২০২২ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭।
রোববার জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণাকে ‘করবিস বে ডিক্লারেশন অন হেলথ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। খবর এএফপির।
শীর্ষ সম্মেলনের ইশতেহারে বলা হয়- করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যে বৈশ্বিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা মোকাবিলায় আগামী বছরের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে।
অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যেই বিশ্বকে টিকায়িত করা হবে। শনিবার জি-৭ভুক্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান ও কানাডার নেতারা বৈঠকে বসেন।
রোববার ইশতেহার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়। তবে জাতিসংঘ মহাসচিব টিকা উৎপাদন দ্বিগুণ করে তার ন্যায্যতাভিত্তিক বিতরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্মেলনে করোনাভাইরাস মহামারির মতো জীবন ও জীবিকাবিধ্বংসী আর কোনো বৈশ্বিক মহামারি যাতে ভবিষ্যতে না হয়, তা ঠেকানোর লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা গ্রহণের ঘোষণা চূড়ান্ত করে নেতারা। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রান্ত কর্নওয়ালের কারবিস খাঁড়িতে জোটের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন নেতারা কিছু পরিকল্পনা করেন। এ পরিকল্পনায় রয়েছে- রোগনির্ণয়, চিকিৎসা এবং টিকা উদ্ভাবন ও অনুমোদনের সময়সীমা ১০০ দিনের মধ্যে নামিয়ে আনা, সম্ভাব্য সংক্রামক রোগের আবির্ভাবের ওপর নজরদারির জন্য বৈশ্বিক নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করা, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সক্ষমতা বাড়ানো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কার এবং সেটিকে শক্তিশালী করা। ঘোষণাপত্রে সংক্রামক রোগের ওপর নজরদারির ব্যবস্থাকে ‘প্যানডেমিক রাডার’ বলে অভিহিত করা হয়।
এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা- বিশ্বজুড়ে টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশকে টিকা দিতে না পারলে করোনাভাইরাসের ক্ষমতা খর্ব হবে না। তাদের মতে, বিশ্বকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য ১ হাজার কোটি থেকে ১ হাজার ১০০ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন।
তবে এ পর্যন্ত ২৫০ কোটির মতো টিকা উৎপাদিত হয়েছে। এর এক-তৃতীয়াংশের বেশি কিনে নিয়েছে জি-৭ দেশগুলো। এদেশগুলোর মোট জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৩ শতাংশ। বিপরীতে আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলো টিকা পেয়েছে মাত্র ২ শতাংশের কম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন