ব্লগ, ব্লগার ও ইসলাম

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ অয়েজুল হক ০২ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৩৫:৫৫ বিকাল

বাংলাদেশে বর্তমানে অসংখ্য ব্লগ। অসংখ্য ব্লগ হলেও ব্লগ জিনিসটাই দেশের অসংখ্য অগনিত মানুষের কাছে আজও পরিস্কার নয়। ব্লগ কি? কারও কাছে যদি এ প্রশ্ন করা হয় তো নানা রকম জবাব আসতে পারে। কেউ বলবেন ব্লগ হলো ফুটবলের মতো গোল একটা বস্তু। কেউ বলবেন ব্লগ দেখতে গ্যাস বেলুনের মতো । কারও কারও ধারনা - ব্লগ হলো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় কিছু যেখানে কিছু লোক বাস করেন। আবার কারও বা ধারনা ব্লগ হলো ইসলাম আর মহানবী (সঃ) কে বিদ্রুপ করার জন্য নির্মিত কিছু যেখানে ব্লাগাররা ইসলাম ও বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সঃ) কে নিয়ে কটুক্তি আর বিদ্রুপ করে থাকে।

যা হোক ব্লগ বলতে আমি আমার ধারনা থেকে যা জানি সেটুকুই বলবো- ব্লগ হলো স্বাধীন মত প্রকাশের এক প্লাটফর্মের নাম। সেখানে মানুষ লিখতে পারে। মতামত ব্যক্ত করতে পারে। ইন্টারনেট ও অন-লাইন কেন্দ্রীক ব্লগ গুলোতে আমি অসংখ্য ইসলামী ভাল ভাল লেখা পড়েছি। কারও যদি ধারনা হয় ব্লগার মানেই নাস্তিক তো আমি অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলবো, আপনি ভুলের ভেতর আছেন।

বেশ কয়েক বছর আগের কথা - আমি প্রথম আলো ব্লগে লিখতাম। হঠাৎ একদিন রাতে ছদ্ম নামে কোন এক ব্লগার ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচন্ড হারে বিষদগার শুরু করলো। দেখলাম অনেকেই তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। তার পক্ষের লোকই দেখিনি সেদিন। ব্লগ আর তার যাত্রা আজকের নয়। যেদিন থেকে ব্লগ যাত্রা শুরু করেছে সেদিন থেকেই সেখানে মানুষ তাদের স্বাধীন মত ব্যক্ত করছে। তবে স্বাধীনতার ব্যখ্যা এমন নয় আর হতেই পারেনা যে, আমার মুখ আছে, আমি কথা বলতে পারি তো - আমি সবাইকে ইচ্ছা মতো গালি দিব। আমার হাত আছে আর স্বধীন মানুষ তাই সামনে যে আসবে তাকে ঘুষি মেরে উড়িয়ে দেব। স্বাধীন মত প্রকাশ মানে এই নয় যে, শত কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে রাতারাতি আলোচিত -সমালোচিত হয়ে উঠেবো। যারা এমন করেন তাদের আমরা নিন্দা করতে পারি। ঘৃনা করতে পারি। আমাদের লেখনির মাধ্যমে তার প্রতিবাদ করার ও সুযোগ রয়েছে। ভাল ও মন্দ কোন যায়গায় নেই! ? আবার ভাল-মন্দের ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করতে যাওটাও মুশকিল। কারও আছে একজন ভাল তো কারও কাছে সে ভাল নয়। সবার আদর্শ যেমন এক নয় তেমনি মানুষ ও মতাদর্শ ভেদে ভাল মন্দের ব্যাখ্যাও ভিন্ন। একজন চোরের কাছে আরেক চোর আপন, একজন ডাকাতের কাছে আরেকজন বড় ডাকাত মডেল। একজন খুনির মডেল তার চেয়ে বড় খুনি। একজন নাস্তিকের মডেল তার চেয়ে বড় নাস্তিক।

একই ভাবে একজন ভাল মানুষের আপন আরেকজন ভাল মানুষ। একজন ভাল মুসলমানের কাছে তার চাইতে ভাল কেউ তার মডেল। ব্যাস। গোটা দেশ আর পৃথিবী ঠিক এভাবে আর এমন সব মানুষ নিয়ে তার যাত্রাকাল থেকে পরিচালিত হচ্ছে। পৃথিবী আর তার বুকে বাস করা সব মানুষকে কমন ভাবে যেমন খারাপ বোঝায় না তেমনি ব্লগ আর ব্লগার মানেই বিশাল এক খারাপ ব্যপার স্যাপার এমন নয়। এজন্যই বলবো ব্লগার নাম শুনেই নাক শিটকিয়ে নাস্তিক বলা কোন বিবেকবান মানুষের কাজ নয়। আমি নিজেও একজন ব্লগার। আলহামদুলিল্লাহ আমি আস্তিক ও ঈমানদার। কেউ যদি আমাকে নাস্তিক বলেন, আমি তার সামনেই না হয় কলেমা পড়ে প্রমান করবো আমি আস্তিক ব্লগার। আল্লাহপাক আমার মালিক ও মনিব। আমি ইসলামকে ভালোবাসি।

রাজিব ও অভিজিতের পর এবার ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ওয়াশিকুর রহমানকে হত্যার ঘটনা ৩০ শে মার্চ- ২০১৫। আমি যখন অন-লাইনে ঘটনা পড়েছি তখনও ( বেশ কয়েকটা পত্রিকা ) দেখলাম সে কোন ব্লগের ব্লগার আর কি কারনে তাকে হত্যা করা হলো তার বিস্তারিত কিছুই লেখিনি। এ ঘটনায় দুই মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গনমাধ্যমের বরাতে জানা যায় তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুই ছাত্র বলেছে, ‘‘আমরা আগে ব্লগার আশিককে কখনো দেখিনি। তাকে আমরা চিনতাম না। রোববার বিকেলে মাসুম নামে এক বড় ভাই হাতিরঝিলে বসে ব্লগার বাবুর ছবি দেখিয়ে আমাদেরকে বলেছেন যে, সে আল্লাহ এবং রাসুলের বিরুদ্ধে কথা বলে। তাই তাকে মেরে ফেলতে হবে। তার নির্দেশ মতো আমরা আজ তাকে কুপিয়ে হত্যা করি।’ তাদের সঙ্গে তাহের নামে আরেকজন ছিল বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা। রহস্য জনক কথা!অদ্ভূত কথা।একজন মানুষের অপরাধ সম্পর্কে না জেনে না বুঝে তাকে হত্যা করে ফেলাটা কোন যুক্তিতে, কোন আদর্শের পাল্লায় দাড় করানো যায় আমার জানা নেই।

যখন কি অপরাধের কারনে আশিক নামের একজন মানুষকে হত্যা করা হলো সেটাই পরিস্কার নয় ঠিক এ সময়ে মধ্যেই মাদ্রাসা তল্লাশি, বন্ধ এ কথা গুলো চলে আসছে।কোন এক ব্লগে জনৈক ব্লগার লিখেছেন, আশার বানী দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা নাকি হাটহাজারী আর ঢাকাস্থ কোন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। আচ্ছা, কালবিলম্ব না করে অবশ্যই এই দুটি মাদ্রাসাতে তল্লাশি চালানো কি পুলিশের উচিত ছিলো না !!

আচ্ছা কোন মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র যদি পারিবারিক বিরোধ বা অন্যকোন কারনে কাউকে হত্যা করে বা আক্রমন করে বসে তো একারনে কি মাদ্রাসা তল্লাশি করে তা বন্ধ করে দিতে হবে!! আমি শুধু বিনয়ের সাথে বলতে চাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যখন বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল আর যার ভিডিও ফুটেজও ছিল। কারা হত্যাকারী এটা যখন নিশ্চিত ছিল তখন তাদের মতো বিবেকবানরা কেন বলেননি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তল্লাশির কথা? নাকি বিশ্বজিৎ মানুষ ছিল না। তার ব্যথা- অনুভুতি ছিল না!নাকি মস্ত বড় অপরাধী ছিল তাই রাষ্টীয় আইনে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যার মাধ্যমে তার বিচার হয়েছিল সেদিন! যদি তা না হয় তো তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়ী করা নয় কেন!রাজনৈতিক হানাহানির কারনে হাজার হাজার মানুষ মরছে প্রতিদিন, কেন এ কথা বলা হয় না রাজনৈতিক দল গুলোকে বন্ধ করে দেয়া হোক। শুধমাত্র আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জন সম্মুখে অস্ত্রের মহড়া প্রায়ই পত্রিকায় আসে। গুলাগুলি ও হত্যাকান্ডের কথা আসে। এগুলোর জন্য বিবেকবানদের বিবেক বড়ই নিরব কেন, আমার জানা নেই।

যে কথাটা তার পরবর্তী লেখায় উঠে এসেছে- যদি সত্যিই এসব মাদ্রাসাতে জঙ্গি তৈরি হয় তাহলে জনস্বার্থে অবিলম্বে এগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হোক। বড়ই হাস্যকর কথা। এই জঙ্গি শব্দটার ধোয়া তুলে সারা দুনিয়ায় যখন ইহুদী খ্রিষ্টানরা একের পর নিরীহ মানুষ হত্যা করছে ঠিক সে সময় বাংলাদেশ নামক এই সুন্দর দেশটাকে , পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম দেশটাকে জঙ্গির জু জু দেখিয়ে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা নতুন কিছু নয়। যারা এ কাজে সহযোগিতা করছেন তারা নিঃসন্দেহে তাদের দালাল।

বিশ্বজিৎ রায় কে যখন কুপিয়ে হত্যা করা হলো, সাগর-রুনি হত্যা সহ প্রতিদিনের নির্মম হত্যাকন্ডগুলো নিশ্চই মানবিক নয়। সকল হত্যাকান্ডের বিচার হওয়া দরকার। যারা হত্যা করে তারা খুনি। খুনির আর কোন পরিচয় নেই। যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা মানুষ। সকল মানুষ লাল রক্তের। সকল মানুষের মৃত্যূতে তার কষ্ট হয়।অসহায় ভাবে মরে যাওয়া প্রতিটি মানুষের ব্যথার সাথে বিবেকবান মানুষের হৃদয় কাঁদে। এগুলো নিয়ে যারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন - তারা খুনিদের চাইতেও ঘৃনিত। রাষ্ট্রে যখন আইনের শাষন থাকেনা তখন খুনিরা, অপরাধীরা বার বার পার পেয়ে যায়। তাদের অপরাধ কর্মও বেড়ে যায়।ব্লগার কোন বিশেষ প্রজাতী নয়। মানুষ। ব্লগার হত্যা কথাটা ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে কেমন কেমন লাগে। বাংলাদেশে এখন লক্ষ লক্ষ ব্লগার। অন-লাইন অ্যক্টিভেট রয়েছেন। এর পর আশিকুর রহমান কোন ব্লগে লিখতেন একথা আজও স্পষ্ট নয়, পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়নি। এটাও স্পষ্ট নয় তিনি আসলেই ইসলাম ও ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোন বিষয়ে লিখতেন কিনা। পারিবারিক সূত্রের খবরের বরাত থেকেও একথা জানা যায় না যে, আশিক ইসলাম বিরোধী লেখা লিখতেন। যদি লিখতেন তাহলে তার প্রমান হিসাবে আমাদের সাংবাদিক, গোয়েন্দা সংস্থা বা যে প্রযুক্তির এ যুগে যে কোন ভাবে সেটি সাধরন মানুষের দৃষ্টিতে আসতো।

এদিকে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন।‘ভিন্ন মতের সাংবাদিক ও বুদ্বিজীবীদের ওপর হামলার’ কারনে তারা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের এই উদ্বিগ্ন হওয়াটা ভাল। তারা ফিলিস্তিনে মানুষ হত্যার সময় উদ্বিগ্ন হয়। মিয়ানমারে যখন নির্বিচারে নারী-শিশু, মানুষ হত্যা করা হলো তখনও জাতিসংঘের উদ্বিগ্ন হবার কথা আমরা শুনেছি।জাতিসংঘের উদ্বিগ্ন হবার ব্যপারটা অভিজিৎ হত্যাকান্ডের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। অভিজিৎ কে হত্যা করা হলো জন সম্মুখে। যখন তার স্ত্রী চিৎকার করছিল আমার স্বামীকে বাচাঁও তখন উদ্বিগ্ন মানুষ ক্যামেরায় ছবি তুলছিল। উদ্বিগ্ন মানুষ পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। দূঁরে দাড়িয়ে ছিল এক ঝাক উদ্বিগ্ন মানুষ।জাতিসংঘ শুধু উদ্বিগ্ন হয়। ব্যাস। এটাই বা কম কি! পৃথিবীতে একটা জাতিসংঘ আছে তারা উদ্বিগ্ন তো হয়।

এদিকে ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফ্রান্স। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ওয়াসিকুর রহমানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলা হয়, তার হত্যাকান্ডের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে শোকাহত। এ ধরনের বর্বর ঘটনার ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এ ধরনের ঘটনা বিশ্বজনীন মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত।

একই দিন বাংলাদেশে আরও অনেকগুলো হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো আলোচিত সমালোচিত নয়। কেন? তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা নয় কেন? সে ব্যপার গুলোতে শোকাহত নয় কেন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফ্রান্স? সে বর্বর ঘটনার প্রতি ছাড় দেবার সুযোগ থাকবে কেন!? তাহলে কি ধরে নেওয়া যায়, তাদের ভালোবাসা কখনোই মানবিক কারনে নয়। তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে যারা কাজ করছে তাদের পক্ষেই শুধু তারা আছেন আর থাকবেন! মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি? আমি বাংলাদেশের সরকার, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী তাদের কে সন্মান করি। যদি দেশের কোন নাগরিক সে দেশের সংবিধান পরিপন্থী কোন কাজ করে সে অপরাধী। এখন কেউ যদি স্লোগান তোলে সংবিধান মানিনা, দেশ মানিনা। আইন মানিনা। তাকে গ্রেপ্তার করা হবে এটাই স্বাভাবিক। শাস্তি দেওয়া হবে। কেন হবে? এখানেও তো সে তার মত প্রকাশ করছে মাত্র। মত প্রকাশের স্বধীনতা মানে যা ইচ্ছা তা বলা নয়।

ব্লগারদের বিরুদ্ধে মাঝে বিরাট কান্ড ঘটে গেল। হেফাজতে ইসলাম লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো করলো। কিছু সাধারন মানুষ মারা গেল। একটা ভোট নেওয়া হলে বোঝা যাবে এদেশের কতো মানুষ নাস্তিকদের পক্ষে আর কতো মানুষ তাদের বিপক্ষে। সয়ং আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিনিও এমন স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না যে স্বাধীনতা তার নবী (সঃ) ও ইসলামকে আঘাত করে। বিদ্রুপ করে, কটাক্ষ করে।

আমি প্রথমেই বলেছি ব্লগ আর ব্লগার মানেই খারাপ কিছু নয়। তবে হাতে গোনা কিছু মানুষ নিজেদের র্স্বাথসিদ্ধির জন্য ইসলামকে টার্গেট করে লিখছে। কিছু ব্লগও আছে যারা তাদের ব্লগ তৈরি করেছে ইসলামের বিরুদ্ধে লেখার জন্য। যে লেখা গুলো মারাত্মক ধরনের অন্যায়। বিশ্বের একশত বিশ কোটি মানুষের বিশ্বাস ও ভালোবাসার উপর আঘাত করার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। সরকারী ভাবে যদি এদেরকে নিয়ন্ত্রন করা যায় ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় তো এ সমস্যা থাকার কথা নয়। হবার কথাও নয়। আমি যদি কারও বাবাকে গালি দেই, আমি যদি কারও প্রিয় নেতাকে গালি দেই তো স্বাভাবিক ভাবেই পিতার সন্তান আমার উপর ক্ষিপ্ত হবে। নেতার কর্মী আমার উপর ক্ষিপ্ত হবে। এটা স্বাভাবিক। জন্মগত একটা ব্যপার।

ইসলাম ও প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ (সঃ) শত কোটি মানুষের জীবনের চাইতেও প্রিয় ব্যপার। যখন এখানে আঘাত করা হয় প্রতিটি মুসলমানের বুকে সে আঘাত লাগে। আশাকরছি সরকার সরকারী পদক্ষেপে সকল কিছু নিয়ন্ত্রন করবে। যারা চাপাতি নিয়ে নেমেছে তাদেরও আবার যারা ইসলামের বিরুদ্ধে বিষদগার করছে তাদেরও।

বিষয়: বিবিধ

১৬১৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

312464
০২ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৪
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনার আজকের লেখা প্রমান করে দেশের ব্লগ পরিবার আতঙ্কিত নয় বরং চিন্তিত মানুষ ব্লগ সম্পর্কে না বুঝার কারণে।
যারা নাস্তিক ব্লগার তাদের বিতারিত করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা হত্যা করা কে ঘৃনা করি , আমরা আমাদের ব্লগ পোস্টার মাধ্যমে নাস্তিকদের প্রতিহত করব।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
০৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
254580
মোঃ অয়েজুল হক লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই আব্দুল্লাহ শাহীন।
312471
০২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩১
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : ভালো বিশ্লেষণ। উভয়কেই সহনশীল হতে হবে। অপরকে আঘাত না দিয়ে মুক্তমনা চর্চা করতে হবে।
০৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
254581
মোঃ অয়েজুল হক লিখেছেন : জ্বি ঠিক বলেছেন, ‍মুসলমানরা যেন আর চক্রান্তে পা না দেয় এটাই আশা করছি।
312534
০২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৩৪
আবু জারীর লিখেছেন : কোন হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারেই ছাড় দেয়ার সুযোগ নাই। কিন্তু দুই একটা হত্যা কাণ্ডের ব্যাপারে বিশ্ববিবেককে স্বোচ্চার দেখা যায় কিন্তু অগণিত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তাদের মুখে কুলুপ এটে থাকতে দেখাযায়। বড়ই আশ্চর্যের বিষয়।
০৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
254582
মোঃ অয়েজুল হক লিখেছেন : এটাই তো আশ্চার্যের ব্যপার ভাই আবু জারীর
312590
০৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৩৭
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম...... আপনার লেখাটিতে এত গুলো বিষয় এসেছে যার সব গুলো বিষয়ে মন্তব্য করতে গেলে আপনার লেখাটির চেয়েও বড় হয়ে যাবে!!

ব্লগারদের বিদ্ধেষী মনে দেখা শুরু হয়েছে তথাকথিত "গণজাগরণ" আন্দোলনে সময় থেকে.....!
ওখানে যুক্ত হওয়া কিছু ব্লগার ইসলাম বিদ্ধেষীতায় লিপ্ত হয়, ইসলাম বিদ্ধেষীতা প্রথমে প্রকাশিত না হলেও রাজীব হায়দার ওরফে (থাবা_বাবা) র হত্যাকাণ্ডের পর ইসলাম বিদ্ধেষীতা প্রকাশ পায় ব্যাপক ভাবে......!

রাজীব হত্যাকাণ্ডার পরে সরকারের অবস্থান দেশের মানুষের জানা।

এক কথায় আপনার লেখাটি দারুণ হয়েছে। আমাদের সুভাগ্য বলতে পারি আপনার মত ব্লগার আমরা পেয়েছি!! ধন্যবাদ।
০৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
254583
মোঃ অয়েজুল হক লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যর জন্য। এত বড় আমি যতটা করে আপনি লিখেছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File