একের পর এক আপত্তিকর মন্তব্য করায় বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কর্তৃপক্ষ।
আর এতেই এবার তিনি চটেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর, তুলেছেন শ্বেতাঙ্গ আগ্রাসনের অভিযোগ। তার দাবি— সে দেশের প্রবণতা রয়েছে অশ্বেতাঙ্গদের ক্রীতদাস হিসেবে দেখা। এই প্রবণতাকেই তিনি তার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সঙ্গে মিলিয়ে দিলেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর একের পর এক আক্রমণাত্মক পোস্ট দেওয়ায় স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
টুইটারের মুখপাত্র সে কথা জানিয়েছেন নেটমাধ্যমে। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ব্যক্তি নির্বিশেষে তারা তাদের নিয়ম মেনে চলেন। এ ক্ষেত্রেও তাই।
ওই মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলাম, কোনো পোস্ট থেকে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যববস্থা নেব। নীতি লঙ্ঘন করার জন্য উল্লিখিত অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
কিন্তু টুইটার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর একটি বিবৃতি দেন ওই অভিনেত্রী। তার বক্তব্য— টুইটার ছাড়াও অন্য হাতিয়ার রয়েছে তার কাছে। যার সাহায্যে নিজের মতামত পেশ করবেন। যার মধ্যে অন্যতম— চলচ্চিত্র শিল্প।
বলিউডের এ অভিনেত্রী আরও বলেন, টুইটার কর্তৃপক্ষ আমার বক্তব্যকে প্রমাণ করে দিয়েছে। তারা আমেরিকার মানুষ। জন্মগতভাবে শ্বেতাঙ্গ। আর তাই একজন অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে তাদের দাসত্ব স্বীকার করতে বাধ্য করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফল প্রকাশ পেতেই একের পর এক টুইট করেছেন তিনি। মমতা ব্যানার্জিকে রাবণের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কিত পোস্ট দিয়েছেন।
এতে লিখেছেন— যেসব জায়গায় বিজেপি জয়ী হয়েছে, সেখানে কোনো রকম সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই শুরু হয়েছে হত্যালীলা। ‘বেঙ্গল ইজ বার্নিং’ জাতীয় হ্যাশটাগও ব্যবহার করেছিলেন এ অভিনেত্রী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন