এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে নিষ্প্রভ নেইমারকে দর্শক বানিয়ে পিএসজিকে হারাল ম্যানসিটি। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
আর ফাইনালে শিরোপার লড়াইয়ে এবার ম্যানসিটির মুখোমুখি চেলসি।
বুধবার অনেকটাই একপেশে খেলে রিয়াল মাদ্রিককে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল চেলসি।
আট মৌসুম পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল টমাস টুখেলের শিষ্যরা।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিক চেলসি। প্রথম লেগে রিয়ালের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল দলটি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ এগিয়ে ফাইনালের টিকেট কাটল নীলমানবরা।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রিয়ালকে বিবর্ণ ও ছন্নছাড়া দেখা গেছে। পুরো ম্যাচে ছিল চেলসির একচ্ছত্র আধিপত্য। যদিও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
কিন্তু ওইটুকুই ছিল রামোসদের ক্ষমতা। পায়ে বল পেলেও রিয়ালের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছে চেলসি। গোলের উদ্দেশে মোট ১৫টি শট নেয় নীল জার্সিরা, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।
অন্যদিকে, চেলসির গোলপোস্ট বরাবর উল্লেখ করার মতো শট নিতে পারেনি সাদা দল রিয়াল।
টুর্নামেন্টের রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নদের এমন আত্মবিশ্বাস হারানো খেলায় যে কেউ-ই হতাশ হবে।
প্রতিপক্ষের লক্ষ্যে প্রথম শট অবশ্য রিয়াল-ই নিয়েছে। ম্যাচের দশম মিনিটে চেলসির লক্ষ্যে প্রথম শট নেন টনি ক্রুস। দূর থেকে নেওয়া তার দুর্বল শটটি অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে নেন চেলসির গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি।
২৬তম মিনিটে করিম বেনজেমার জোরালো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান মঁদি।
পাল্টা আক্রমণে লিড নেয় চেলসি। ভেরনারের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে ডি-বক্সে কাই হাভার্টজকে পাস দেন এনগোলো কন্তে। রিয়াল গোলারক্ষক কোর্তোয়া একটু এগিয়ে আসেন। সুযোগ কাজে লাগান হাভার্টজ। তার উড়িয়ে মারা বল ক্রসবারে বাধা পায়। কিন্তু তাতে রক্ষা হয়নি। সামনে বল পেয়ে দ্রুত ছুটে গিয়ে হেডে ফাঁকা জালে বল পাঠান ভেরনার।
৩৫তম মিনিটে মদ্রিচের ক্রসে বেনজেমার দারুণ এক হেড লাফিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান মঁদি।
১-০ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে একের পর এক শট নিতে থাকে চেলসি। বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া হয়। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে প্রবেশ করাতে পারেননি হাভার্টজ। তার শট রুখে দেন কোর্তোয়া।
৬৬তম মিনিটে কন্তের দুর্দান্ত এক শট পা দিয়ে রুখে দেন কোর্তোয়া।
অবশেষে ৮৫তম মিনিটে সফল হয় চেলসি। এবারের স্কোরার চেলসির ইংলিশ মিডফিল্ডার মাউন্ট। নাচো ফের্নান্দেসের থেকে বল কেড়ে নিয়ে কন্তে ডি-বক্সে পুলিসিককে পাস দেন। তার থেকে গোলমুখে বল পেয়ে আর সুযোগ মিস করেননি মাউন্ট। ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
শেষ ১৫ মিনিটে ২ গোলের একটিও শোধ দিতে পারেনি রিয়াল। রেফারির শেষ বাঁশিতে ২-০ তে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি।
আগামী ২৯ মে তুরস্কের ইস্তানবুলে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই ইংলিশ ক্লাব ম্যানসিটি ও চেলসি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন