শ্লীলতাহানি মামলায় সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর এ মামলার ধার্য তারিখ থাকায় কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। এসময় আইনজীবী কাজী নজিব উল্লাহ হিরুর মাধ্যমে জামিন স্থায়ীর আবেদন করেন তিনি।
অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান, নিয়াজ মোর্শেদ নোমান আসামির জামিন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত তাঁর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর সবুজবাগ থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক নারী চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস আদালতে আত্মসমর্পণ করে তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর গত ১ অক্টোবর বাদীপক্ষ আসামি চিত্তরঞ্জনের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তাসংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের দোকানদার দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস চা দোকানির কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করলে চিত্তরঞ্জন তাঁকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তাঁর রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।
রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস ওই নারীকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। পরে চিত্তরঞ্জন ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন এবং তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন