এবার রাজশাহীতে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সর্বোচ্চ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৬৪০ টাকা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরামের এক বৈঠকে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফিতরা নির্ধারণের উদ্দেশে নগরীর ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহ:) মাদরাসার অফিসে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাওলানা শেখ তৈয়বুর রহমান নিজামী।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে মাওলানা আবদুল খালেক, মাওলানা আবদুল গনী, ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমদ, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মুফতি আজমল হোসাইন, মাওলানা মিনহাজ উদ্দীন, মুফতি জাকারিয়া হাবীবী, মাওলানা আবদুস সামাদসহ বিভিন্ন মাদরাসা ও মসজিদের অর্ধশতাধিক ইমাম, মুফতি, মুহাদ্দিস এবং ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে রাজশাহীর দ্রব্যমূল্যের হালনাগাদ বাজার দর পর্যালোচনা করে রাজশাহী অঞ্চলের জন্য ফিতরা নির্ধারণ করা হয় সর্বনিম্ন ৯৫ টাকা ও সর্বোচ্চ দুই হাজার ৬৪০ টাকা।
রাজশাহীর বাজার সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রাপ্ত দ্রব্যমূল্যের গড় ভিত্তিতে বৈঠকে নিম্নোক্ত হারে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে গমের আটা ৫৭ টাকা কেজি দরে ১ দশমকি ৬৫০ গ্রাম হিসেবে ৯৪ দশমিক ০৫ বা ৯৫ টাকা, যব ৭০ টাকা কেজি দরে ৩ দশমিক ৩০০ গ্রাম হিসেবে ২৩১ টাকা, খেজুর (মধ্যম) ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩ দশমকি ৩০০ গ্রাম হিসেবে এক হাজার ৯৮০ টাকা, কিশমিশ ৫৪০ টাকা কেজি দরে ৩ দশমিক ৩০০ গ্রাম হিসেবে এক হাজার ৭৮২ টাকা, পনির ৮০০ টাকা কেজি দরে ৩ দশমকি ৩০০ গ্রাম হিসেবে দুই হাজর ৬৪০ টাকা।
ওই বৈঠকে সর্বনিম্ন হারে ফিতরা না দিয়ে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করার জন্য রাজশাহীবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া চলতি বছর রমজানে যাকাতের নেসাব নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়। পরে পুরাতন রুপার প্রতি ভরি এক হাজার ২০০ টাকা দরে এ বছরের যাকাতের নেসাব নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার টাকা (৫২ দশমকি ৫০ ভরি)।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন