তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল। জারি করা হয়েছিল হিট অ্যালার্ট। তবু তপ্ত রোদ গায়ে মেখে দেশের ক্রিকেটাররা খেলে গেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। আর এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের মাঠে নামানোকে ‘অমানবিক’ বলছেন সাকিব আল হাসান। তার মতে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রতিযোগিতার সুপার লিগ পর্বটা কুড়ি ওভারের হলেই ভালো হত।
ডিপিএলের এই আসরে সাকিব খেলছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে। লিগ পর্বে ৪ ম্যাচ খেলেছিলেন। তবে নিজেকে মেলে ধরেছেন কাল সুপার লিগে নিজের প্রথম ম্যাচে। তীব্র গরমেও ৭৯ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। যদিও তার দল জয় পায়নি। তবে ৫ বছর পর তার ব্যাটে সেঞ্চুরি দেখতে পাওয়াটা ছিল স্বস্তির। বোলিংয়ে কোনো উইকেট পাননি। ফিল্ডিংয়ে সময় দেখা গেছে গরমে ক্লান্ত হয়ে যেতে। এমনকি ঘাম ঝরতেও দেখা গেছে।
আর তাই তো আজ বিকেলে রুবেল হোসেনের শো রুম উদ্বোধন করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মজা করেই বলেছেন, ‘আমেরিকায় (যুক্তরাষ্ট্রে) গিয়ে একটু ফর্সা হয়েছিলাম। এখানে এসে ৪৩-৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খেলে কালো হয়ে গেছি।’
তারপরই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আয়োজকদের সমালোচনা করেন সাকিব। দিন কয়েক পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও টুর্নামেন্টের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। তার আগে প্রস্তুতি হিসেবে ডিপিএলের সুপার লিগটা কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে করলে দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হত বলেও মত দেন তিনি।
এই বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় সুপার লিগটা যদি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হত তাহলে দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হত। এছাড়া ক্রিকেটারদের দিকটাও যদি কেউ চিন্তা করত তাহলে ভালো হত। আমার কাছে মনে হয় এটা খুব অমানবিক। এই রকম একটা পরিবেশে সারাদিন আমাদেরকে গরমের মধ্যে খেলানো। এই জায়গাটাতে আমার মনে হয় ভালো একটা দায়িত্ব নেওয়া যেত।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা হলে প্রস্তুতি ভালো হত উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা টি-টোয়েন্টি সংস্করণের বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। তাই সুপার লিগটা এই ফরম্যাটে হলে খুব ভালো একটা প্রস্তুতি হত জাতীয় দলের। অল্প দিনেই শেষ হয়ে যেত, সব প্লেয়াররাই খেলতে পারত বলে মনে হয়। যেকোনো কারণেই হোক সেটা হয়নি, তবে আমার মনে হয় এই চিন্তাগুলো আমাদের ক্রিকেটকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেত।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন