রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা প্রাপ্তি এবং তাঁর স্বাস্থ্য যেন ঝুঁকিতে না পড়ে সে আশা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার অনতি প্রসঙ্গে গেল শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমন আশা প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার বেশি কিছু বলার নেই। তবে আমরা অবশ্যই আশা করি যে, তিনি (খালেদা জিয়া) সুচিকিৎসা পাবেন এবং তাঁর স্বাস্থ্যের কোনও ধরনের ক্ষতি হবে না, যেমনটি আমরা যে কারও ক্ষেত্রেই বলে থাকি।’
গত ৫ মে রাতে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আবেদন করা হয়। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ আবেদন করেন। ওই আবেদনপত্র পর্যালোচনার জন্য রাতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
রবিবার (০৯ মে) সকালে আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত আজ সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে কী মতামত দেয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজা’য় তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনায় আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু আবারও ফলাফল পজিটিভ আসে।
গত ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার (৩ মে) খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে গতকাল ৮ মে বেগম জিয়ার করোনার তৃতীয় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
৭৫ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। প্রায় আড়াই বছর কারাভোগের পর দেশে করোনা পরিস্থিতি ও বয়স বিবেচনায় গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে সরকার। এরপর থেকেই তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজা’য় ছিলেন। সাজা স্থগিতাদেশ এরইমধ্যে দুই দফায় বাড়ানো হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর বিদেশে তিন মাসের চিকিৎসা শেষে ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর তাঁর আর বিদেশে যাওয়া হয়নি।
ব্রেকিংনিউজ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন