শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একটি পতিত জমিতে সন্দেহজনক একটি গর্তের সন্ধান পান স্থানীয় কৃষকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সেই সাথে ভিড় করে উৎসুক জনতাও। কি লুকানো আছে গর্তে, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। সন্দেহ, গর্তে লুকানো আছে নিষিদ্ধ মাদক বা গুম করা লাশ। সন্দেহ যাচাইয়ে শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল খালেকের পতিত জমিতে শুরু হয় এক এলাহি কাণ্ড। সন্দেহজনক গর্ত খুঁড়তে নিয়োগ দেয়া হয় শ্রমিক। খোঁড়াখুঁড়ি ঘিরে ভিড় করে কয়েকশ উৎসুক জনতা।
স্থানীয়রা জানান, সকালে কয়েকজন কৃষক খেতে কাজ করার সময় পাশেই আব্দুল খালেকের পতিত জমিতে একটি গর্ত দেখতে পায়। পরে কাছে গিয়ে গর্তে কিছু একটা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। শুরু হয় অনুসন্ধান। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দুজন শ্রমিক দিয়ে গর্ত খুঁড়ার কাজ শুরু হয়।
এদিকে, লোকমুখে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে জনতার ঢল নামে ঘটনাস্থলে। জনতার ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রায় তিন ঘণ্টায় ছয় ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ার পর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচ ফুট উচ্চতার আটকে পড়া একটি বাঁশ। পরে পুলিশ গর্ত খুঁড়া বন্ধ করে দেয়।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি বছির আহম্মেদ বাদল বলেন, ওই গর্তে কোন লাশ বা মাদক থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়। তাই গর্ত খুঁড়া হয়। কিন্তু সেখানে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি একটা বাঁশ ছাড়া।
পরে খোঁড়া গর্তটি বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে বাঁশটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ঢাকা টাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন