গ্রেপ্তার হয়েছেন কাতারের অর্থমন্ত্রী আলী শরিফ আল-এমাদি। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে বরখাস্তও করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর তদন্ত শুরু করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, বৃহ¯পতিবার কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা 'কাতার নিউজ এজেন্সি' বা কিউএনএ প্রথম এই গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করে। অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগের নথিপত্র পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের পর অ্যাটর্নি জেনারেল আল-এমাদিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে 'বিস্তর' তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কিউএনএ'র খবরে জানানো হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল আল-এমাদিকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, অপব্যবহার ও অন্যের চাকরি নষ্টের অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি একটি ডিক্রি জারি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে আল-এমাদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে আমিরের কার্যালয়। একইসঙ্গে শিল্প মন্ত্রী আহমেদ আল-কুয়ারিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি এখন একইসঙ্গে দুই মন্ত্রণালয় সামলাবেন।
আলি শেরিফ আল-এমাদি ২০১৩ সাল থেকে কাতারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কাতারের প্রভাবশালী বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব ডিরেক্টরস এর সদস্য তিনি। কাতারের ন্যাশনাল ব্যাংকের বোর্ড চেয়ারম্যানও তিনি। তবে এমাদির বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক কর্মকর্তা বলেছেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বোর্ড সদস্য হিসাবে এমাদির ভূমিকার জন্য নয়, বরং সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং এর তদন্ত চলছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন