সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে পর্যটকদের জন্য ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। সাগরে গোসল করতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনা কমাতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর সেগুলোর বিষয়ে আজ শুক্রবার থেকে ১০ দিনব্যাপী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সৈকতের গুপ্ত গর্ত ও গণস্রোতপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে সচেতনাতামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মো. মামুনুর রশীদ।
পর্যটকদের জন্য নির্দেশনাগুলো হলো
সাঁতার না জানলে সমুদ্রের পানিতে নামার সময় লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হবে, লাল পতাকা চিহ্নিত করা পয়েন্টে গোসল করতে নামা যাবে না, সৈকত এলাকায় সর্বদা লাইফগার্ডের নির্দেশনা মানতে হবে, বিকেল ৫টার পর সমুদ্রে নামা যাবে না, সমুদ্রে নামার আগে জোয়ার-ভাটাসহ আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে হবে, লাইফগার্ড নির্দেশিত নির্ধারিত স্থানছাড়া অন্য কোনো পয়েন্ট থেকে সমুদ্রে নামা যাবে না, সমুদ্রে যেকোনো মুহূর্তে তীব্র স্রোত এবং গুপ্ত গর্ত সৃষ্টি হতে পারে, যেকোনো ভাসমান বস্তু পানিতে নামার আগে বাতাসের গতি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে, সৈকতে শিশুকে সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে, শিশুকে একা সমুদ্রে নামতে দেওয়া যাবে না এবং অসুস্থ অথবা দুর্বল শরীর নিয়ে সমুদ্রে হাঁটু পানির বেশি নামা যাবে না।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের কারণে সারাবছরই লাখ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমনে আসেন। কিন্তু একটু অসর্তকতার কারণে অনেক পর্যটকের আনন্দ মৃত্যুর বিষাদে পরিণত হচ্ছে। যেটা আমাদের কারও কাম্য নয়। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আমরা রোধ করতে চাই। পর্যটকদেন বিশেষ করে সাগরে সতর্কতার সঙ্গে বা নিয়ম মেনে গোসলে নামলে সহজেই এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি অনেকেই নিয়ম বা প্রশাসনের নির্দেশনা মানছেন না।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন