বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে শেখ হাসিনা সরকার দেশের রাজনীতি,অর্থনীতি,ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশের প্রকাশ্য মদদে গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর দেশে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এক ব্যক্তির স্বৈরশাসন। শেখ হাসিনার বেপরোয়া স্বেচ্ছাচারিতা। এক গভীর সংকটে পতিত হয়েছে মা-মাটি-মানুষ। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা বাদে প্রতিটি জনগণ আজ ভয়াবহ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি অতিক্রম করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাবেদার শেখ হাসিনার স্বেচ্ছাতন্ত্রের মূল উপাদান হচ্ছে সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, লুটপাট, টাকাপাচার আর সর্বক্ষেত্রে অনিয়ম অনাচার। স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণের ভোটাধিকার আজ বিপন্ন। রাষ্ট্রীয় অন্যায় ও অবিচারের জবাব দিতে জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে, সেটি আজ মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চিহ্নিত ভোট ডাকাত শেখ হাসিনার সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন এখন বিশ্ববাসীর কাছে রীতিমত হাস্যকর কৌতুকে পরিণত হয়েছে। কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোকেও ‘আমরা আর মামু’দের তামাশায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আসন্ন লোক দেখানো উপজেলা নির্বাচন সর্বাত্মক বর্জনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার স্বৈরতন্ত্র, ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। দস্যুদলের কাছে যেমন সাধারণ মানুষের সম্পদ নিরাপদ নয়, তেমনি ভোটডাকাত সরকার কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে না।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন