্বই, এ সময় গর্ভবতী মহিলা গর্ভপাত করবে, শিশুরা বৃদ্ধ হয়ে যাবে এবং তুমি মানুষকে দেখেবে মাতাল; অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়। বস্তুত আল্লাহর শাস্তি কঠিন। (পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াতটি পাঠ করলেন), এ কথা লোকদের কাছে ভয়াবহ মনে হল। এমনকি তাদের চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল।

এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন তো ইয়া'জুজ মা'জুজ থেকে নেওয়া হবে এবং তোমাদের মধ্য থেকে একজন। আবার মানবকুলের মধ্যে তোমাদের তুলনা হবে যেমন, সাদা গরুর পার্শ্ব মধ্যে যেন একটি কালো পশম অথবা কালো গরুর পার্শ্ব মধ্যে যেন একটি সাদা পশম। আমি অবশ্য আশা রাখি যে জান্নাতবাসীদের মধ্যে তোমরাই হবে এক চতুর্থাংশ। (রাবি বলেন) আমরা সবাই খুশিতে বলে উঠলাম, আল্লাহু আকবর। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা হবে জান্নাতবাসীদের এক তৃতীয়াংশ। আমরা বলে উঠলাম, আল্লাহু আকবর। তারপর তিনি বললেন, তোমরা হবে জান্নাতবাসীদের অর্ধেক। আমরা বলে উঠলাম, আল্লাহু আকবর। (সহীহ বুখারী, তাফসীর অধ্যায়, (সূরা হাজ্জ) হা/নং:৪৪৬৪, একটু ভিন্ন শব্দে আম্বিয়া অধ্যায়: ৩১৭০,রিকাক অধ্যায়:৬১৬৫; সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, হা: ২২২, মুসনাদে আহমাদ: ১০৮৯২)



এই হাদীস দ্বারা ঐ সমস্ত লোকেদের ধারণার খন্ডন হয় যারা মনে করে যে, ইয়্যা’জূজ-মা’জূজ হল পাশ্চাত্য জাতি/সভ্যতা, যারা আজ সারা পৃথিবীর উপর আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদের জাল বিস্তার করে রেখেছে। এ সমস্ত ধারণা ভুল। ভেবে দেখুন- আল্লাহ কি সভ্যতা দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করবেন?



অথবা যারা মনে করে, তারা হলো মুসলিমদের উপর আক্রমণকারী তাতার অথবা তুর্কী সম্প্রদায়; যাদের মধ্যে চেঙ্গিস খান একজন, অথবা রুশ বা চীনা জাতিই হল ইয়া’জূজ-মা’জূজ; যাদের প্রকাশ ঘটে গেছে। অথচ তারা বের হবে ঈসা আ.-এর অবতরণের পর। যেমন হাদীসে এসেছে-



‘‘অতঃপর ঈসা (আঃ)এর নিকট এমন কিছু লোক আসবেন, যাদেরকে আল্লাহ তাআলা দাজ্জালের ফিতনা হতে হেফাযত করেছেন। তিনি তাদের চেহারায় হাত বুলাবেন এবং বেহেশতের মধ্যে তাদের উচ্চ মর্যাদা সম্পর্কে সংবাদ দিবেন। ঈসা (আঃ) যখন এ অবস্থায় থাকবেন তখন আল্লাহ তাআলা তাকে জানাবেন যে, আমি এমন একটি জাতি বের করেছি, যাদের সাথে মোকাবেলা করার ক্ষমতা কারো নেই। কাজেই আপনি আমার বান্দাদেরকে নিয়ে তুর পাহাড়ে উঠে যান। এ সময় আল্লাহ তাআলা ইয়াজুয-মা’জুযের বাহিনী প্রেরণ করবেন। তারা প্রত্যেক উঁচু ভূমি থেকে বের হয়ে আসবে। তাদের প্রথম দলটি ফিলিস্তীনের তাবারীয়া জলাশয়ের সমস্ত পানি পান করে ফেলবে। তাদের শেষ দলটি সেখানে এসে কোন পানি না পেয়ে বলবেঃ এক সময় এখানে পানি ছিল। তারা আল্লাহর নবী ও তার সাথীদেরকে অবরোধ করে রাখবে। ঈসা (আঃ) ও তার সাথীগণ প্রচন্ড খাদ্যাভাবে পড়বেন। এমনকি বর্তমানে তোমাদের কাছে একশত স্বর্ণ মুদ্রার চেয়ে তাদের কাছে একটি গরুর মাথা তখন বেশী প্রিয় হবে। আল্লাহর নবী ঈসা ও তাঁর সাথীগণ এই ফিতনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করবেন। আল্লাহ তাদের দু’আ কবূল করে ইয়াজুয-মা’জুযের ঘাড়ে ‘নাগাফ’ নামক একশ্রেণীর পোঁকা প্রেরণ করবেন। এতে একই সময়ে একটি প্রাণী মৃত্যু বরণ করার মত তারা সকলেই মারা যাবে। অতঃপর আল্লাহর নবী ঈসা ও তার সাহাবীগণ যমীনে নেমে এসে দেখবেন ইয়াজুয-মাজুযের মরা-পচা লাশ ও তাদের শরীরের চর্বিতে সমগ্র যমীন ভরপূর হয়ে গেছে। কোথাও অর্ধহাত জায়গাও খালি নেই। আল্লাহর নবী ঈসা ও তাঁর সাথীগণ আল্লাহর কাছে আবার দু’আ করবেন। আল্লাহ তাদের দু’আ কবূল করে উটের গর্দানের মত লম্বা লম্বা একদল পাখি পাঠাবেন। আল্লাহর আদেশে পাখিগুলো তাদেরকে অন্যত্র নিক্ষেপ করে পৃথিবীকে পরিস্কার করবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। এতে পৃথিবী একেবারে আয়নার মত পরিস্কার হয়ে যাবে। (সহীহ মুসলিম, ফিতনা অধ্যায়: ২৯৩৭/৫২২৮, তিরমিযী:২২৪০, মুসনাদে আহমাদ:১৭১৭৭)



তারা যে মানব সম্প্রদায়েরই অংশ তা কুরআন ও হাদীস দ্বারা ষ্পষ্ট। প্রথমত যুলকারনাইন কোনো সভ্যতাকে প্রাচীর দ্বারা আটকান নি, দ্বিতীয়ত আল্লাহ তাদের দ্বারা জাহান্নামকে পূর্ণ করবেন, তৃতীয়ত তাদের বের হবার সময় দাজ্জালের আবির্ভাব ও ধ্বংসের পর ঈসা আ.-এর রাজত্বের সময়।

যারা দাজ্জাল, ইয়া'জুজ-মা'জুজকে মানুষ ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা ব্যখ্যা করে, তাদের উপমা হিসেবে মনে করে তারা ঈসা আ.-এর অবতরণকেও অস্বীকার করে। কেউ কেউ অপব্যখ্যা করে মাহদী ও ঈসাকে একই ব্যক্তি মনে করে। অথচ হাদীসে "ইবনে মারইয়াম" শব্দে এসেছে। সুতরাং ঈসা আ. এর অবতরণকে অস্বীকার করা মানে রাসূলুল্লাহর কথাকে অবিশ্বাস করা, কেননা এ সংক্রান্ত হাদীস সহীহ ও মুতাওয়াতির পর্যায়ের।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের অবস্থা কেমন (আনন্দের) হবে যখন তোমাদের মাঝে মারিয়াম তনয় (ঈসা আলাইহিস সালাম) অবতরণ করবেন আর তোমাদের ইমাম তোমাদের মধ্য থেকেই হবে। (বুখারী: ৩২৬৫, সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়: ১৫৫)



ইয়া'জুজ-মাজুজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন- সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবু আহাদীছুল আম্বীয়া, তাফসীর। সহীহ মুসলিম, ঈমান ও ফিতনা অধ্যায়, তিরমিযী, ফিতনা অধ্যায়; তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাবারী, কুরতবী, (সূরা কাহফ দ্রষ্টব্য)



সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম

বিষয়: সাহিত্য

৯৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File