পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়য় সৎ মায়ের মারধরে হানযালা নামের পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাবা ওয়ার্কশপ শ্রমিক জুয়েল মুন্সি ও সৎ মা শাহানা বেগম শিশুটির লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে পালিয়ে গেছেন। গতকাল রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালের সামনে থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে আজ শুক্রবার ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
শিশুটির আপন মা সুবর্ণা বেগমের অভিযোগ, শিশু হানযালাকে তার বাবা জোর করে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন শিশুটিকে তার সৎ মা শাহানা মারধর করে। নির্যাতনের কারণেই শিশু হানযালার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে শহরের দক্ষিণ বন্দর স্লুইসগেট মহল্লার বাসিন্দা জুয়েল মুন্সির সঙ্গে উপজেলার সবুজ নগর গ্রামের সুবর্ণা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর হানাযালার জন্ম হয়। পরে জুয়েল মুন্সি দ্বিতীয় বিয়ে করলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়। দেড় বছর আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে জুয়েল মুন্সির। বিচ্ছেদের ছয়মাস পরে শিশুটির মা সুবর্ণা বেগম অন্যত্র বিয়ে করলে শিশু হানযালা তার নানির কাছে থাকত।
গত শবেবরাতের দিন বাবা জুয়েল মুন্সি শিশু হানযালাকে শহরের দক্ষিণ বন্দর ভাড়া বাসায় সৎ মায়ের কাছে নিয়ে আসেন। এ নিয়ে জুয়েল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানার সঙ্গে কলহ সৃষ্টি হয়।
গত বুধবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে শহরের বেসরকারি মা ও জেনারেল শিশু হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যায় শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির কপালে ও হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে। ওইদিন রাত ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে শিশুটির লাশ মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ফেলে বাবা ও সৎ মা পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘শিশুটির আপন মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবা ও সৎ মা পলাতক রয়েছেন।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন