পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ সহকারী তাবিশ গৌহর বলেছেন, 'সৌদি আরব গোয়াদারে শোধনাগার স্থাপন করবে না। তবে বালুচিস্তানের হাব বা করাচির কাছে কোথাও একটি পেট্রোকেমিক্যাল রাসায়নিক কমপ্লেক্সসহ একটি শোধনাগার স্থাপনের ইঙ্গিত দিয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ইমরান খানের সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফরের পর পেট্রোলিয়াম বিভাগকে এই শোধনাগারের কোনো উন্নয়ন সম্পর্কে কোনো কথা জানানো হয়নি। তেল সুবিধা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে অর্থ বিভাগ সৌদি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করছে।'
দেশ দুইটির সম্পকের অবনতি হওয়ায় পাকিস্তানের একটি শোধনাগারে সৌদি বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যেখানে প্রতিদিন ২,৫০,০০০ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করা যাবে। এদিকে, এসএপিএম বলেছে, আরামকো নীরিক্ষা করে দেখেছে গোয়াদারে শোধনাগার স্থাপন করা সম্ভব নয়।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির মধ্যে তেল সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সৌদি আরামকো সেই সময় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল যে তারা ইমরান খানকে শোধনাগার ও পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স স্থাপনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে শীর্ষ সৌদি নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ করতে বলবে।
তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর তখন পরামর্শ দিয়েছিল যে দেশটির পররাষ্ট্র নীতির কারণে যে সম্পর্ক শীতল হয়ে উঠেছে তার কারণে এই প্রকল্পে সৌদি নেতা মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে যোগাযোগ করার সঠিক সময় নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সৌদি আরব অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছিল। সেখানেই গোয়াদারে শোধনাগার ও পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্সে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল। সূত্র: এএনআই
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন