রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলা ও যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে দেশটির একাধিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষর করা এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে রাশিয়ার ‘ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড’ রুখে দিতেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ডজনখানেকেরও বেশি রুশ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে টার্গেট করে এবারের পদক্ষেপ সাজিয়েছে ওয়াশিংটন।
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ সরকারের নেতাদের নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা ১৬টি রুশ প্রতিষ্ঠান ও ১৬ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রক কার্যালয় (ওএফএসি)।
একইসঙ্গে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়েও ৫ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশন থেকে ১০ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করতে যাচ্ছে তারা।
রুশ সরকারের সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগে গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ৭ কর্মকর্তা ও ডজনখানেক সরকারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল।
বাইডেন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসের মধ্যে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।
গেল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপেও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষায় ওয়াশিংটন কার্যকর ও যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এমনকি ‘তৃতীয় কোনও দেশে’ পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাইডেন।
এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, নতুন করে কেনও ‘অবৈধ’ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে তা দুই নেতা শীর্ষ সম্মেলনের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে গতকালই হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ক্রেমলিন। এরইমধ্যে রাশিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলবও করা হয়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন