উত্তেজনার মধ্যেই এই আলোচনায় সোমবার বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। ভার্চ্যুয়াল এই বৈঠকের দিকে নজর রাখছেন বিশ্বনেতা ও বিশ্লেষকরা।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের আলোচনায় সি ও বাইডেনের চাওয়া পাওয়া নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে অমীমাংসিত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
যার মধ্যে গুরুত্ব পাবে সাইবার নিরাপত্তা, বাণিজ্য, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যু। সি চিনপিং জানান, সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। সি বলেন, সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সহযোগিতাই একমাত্র পথ।
এদিকে বাইডেনও বলেছেন, প্রতিযোগিতা যেন কোনোভাবেই শত্রুতায় রূপ না নেয়।
জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেন ও সি এর মধ্যে দুই দফা আলোচনা হয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কে কোনো উন্নতি হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকে সবচেয়ে বড় এজেন্ডা হবে তাইওয়ান। বাইডেন চান, সি তাইওয়ানে শান্তি বজায় রাখুন। বেইজিং তাইওয়ানে সামরিক অবস্থান জোরদার করছে। এর বদলে বাইডেনকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তিনি তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব খর্বের চেষ্টা করবেন না।
তবে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে হলে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ইস্যুগুলোও বাদ দেওয়া যাবে না।
জানা গেছে, বাইডেনের সঙ্গে জুমে আলোচনা হবে সি এর। আশা করা হচ্ছে, দু’দেশের সম্পর্ক হবে প্রতিযোগিতামূলক কিন্তু সহযোগিতাপূর্ণ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন