প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন ও মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে টাঙ্গাইলের জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। গ্রাম কিংবা শহরে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসায় প্রচণ্ড দাবদাহে সাধারণ মানুষ হাসফাঁস করছেন। এ অবস্থায় বেড়েছে ব্যাটারি চালিত চার্জার ফ্যান, সিলিং ফ্যান এবং ফ্রিজ কেনাবেচা।
সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহরের মেইনরোড, ভিক্টোরিয়া রোড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়- বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স শোরুম এবং ইলেকট্রিক দোকানে ত্রেতাদের ভীড়।
অধিকাংশই চার্জার ফ্যান ক্রয় করছেন।
মেইনরোডের সুমাইয়া ইলেকট্রিক নামের দোকানী আব্দুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, এ গরমে আগের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে। ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে মানুষ ব্যাটারি চালিত চার্জার ফ্যান বেশি কিনছেন। সিলিং ফ্যানের চাহিদাও আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে।
তবে দাম কিছুটা বাড়ছে। আগে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার কেনাবেচা করতাম। এবার গরমে সেটা ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়েছে।
বিভিন্ন দোকান ঘুরে জানা যায়, ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে রাখার ফ্যানগুলো আগে ৮৫০-৯০০ টাকায় বিক্রি হতো।
এখন ১৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ব্যাটারি চালিত চার্জার ফ্যান আগে ছিল ৪৫০০ টাকা, এখন ৬০০০ টাকা পর্যন্ত। সিলিং ফ্যান ২৭৫০ থেকে ২৯৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সিঙ্গার, যমুনা, ওয়ালটন শো রুমে গিয়ে দেখা যায় আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক ফ্যান এবং ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে।
কালিহাতীর রাজন সরকার বলেন, প্রচণ্ড গরম চলছে।
আবার নিয়মিত কারেন্ট থাকে না। তাই অসুস্থ বাবার জন্য ৫৫০০ টাকা দিয়ে একটি চার্জার ফ্যান কিনলাম।
বিউবো টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) খন্দকার কামরুজ্জামান বলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভায় ৪৭ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা ২০ মেগাওয়াট। ১১- ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে। ফলে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জামাল উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, সম্প্রতি টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। বুধবার ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ২০ ও ২১ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন