বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই দেশের সরকার চোখেও দেখে না, কানেও শোনে না। জনগণের কথা এরা কানে নেয় না। কেননা তারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরা ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না। এরা খুনি সরকার। বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের ক্ষমতায় থাকায় বড় বাধা। পুলিশি জোড়ে আপনারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
শুক্রবার বিকালে বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে। এই জন্যই বর্তমান অবৈধ সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না।
তিনি আরো বলেন, বরিশালে এবার আসার সাথে সাথেই ধাক্কা খেয়েছি। বিভিন্ন সময় বরিশারে এসেছি, তবে এমন ধাক্কা খাইনি কখনো। প্রথমে শুনলাম আমাদের জায়গা দেওয়া হবে না। পরে শুনলাম নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। মঞ্চ দুইবার করা হয়েছে। একবার ঈদগাহ মাঠে তারপর রাত ১২টায় আবার তা খুলে জিলা স্কুল মাঠে। নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। এমন অত্যাচার কোথাও দেখিনি। যারা স্বাধীন মাটিতে কথা বলতে দেয় না তারা কারা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির অধিকার দিয়েছিলো শহীদ জিয়াউর রহমান। তার সহধর্মীনি ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। আন্দোলন করতে হচ্ছে, এটা লজ্জার। শেখ হাসিনা যখন গ্রেপ্তার ছিলো তখন প্রথম খালেদা জিয়া তার মুক্তির দাবি তুলেছিলো।
বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম) বলেছেন, ২০১৮ সালে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছে শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। সেই নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর ওপর নিষ্ঠুর নির্দয় আচরণ করছে নিশিরাতের নির্বাচিত সরকার। সরকারি কর্মচারী, পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনী ব্যবহার করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিকল করে ফেলেছে। আজ তাদের দলের মধ্যেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন, তারেক জিয়া দেশে ফিরে আসবেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরওয়ার বলেছেন, সারাদেশের মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থতা কামনা করছেন। তারা সমাবেশ করেছে তাতে সরকার বাথা দিচ্ছে। তেলসহ সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি কিন্তু তাতে সরকারের কিছু আসে যায় না। শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়ার দাবি যখন জানালো তখন সরকারের টনক নরেনি, কিন্তু যখন তারা সড়কে নামলো তখন তাদের দাবি মেনে নেয়া হলো। এ হচ্ছে সরকার। সরকারের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ সরকার জনবান্ধব নয়, তারা নিশিভোটের সরকার।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে আজ উন্নয়নের দোহাই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যে উন্নয়ন করতে গিয়ে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে, যে উন্নয়ন মানুষকে কষ্ট দেয়, বিভিন্ন সমস্যায় পরতে হবে সে উন্নয়ন আমরা চাই না।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুখের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিণসহ বিভাগের অন্যান্য জেলার নেতাকর্মীরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন