লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৬০ বছরের শাশুড়ি রহিমা বেগম কে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূ তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে তাহমিনা আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টায় রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে রাঘবপুর গ্রামের নতুন মসজিদ বাড়ীর (নোয়াবাড়ী) আবু তাহেরের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। তাহমিনা আক্তার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাউধেরখীল গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে ও ইছাপুর ইউনিয়নে রাঘবপুর গ্রামের প্রবাসী মো. হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইছাপুর ইউনিয়নে রাঘবপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তার স্বামী বিদেশে থাকার সুবাদে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক বিরোধের জেরে একই ঘরে আলাদা চুলোয় রান্না করে খেতো। এ নিয়ে নিয়ে সংসারে খুটিনাটি ঝগড়া হতো বই শাশুড়ির মাঝে। বিক্ষিপ্ত কিছু কথা নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাশুড়ি ও পুত্রবধূ দুজনে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।
ওই ঘটনার পরে বসতঘরের দরজা বন্ধ থাকায় বাড়ীর লোকজন অনেক ডাকাডাকি করেও ভিতর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে জানালার গ্লাস দিয়ে ভিতরে তাকিয়ে দেখে শাশুড়ি রহিমা বেগমের লাশ খাটের উপর ও পুত্রবধূ তাহমিনা আক্তার মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। বাড়ীর লোকজনের কাছে বিষয়টি সন্দেহ হলে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে রাতেই পুলিশ এসে শাশুড়ী রহিমা বেগম ও অচেতন অবস্থায় মেঝে থেকে উদ্ধার করে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, রহিমা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হসপিটাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে বিষয়টি বলা যাবে হত্যা না অন্য কিছু। তদন্ত চলছে তবে পুত্রবধূ তাহমিনা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। তকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন