মাসের নাম ডিসেম্বর। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে শীতের। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে শীতের আগমন অনিশ্চিত। ২০২১ সালের এই ঘটনা বিগত ৪০ বছরে দেখেনি পশ্চিমবঙ্গ। এ যেন শীতকাল নয়, বরং বর্ষা। বাংলার উপকূলে জাওয়াদের আগমন এখনও নিশ্চিত নয়। মনে করা হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ রূপে বাংলার আকাশে হানা দিতে পারে জাওয়াদ।
এর আগে শেষবার ১৯৮১ সালে ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় দেখেছিল বাংলা। সেবারও জিসেম্বরের গোড়ার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘থ্রিবি’ হানা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। আর সেই ঘূর্ণিঝড়ের ৪০ বছর পর ফের একবার ডিসেম্বরে বাংলায় হানা দিতে পারে ঘূর্ণিঝড়। ১৯৮১ সালের ঘূর্ণিঝড় থ্রিবি পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি হানা দিয়েছিল বাংলাদেশেও। মারা গিয়েছিলেন প্রায় ২০০ জন।
এদিকে জাওয়াদের হাত ধরে উড়িষ্যায় ভাঙতে চলেছে ১৩০ বছরের রেকর্ড। এর আগে ১৩০ বছর আগে ডিসেম্বরে উড়িষ্যা উপকূলে হানা দিয়েছিল কোনও ঘূর্ণিঝড়। তবে এই ক্ষেত্রে পুরীর কাছে এসে এই ঘূর্ণিঝড় বাঁক নিতে পারে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। সেই ক্ষেত্রে ল্যান্ডফল না হলে অক্ষত থাকবে ১৩০ বছরের রেকর্ড।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আজ সকালে উপস্থিত হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা উপকূলে। পাঁচ তারিখ পৌঁছাবে পুরী। তারপরই বাংলামুখী হবে জাওয়াদ। আজ বিকেল থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব অনুভব করতে পারছেন উপকূলবর্তী জেলার বাসিন্দারা। বিকেল থেকে বেড়েছে সাগরের উপরে হাওয়ার গতি। রবিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে পশ্চিমবঙ্গে।
আজ সকালে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে সরতে শুরু করে। উড়িষ্যা উপকূল হয়ে আগামীকাল রবিবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি পুরী উপকূলে প্রবেশ করবে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন