জিম্বাবুয়ের ইনিংস নির্বিঘ্নে শেষ হলেও বাংলাদেশের ইনিংসে একের পর এক হানা দিচ্ছে বৃষ্টি। সিকান্দার রাজাদের ১২৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের তিন ওভার শেষেই বৃষ্টির বাধার পড়ে বাংলাদেশ। সেটি থামার পর আবারও মাঠে খেলা গড়ায়। তবে ৭ ওভার ২ বল শেষে আরও হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। এই দফায় বৃষ্টি থামার পর আবারও শুরু হয়েছে খেলা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৫২ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। উইকেটে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে। নেমে শুরুর কয়েক ওভার দারুণ খেললেও আস্তে আস্তে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। ৪২ রানেই দলটি হারায় ৭ উইকেট। নিউজিল্যান্ডকে ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টিতে ৬০ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সুযোগ ছিল জিম্বাবুয়েকে আরও কম রানে অলআউট করে নতুন রেকর্ড গড়ার। সুযোগ ছিল জিম্বাবুয়েকে তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে (৮২) অলআউট করারও। তবে অষ্টম উইকেটে ক্লাইভ মাদান্ডে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার দারুণ জুটিতে সব সম্ভাবনা ভেস্তে গেল। এই দুজনের বীরোচিত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শরিফুল ইসলামের করা প্রথম ওভারে ৮ রান নিলেও দ্বিতীয় ওভারেই মেহেদীর বলে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। কোনো রান না করেই ফেরেন ক্রেইগ আরভিন। শরিফুলের করা তৃতীয় ওভারে দারুণ ব্যাট চালান ব্রায়ান বেনেট। ৩ চারে তুলে নেন ১৩ রান।
চতুর্থ ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও সাইফউদ্দিনের করা পঞ্চম ওভারে দলীয় দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। জেরল্ড গাম্বিকে তাসকিন আহমেদের ক্যাচ বানান সাইফউদ্দিন। পরের ওভারে জিম্বাবুয়ে শিবিরে চূড়ান্ত আঘাত হানেন মেহেদী। প্রথম দুই বলেই ফেরান বেনেট ও অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে। এর মধ্যে একজন ফেরেন রানআউট হয়ে।
তাসকিন আহমেদের করা পরের ওভারের প্রথম দুই বলে আরও ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামস ও রায়ার্ন বার্লকে হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন আপ। পরে অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে লুক জংওয়েকেও ফেরান সাইফউদ্দিন।
৪২ রানে ৭ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে তোলেন মাদান্ডে ও ওয়েলিংটন। প্রথমদিকে ধীরগতিতে রান তুললেও শেষ দিকে বেশ মারমুখো ব্যাটিং করেন এই দুজন। এর মধ্যে শরিফুলের করা ১৬তম ওভারে ১১ ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের করা ১৮তম ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় নেন ১৬ রান। অবশেষে ১৯তম ওভারে ১১৬ রানের মাথায় তাসকিনের আঘাতে ভাঙে তাদের ৭৫ রানের জুটি। ৩৯ বলে ৪৩ রান করে বিদায় নেন মাদান্ডে। শেষ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানিকে ফেরান সাইফউদ্দিন। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত থ্রোয়ে আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন ওয়েলিংটন।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার তাসকিন ও সাইফউদ্দিন। সমান ৪ ওভারে দুজনেই নেন ৩ উইকেট। তাসকিন দেন ১৪ ও সাইফউদ্দিন দিয়েছেন ১৫ রান। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী। ৪ ওভার বল করলেও ৩৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন