পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যারা পরিচালনা করেন, তারা আচার-আচরণে প্রায়শই শাসকের ভূমিকায় আবির্ভূত হন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রজার মতো আচরণ করেন। তাদের শাসন এক পর্য়ায়ে স্বৈরশাসনে রূপ নেয়। সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে দেশের এগারোটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা এই দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ ব্যানারে এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ব্যর্থতার দায় হিসেবে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়েছেন ওই শিক্ষকরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উপাচার্য পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলার নির্দেশ দিয়ে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এই উপচার্যের পদত্যাগ চাই।’
আরও বলা হয়, ‘একটি ছোট পরিসরে, ন্যায্য কিছু দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষ ও উপাচার্যের কাছে দাবি জানাতে যায়। আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে, উল্টো দুর্ব্যবহার পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। দাবি না মেনে উল্টো শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশ দিয়ে হামলা করানো হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যারা পরিচালনা করেন, তারা আচার-আচরণে প্রায়শই শাসকের ভূমিকায় আবির্ভূত হন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রজার মতো আচরণ করা হয়। তাদের শাসন এক পর্য়ায়ে স্বৈরশাসনে রূপ নেয়। অথচ উপাচার্য ও প্রাধ্যক্ষ এসব পদে শিক্ষকরাই থাকেন।’
শিক্ষকরা আরও বলেন, ‘নিজের পদ-গদি রক্ষার জন্য এসব শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হন না। এমনকি গোয়েন্দাদের সাহায্য নিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের নজরদারি করেন, মামলা ঠুকে দেন, রক্তাক্ত করেন। দলীয় রাজনীতিকদের মতো শিক্ষার্থীদের কাউকে শিবির, কাউকে মৌলবাদী, কাউকে জঙ্গি এসব অভিধা দিয়ে থাকেন।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন