আটক জেএমবি’র শীর্ষ নেতাদের আদালতে নেয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল নীলফামারী সদরে গ্রেপ্তার ৫ জেএমবির সদস্যের। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা ও বড় কোনো ভবনে হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
শনিবার বিকেলে রংপুর র্যাব-১৩র সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং ঢাকার মুখপাত্র কমান্ডর খন্দকার আল মঈন।
শনিবার সকালে নীলফামারী সদর উপজেলার সোনা রায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নীলফামারীর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার ও রংপুর অঞ্চলের জেএমবি’র সামরিক শাখার প্রধান অহিদুল ইসলাম ওরফে আহিদ ওরফে পলাশ। তার অন্যতম সহযোগী একই জেলার পশ্চিম কুচিয়ামোড় পাঠানপাড়া এলাকার ওয়াহেদ আলী ওরফে আব্দুর রহমান (৩০) একই জেলার দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে সুজা (২৬) উত্তর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ ওরফে জোবায়ের (২৭) সোনারাই কাচারিপাড়া এলাকার মো. নুর আমিন ওরফে সবুজ (২৮)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ৫ রাউন্ড গুলিসহ বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্যরা নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডকে ঘিরে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করছিল। এরা জেএমবি’র সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য। গ্রেপ্তাররা ২০১৫-১৯ সালের মধ্যে বায়াৎ গ্রহণ করে জেএমবিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
র্যাব জানায়, তারা আইইডি তৈরির করার প্রশিক্ষণ নিয়ে নাশকতামূলক হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ২-৩ মাস আগে আহিদ ইম্প্রোভাইজ এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করেছিল। উক্ত বোমা তৈরির সময় গভীর রাতে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে আহিদের বাড়িতে আগুন ধরে যায়। তারা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েব পেজ দেখে কীভাবে বোমা তৈরি করতে হয় এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। তারা অনলাইনে রংপুর অঞ্চলের আমিরের নির্দেশনায় বেশ কয়েক দিন ধরে আইইডি তৈরি করে জঙ্গি শরিফের বাড়িতে রাখে। তারা রংপুর অঞ্চলের ২০-২৫ জনকে জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তারা আরো জানায়, তাদের মধ্যে রংপুর অঞ্চলের কয়েকজন শ্রমিক, অটোচালক, টেইলর ইত্যাদি পেশায় কাজ করে। আহিদুল একটি খেলনা প্রস্তুত কোম্পানিতে চাকরি করে। সে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। সে এই অঞ্চলে জেএমবি’র সামরিক শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন