পুরান ঢাকায় আধুনিক সুয়ারেজ ও ড্রেনেজ ব্যৃবস্থা গড়ে না উঠায় ১ ঘন্টা বৃষ্টি হলে সেই পানি নিস্কাশন হতে ২ দিন বা কখনো এর ছেয়ে বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। পানিতে রাস্তাঘাট ও দোকানপাট তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নিচু বাড়িঘরে কোথাও হাঁটু পানি এবং কিছু জায়গায় কোমর পরিমাণ পানি জমে যাচ্ছে।
বৃষ্টির পানি ও ড্রেনেজ বর্জ্যে একাকার হয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালের ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে ওই এলাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোড, আবুল হাসনাত রোড, আগা সাদেক রোডের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, নাজিরা বাজার চৌরাস্তা, বংশাল চৌরাস্তা, বেগম বাজার মোস্তফা লেন, কবরস্থান রোড, ইসলামবাগের নামাপাড়া, লালবাগ, আমলী গোলাসহ বেশ কিছু এলাকা রোববার সকালে ঘণ্টাব্যা পী বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়।
ছবি দেখলে মনে হবে এটা কোনো খাল। কিন্তু না, এটা পুরান ঢাকার একটি ডুবে যাওয়া রাস্তা। ছবি: যুগান্তর
ছবি দেখলে মনে হবে এটা কোনো খাল। কিন্তু না, এটা পুরান ঢাকার একটি ডুবে যাওয়া রাস্তা। ছবি: যুগান্তর
ওইসব এলাকার রাস্তাঘাট, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে হাঁটুসমান পানি প্রবেশ করে। প্রতি বছর বর্ষায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাঁকডাক পর্যন্তই থাকে। কাজের কাজ কিছুই হয় না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
আবুল হাসনাত রোডের দোকান মালিক আওলাদ ও আতিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে ড্রেনের ময়লা মিশে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। ওই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক দুর্ভোগে পড়ে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা এসব পানিতে হাটলে চর্মসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হন। তাছাড়া জমে যাওয়া পানি নামতে দুই তিন দিন সময় লেগে যায় বলে জানান তিনি।
ডিএসসিসি ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বাবুল যুগান্তরকে বলেন, সামান্যর বৃষ্টিতে ইসলামবাগ নামা পাড়াসহ চকবাজার থানা এলাকার দক্ষিণাংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এতে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। তবে খুব দ্রুত সুয়ারেজ ব্যবস্থার কাজ ধরা হবে বলে জানান তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন