নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় দোকানের সামনে রাখা চেয়ারে বসা নিয়ে বাগড়ার জেরে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতের নাম মো. আনোয়ার হোসেন (২৫)। এ ঘটনায় তার বাবা মকবুল হোসেন (৫৫) ও চাচাতো ভাই মনির হোসেন (২৪) গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের বড়ইউন্দ বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন ময়মনসিংহ আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করতেন। পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আনোয়ার হোসেন বড়ইউন্দ গ্রামের বাজারে যান। সেখানে একটি চায়ের দোকানে রাখা চেয়ারে বসতে গেলে,পাশ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর এলাকার মরম আলীর ছেলে জুয়েল মিয়া (২০) তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে দুজন কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বিতর্কে জড়িয়ে গেলে স্থানীয়রা তাদের থামিয়ে দেন। রাত আটটার দিকে আনোয়ার বাজারের একটি মুদির দোকানে বসেছিলেন। এ সময় তার চাচা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল জব্বার বিষয়টি মিমাংসার জন্য আনোয়ারকে আরেকটি দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা জুয়েল মিয়া, তার বড় ভাই সোহেল মিয়া (২৩), বাবা মরম আলী (৪৬), স্বজন আমছর আলীসহ কয়েকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে ছুরিকাঘাতে আনোয়ার, মকবুল, মনির গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত মকবুল ও মনিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহনুর এ আলম বলেন, ‘নিহত ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা স্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন